রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ: নির্ধারিত সময়ে তদন্ত শেষ হচ্ছে না প্রশাসনের গঠিত কমিটির

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘর্ষের সময় একটি পুলিশ বক্স ও রাস্তার ধারের অন্তত ৩০টি দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষের ঘটনার দুই দিন পর ১৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। আজ মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ের শেষ দিন হলেও প্রতিবেদন জমা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য হুমায়ুন কবীর।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় সহ-উপাচার্য হুমায়ুন কবীর মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু এটি একটি বড় ঘটনা, আমাদের তদন্ত করতে সময় লাগছে। তবে তদন্ত থেমে নেই। দ্রুতগতিতে তদন্তকাজ এগিয়ে চলছে। আশা করছি, আগামী দুই-চার দিনের মধ্যেই তদন্তের কাজ শেষ হবে।’

আরও পড়ুন

১১ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে এক বাসচালকের কথা–কাটাকাটির জের ধরে বিনোদপুর বাজারে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজন এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। হামলা-সংঘর্ষ ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেলে আহত হন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। এর মধ্যে একটি পুলিশ বক্স ও রাস্তার ধারের অন্তত ৩০টি দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার প্রতিবাদে ১২ মার্চ সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা চারুকলা–সংলগ্ন রেললাইন ও ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ করে সড়ক অবরোধ করেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা করে।

সংঘর্ষের দুই দিন পর ১৩ মার্চ সহ-উপাচার্য হুমায়ুন কবীরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহকারী প্রক্টর আরিফুর রহমান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক প্রক্টর তারিকুল হাসান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুর রশিদ সরকার ও সিন্ডিকেট সদস্য মো. শফিকুজ্জামান জোয়ার্দ্দার।

তদন্ত কমিটির সদস্য সহকারী প্রক্টর আরিফুর রহমান বলেন, ‘তদন্তের অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আজ বিকেলে আমাদের একটি সভা রয়েছে। সেখানে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হবে। না হলে যতটুকু কাজ শেষ হয়েছে, তা–ই জমা দেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন