ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডাবল লাইনের কাজ শেষ হলে প্রতিদিন ৫০ বার ট্রেন আসা–যাওয়া করবে: রেলমন্ত্রী
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডাবল লাইন প্রকল্প প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ডাবল লাইনের কাজ শেষ হলে প্রতিদিন এই পথে ৫০ বার ট্রেন আসা–যাওয়া করবে। নারায়ণগঞ্জবাসীর সুবিধার জন্য এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু ভাঙ্গা পর্যন্ত আমাদের পুরোনো রেলপথ আছে, আমরা পুরোনো রেললাইনের সঙ্গে এটি যাতে সংযুক্ত করতে পারি, সেই জন্য ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথ আপাতত বন্ধ রয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করে পুনরায় ট্রেন চলাচল চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডাবল লাইন রেলপথ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে এসে রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান, প্রকল্প পরিচালক আবদুর রউফ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম, রেলওয়ে ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী জুন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু অতিক্রম করে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল চলাচলের উপযোগী করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম। রেলমন্ত্রী বলেন, মূল প্রকল্প ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত শেষ হবে ২০২৪ সালে।
বিএনপির উদ্দেশে নূরুল ইসলাম বলেন, যারা গণতন্ত্র নষ্ট করেছে, জনগণের ভোটাধিকার নষ্ট করেছে, এখন তারা গণতন্ত্রের কথা বলে পরিবেশ গরম করার চেষ্টা করছে। এদেরকে জনগণ চেনে, এরা কোথা থেকে এসেছে, এদের ব্যাকগ্রাউন্ড কী, এরা সামরিক ক্যান্টনমেন্ট থেকে ক্ষমতায় এসেছে। এরা জোর করে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষমতায় এসেছে, এরা মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র এসেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দুপুর ১২টার দিকে রেলমন্ত্রী শহরের জিমখানায় রেলওয়ের জমিতে সিটি করপোরেশন নির্মিত শেখ রাসেল পার্ক পরিদর্শনে যান। তিনি সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, রেলের বহু সম্পত্তি সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তির কাছে বেহাত হয়ে আছে। রেলের উন্নয়নে প্রয়োজন হলে সেই জায়গা উদ্ধার করা হবে। রেলের জায়গায় শেখ রাসেল পার্ক নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত জায়গা দেশের ও জনগণের স্বার্থে উন্নয়নের জন্য বেদখল হয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে আমরা সরকারিভাবে সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের নীতি গ্রহণ করেছি। এখানেও আমরা সেই নীতিটি গ্রহণ করব।’
জিমখানায় শেখ রাসেল পার্কসংলগ্ন রেলের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারগুলো পার্কের কাজে ব্যবহারের অনুমতির বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন তিনি।
মেট্রোরেল নারায়ণগঞ্জে আসবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছয়টি এমআরটি লাইনের পরিকল্পনার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ নেই। তবে চাহিদা ও পরিকল্পনার ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে তা সম্প্রসারণ হতে পারে।