Thank you for trying Sticky AMP!!

পরাগ–সিগাল–গাড্ডেকে সরিয়ে কি নিজেই বিপাকে ইলন মাস্ক

নানা ঝক্কিঝামেলা শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কিনেছে ইলন মাস্ক। এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেই মামলার দফারফা হওয়ার আগেই প্রতিষ্ঠানটি কিনে নিজের প্রোফাইলে লেখেন ‘চিফ টুইট’। তারপরই টুইটারের শীর্ষ তিন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেন।

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পরাগ আগারওয়াল, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সিগাল, আইন ও নীতিমালাবিষয়কপ্রধান বিজয়া গাড্ডেকে সরিয়ে দেন। চাকরিচ্যুতির কারণে নিয়ম অনুযায়ী পরাগ–সিগালরা যে অর্থ পাবেন, তা দিতে গেলে বাকি কর্মীদের বেতন দেওয়া নিয়ে আবার বিপাকে পড়তে যাচ্ছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক।

টুইটারের কমপেনসেশন স্কিম অনুযায়ী চাকরিচ্যুত কর্মীদের যে পরিমাণ অর্থ দেওয়ার কথা, তা দিতে গেলে টুইটারে কাজ করা বাকি কর্মীদের বেতন দিতে হিমশিম খেতে হবে। কারণ, চাকরিচ্যুত কর্মীদের ক্ষতিপূরণ বাবদ ইলোনের পকেট থেকে খসবে ১০ কোটি মার্কিন ডলার। টুইটারের আইন অনুযায়ী এ অর্থ দিতে হবে নগদ অর্থে।

Also Read: টুইটারের চাকরি গেলেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা পেতে পারেন পরাগ

টুইটারের এখন প্রায় সাড়ে সাত হাজার কর্মী কাজ করেন। মার্কিন কোম্পানিটির ক্ষতিপূরণ (কমপেনসেশন স্কিম) জন্য ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লাগবে। তিন শীর্ষ কর্মকর্তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণ পাবেন পরাগ আগরওয়াল।

কারণ, ২০২১ সালের নভেম্বরে টুইটারের সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সময় চুক্তিতে সই করেছিলেন তিনি। টুইটারের সঙ্গে ওই চুক্তি মোতাবেক, কমপেনসেশন স্কিমের আওতায় তাঁকে প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ (৪২ মিলিয়ন) ডলার (কোনো কোনো গণমাধ্যম বলছে ৫০ মিলিয়ন) দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।

টুইটারের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছরের মধ্যে যদি সংস্থা তাঁকে চাকরিচ্যুত করে তাহলে এ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা পরাগের। একইভাবে নেড সিগাল ৩০৫ কোটি ও বিজয়া গাড্ডে ১৪০ কোটি ভারতীয় রুপি ক্ষতিপূরণ পেতে যাচ্ছেন।

২০২১ সালের নভেম্বরে টুইটারের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন পরাগ। তিনি কোম্পানিটিতে প্রথম যোগ দিয়েছিলেন ২০১১ সালে। তিনি ২০১৭ সালে কোম্পানির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা হয়েছিলেন।

টুইটার কিনে নেওয়ার পরপরই ইলন মাস্ক টুইট করেছিলেন, ‘বার্ড ইজ ফ্রিড।’ অর্থটা এমন ‘যা পাখি উড়তে দিলাম তোকে…’। মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটিকে বাক্‌স্বাধীনতার মুক্তাঙ্গন করার যে লক্ষ্য নিয়েছেন, এটি তার একটি ইঙ্গিত বলেই মনে করা হচ্ছে। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে