সুশৃঙ্খল পরিবেশে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: সিইসি

রংপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয় মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। মঙ্গলবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

সুশৃঙ্খল পরিবেশে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনুকূলে থাকবে। আমরা অত্যন্ত আশ্বস্ত। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে না। এর কোনো ব্যত্যয় হবে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়গুলো বোঝে, অনুধাবন করে এবং উপলব্ধিও করে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সুচারুভাবে দেখবে। সেই দিক থেকে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুশৃঙ্খল পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।’

গণমাধ্যমে ভোটারদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘আমাদের মেসেজগুলো আপনাদের মাধ্যমে যথাযথভাবে চলে যায়। আপনারা আপনাদের নাগরিক দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোট দেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি আশ্বস্ত করছি। আপনারা বাধার সম্মুখীন হবেন না। স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে কেউ যদি কোনো প্রকার অন্তরায় সৃষ্টি করে কঠোরভাবে হস্তক্ষেপ করব। এরপরও আমরা সজাগ থাকব।’

আরও পড়ুন

নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও তা পর্যবেক্ষণের বিষয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। আমরা কেন্দ্র থেকে দেখতে পারব। এখানেও একটি সেন্টার থাকবে। তারাও দেখতে পারবে।’

নির্বাচনে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে মিডিয়ার বিচরণ অবাধ হবে। আপনারা ভেতরে যেতে পারবেন। শুধু গোপন কক্ষে যেতে পারবেন না। মিডিয়ার গুরুত্ব আমরা দিয়ে থাকি। সাংবাদিকদেরও আচরণবিধি মানতে হবে, সেটি কার্ডে উল্লেখ থাকবে। মিডিয়াকে আমরা খাটো করে দেখি না। মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিহার্য।’

আরও পড়ুন

আইনশৃঙ্খলা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এ জন্য একটি সভা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনসহ পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। দৃশ্যমান যে লঙ্ঘনগুলো করা হয়েছে, এসব প্রার্থীদের জানানো হচ্ছে। দেয়ালে পোস্টার সাঁটানো থাকলে তা অপসারণ করতে বলা হয়েছে। যাঁদের বাড়িতে লাগানো হয়েছে, তাঁরাও যেন নিজেরা তুলে ফেলেন। এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমরা নিঃসন্দেহে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করি। সব দলের প্রতি আমাদের সমভাবে আপিল থাকছে, আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। এখন আমরা কাউকে বাধ্য করতে পারছি না। আমরা খুশি হব বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনে যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকে তাহলে কিন্তু গণতান্ত্রিক চর্চাটা হচ্ছে না। তাই আমরা প্রত্যাশা করি, প্রতিটি দল নির্বাচনে এসে অংশগ্রহণ করবে। দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে সংলাপের ব্যবস্থা করতে হবে। টেবিলে বসে আলোচনা করতে হবে। সড়কে নয়, রাজপথে শক্তি প্রদর্শন নয়। মানুষকে নির্বাচনমুখী করেন। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে তুলুন।’

আরও পড়ুন