মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ৭৩ শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. মহিউদ্দিনসহ ১০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নবাবগঞ্জের বিনোদনকেন্দ্র স্বপ্নপুরীতে শিক্ষাসফরে যান। সেখান থেকে সন্ধ্যায় তাঁরা বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় বিনোদনকেন্দ্রের একটি হর্স রাইডে শিক্ষার্থী তাওহিদুল ইসলাম তাঁর একটি ব্যাগ ফেলে আসেন। পরে তাঁর সহপাঠী অনামিকা আক্তার ব্যাগটি আনতে যান। এ সময় ওই রাইডের দায়িত্বে থাকা কর্মচারী সবুজ রানার সঙ্গে অনামিকা আক্তারের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে সবুজ রানা তাঁকে চড়থাপ্পড় মারেন এবং শ্লীলতাহানি করেন। বিষয়টি অনামিকা আক্তার তাঁর সহপাঠীদের জানালে তাঁরা প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে বিনোদনকেন্দ্রের কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। এতে এক শিক্ষকসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
এ ঘটনায় ১২ মার্চ দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অনামিকা আক্তার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি মামলা করেন। ওই রাতেই পুলিশ এজাহারে নাম থাকা ৮ আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে ভিডিও ফুটেজে গ্রেপ্তার তিনজনের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা স্বপ্নপুরীর কেউ নন, তাঁরা স্বপ্নপুরীর সামনেই কাজ করেন, কর্মচারীদের আত্মীয়। তাঁদের আজ সকালে দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।