শেরপুরে বিএনপির ৫ নেতা আটক, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ
শেরপুরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের হরিণধরা এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে সদর থানা-পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে এলাকাবাসী ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে দুজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
পুলিশ জানায়, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ আখ্যায়িত করে নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরির নামে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিকেল পাঁচটার দিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীর নেতৃত্বে বিএনপির ৫০ থেকে ৬০ জন কর্মী-সমর্থক শেরপুর সদর উপজেলার হরিণধরা এলাকায় সমবেত হন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে সদর থানা-পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে হযরত আলীসহ পাঁচজনকে আটক করে। হযরত আলীকে আটকের সংবাদ পেয়ে হরিণধরা ও আশপাশের গ্রামের শতাধিক মানুষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। তাঁরা পুলিশের হেফাজত থেকে হযরতকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের দুই সদস্য আহত হন।
সংবাদ পেয়ে শেরপুর সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ১৭টি শটগানের গুলি ও তিনটি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক আজ সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম আলোকে তিনি বলেন, হযরত আলীর নেতৃত্বে সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে জনমত তৈরির নামে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের প্রস্তুতি চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকেসহ অন্যদের আটক করা হয়। এ বিষয়ে সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আটক হযরত আলীকে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে আটক অন্য চারজনের নাম জানাতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডামি’ নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানিয়ে শেরপুরে বিএনপির উদ্যোগে প্রচারপত্র বিতরণ ও গণসংযোগের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছিল। হযরত আলীর নেতৃত্বে আজ বিকেলে হরিণধরা এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণ ও গণসংযোগকালে পুলিশ তাঁকে আটক করে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হযরত আলীসহ আটক সব নেতা-কর্মীর মুক্তি দাবি করেন তিনি।