শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মতিয়া চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের ছয়জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া অপর পাঁচ ব্যক্তি হলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি চন্দন কুমার পাল; আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুব উপকমিটির সদস্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব আবদুস সামাদ ফারুক; নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুর রহমান; কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির প্রয়াত নেতা কৃষিবিদ বদিউজ্জামানের ছেলে রাগিব হাসান এবং জাতীয় পার্টির সাবেক নেত্রী রোজী সিদ্দিকী।
নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়ন নিয়ে এই আসনে ভোটার ৪ লাখ ১২ হাজার ৮৫৭ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ১০ হাজার ৮১৮ জন এবং পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২ হাজার ৩৯ জন। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন মতিয়া চৌধুরী।
মূল লড়াই শুরুর আগেই মতিয়া চৌধুরী ও আবদুস সামাদের মধ্য মনোনয়ন–যুদ্ধ জমে উঠেছে।
গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছিল মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার শেষ সময়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার মূল লড়াই শুরুর আগেই মতিয়া চৌধুরী ও আবদুস সামাদের মধ্য মনোনয়ন–যুদ্ধ জমে উঠেছে। আবদুস সামাদের সমর্থক নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুস সবুর বলেন, ‘আবদুস সামাদ দক্ষ ও মেধাবী একজন মানুষ। দুই উপজেলার মানুষ তাঁকে ব্যাপকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর তনয়া দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবকিছু বিবেচনা করে আবদুস সামাদকেই নৌকা প্রতীক দেবেন বলে আমরা আশা করছি।’
মতিয়া চৌধুরীর সমর্থক ও নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হচ্ছে একটি বৃহৎ দল। যে কেউ মনোনয়ন চাইতেই পারেন। সিদ্ধান্ত তো নেবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে মতিয়া চৌধুরীর বিকল্প নেই। তিনি দুই উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছে একজন পরীক্ষিত নেতা। আমরা আশা করছি, এই এলাকায় নৌকা মতিয়া আপাই পাবেন।’
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। তফসিল অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর মধ্যে কমিশনে দল মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।