খালেদা জিয়ার কিছু হলে রাজনীতিতে নিকৃষ্ট উদাহরণ তৈরি হবে: জোনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের লড়াই–সংগ্রামের ২১ বছর উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন জোনায়েদ সাকি। রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আজ সন্ধ্যায়

রাজনৈতিক দর-কষাকষি না করে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসা করানোর অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় রংপুর নগরের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলনের লড়াই–সংগ্রামের ২১ বছর উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গণসংহতি আন্দোলনের রংপুর জেলা শাখা এ সভার আয়োজন করে।

আরও পড়ুন

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা এ দেশে আর নেই। তাই দেশের বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিলে রাজনীতিতে একটা ভালো উদাহরণ তৈরি হবে। আর কোনো কারণে এই অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে, এর দায় সরকারকেই নিতে হবে, রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগকে নিতে। যা রাজনীতিতে একটা নিকৃষ্ট উদাহরণ তৈরি করবে।’

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার সমাধান প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে। বল এখন ওনার কোর্টে। কীভাবে সমাধান হবে, উনি সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে ২০১৪ সাল ও ২০১৮ সালের মতো পচা নির্বাচন উনি এবার করতে পারবেন না। উনি চেষ্টা করলেও এবার জনগণ আর রাতে ভোট করতে দেবে না। জনগণ এখন সোচ্চার। যেকোনো মুহূর্তে জনগণ রাজপথে নেমে আসবে এবং গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাঁদের অধিকার বুঝে নেবে।’

আরও পড়ুন

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ‘সরকার যেনতেনভাবে নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সমর্থন না থাকায় তারা বিপাকে পড়েছে। আগের নির্বাচনগুলোতে আন্তর্জাতিক সমর্থন ছিল। কিন্তু এবার আন্তর্জাতিক সমর্থন হারিয়েছে। এ জন্য এখন তারা আবোল-তাবোল বকছে। প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে যা বলেছেন, তা কোনো প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউরেনিয়াম ঢেলে দিতে চান বিরোধী নেতা-কর্মীদের শরীরে; যা একধরনের হত্যার হুমকি। এভাবে চলতে থাকলে বা কোনো সমাধানের দিকে না গেলে ভবিষ্যতে ফল ভালো হবে না। এ জন্য এখনো সময় আছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা মেনে নিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করুন।’

আরও পড়ুন

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘ওনারা বলছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আদালত বাতিল করে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ভালোভাবে জানে আদালত কার নির্দেশে চলে। আইন-আদালত তো প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে মাত্র। প্রধানমন্ত্রী যে পরিকল্পনা করেন, তা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেন। ওনারা দেশটাকে দুই ভাগে ভাগ করে ফেলছেন। ওনারা যে সংজ্ঞা তৈরি করেছেন মুক্তিযুদ্ধের, তার বাইরে গেলে পাকিস্তানি বানিয়ে ফেলেন, রাজাকার বানিয়ে ফেলেন। ক্ষমতায় থাকতে যা যা করণীয়, সবই করছে বর্তমান সরকার। তারা ক্ষমতায় থাকতে দেশকে বিপদে ফেলতেও দ্বিধা করছে না।’