নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিবাদ করছেন ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিবাদ করছেন ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফিলিস্তিনের পক্ষে জাতিসংঘের সামনে ইহুদিদের অবস্থান

জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আসতে শুরু করেছেন। ম্যানহাটানে জাতিসংঘ ভবনের সামনে দুই সপ্তাহ ধরে ইহুদিরা ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে ইসরায়েলবিরোধী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন।

গতকাল সোমবারও ইহুদি র‍্যাবাইরা (ইহুদিদের ধর্মীয় নেতা) গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে আন্দোলন করেছেন।

প্রতিবাদে শামিল হওয়া এক তরুণ র‍্যাবাই প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা এখানে ফিলিস্তিনের পক্ষে সমবেত হয়েছি। গাজায় যুদ্ধে ইহুদিরা শুরু থেকেই মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে আসছে। আমরা তার বিরোধিতা করতে এখানে প্রতিদিন জড়ো হচ্ছি।’

জাতিসংঘ অধিবেশনের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে ৯ সেপ্টেম্বর। সেদিন থেকে ৩০ জন ইহুদি ধর্মীয় প্রতিনিধির অংশগ্রহণে প্রতিদিন এই প্রতিবাদ সমাবেশ চলছে। তাঁরা ঘণ্টা বাজিয়ে তাঁদের অবস্থানের জানান দিচ্ছেন। তাঁদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা থাকে ইসরায়েলবিরোধী স্লোগান।

২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সাধারণ অধিবেশনের মূল পর্ব ‘হাই-লেভেল জেনারেল ডিবেট’। চলবে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এতে বিশ্বের ১৯৩টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। আর সে পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পক্ষে ইহুদিদের কর্মসূচিও চালু থাকবে।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিবাদ করছেন ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গতকাল এক র‍্যাবাই তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমি একজন ইহুদি র‍্যাবাই এবং আমরা সবাই সারা বিশ্বের সেই সব ইহুদিদের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ ভবনের সামনে দাঁড়িয়েছি, যাঁরা এই যুদ্ধ নিয়ে বিব্রত। যাঁরা এই যুদ্ধের বিপক্ষে। যাঁরা এই যুদ্ধের জন্য নানান সমস্যায় পড়ছেন। নেতানিয়াহু তাঁর নিজের স্বার্থে যুদ্ধের জন্য ইহুদি ধর্মকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করছেন।’

যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভের জেরে ২০২৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছেন। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকটিভিস্ট মাহমুদ খলিলের গ্রিন কার্ড বাতিলের প্রক্রিয়া শুরুসহ অন্তত ৩০০ জনের ভিসা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

তবে জাতিসংঘের সামনে হওয়া এই প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করার খবর পাওয়া যায়নি।