মঙ্গল-অমঙ্গলের বৃষ্টি

গতকাল দিনভর বৃষ্টিতে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় ছিল জলাবদ্ধতা ও যানজট। এমন যানজট ছিল ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন জেলা ও মহাসড়কেছবি: দীপু মালাকার

জরুরি পারিবারিক কাজে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ মে ২০২৫) সিরাজগঞ্জ গিয়েছিলাম। বিকেল ৫টায় এসআই এন্টারপ্রাইজের গাড়ি ধরলাম, সিরাজগঞ্জ থেকে টঙ্গী আসব। পুরো রাস্তা বৃষ্টির রোমান্টিকতা অনুভব করে এলাম সেই সিরাজগঞ্জ সদর থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত। ঝিমঝিম বৃষ্টি, যমুনা সেতু দিয়ে রেলগাড়ির ছুটে চলা, রাস্তায় গাড়ির যাত্রাবিরতিতে গরম-গরম কফি, হিমেল হাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।

আরও পড়ুন

বৃষ্টির ভয়াল থাবা তখনো গায়ে লাগেনি। বাইপাস পার হওয়ামাত্র ডুবে যাওয়া রাস্তা, যানজট আর মানুষের অসহনীয় কষ্ট দেখে বৃষ্টি রোমান্টিক, সেই ধারণা মুহূর্তের মধ্যে হাওয়া হয়ে গেল। পথে পথে মানুষের হাহাকার, দোকানদারদের হতাশা, দুর্ঘটনা দেখে বৃষ্টি নামক প্রাকৃতিক বিষয়কে বারবার বকা দিয়েই এসেছি। কারণ, ড্রেন–ব্যবস্থা, রাস্তা ভাঙা আর রিকশাওয়ালাদের দোষ দিয়ে তাঁদের ঠিক করার সাধ্য আমার নেই। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর টঙ্গী নেমে চার গুণ রিকশাভাড়া দিয়েও বৃষ্টির করাল গ্রাস থেকে মুক্তি মেলেনি।

আরও পড়ুন

শেষে বুঝলাম আর মেনে নিলাম, রোমান্টিক বৃষ্টি এখন শুধুই ঘরে বসে থাকা মানুষের। বাইরের মানুষের কাছে এটি নিছকই বিড়ম্বনা।

(প্রিয় পাঠক, এ বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা লিখে ফেলুন এখনই। পাঠিয়ে দিন [email protected]এ)

আরও পড়ুন