পরের জলবায়ু সম্মেলন তুরস্কে, বাংলাদেশে কবে

ব্রাজিলের বেলেম শহরে এবারের জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন (কপ৩০) আয়োজন করা হয়ছবি: জাতিসংঘের ফেসবুক পেজ

বাংলাদেশের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনায় বেলেমে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। ১০ জনের মৃত্যুর কথা জানা গেছে। প্রকৃতিবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক নগরায়ণ না হওয়ায় ঢাকাসহ দেশের শহরগুলো প্রবলভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। ভবিষ্যতের প্রস্তুতি কী হবে, তা মজবুত করার সময় আমরা পাব কি?

আর্জেন্টিনার ওমানাকা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিখ্যাত শিল্পী মারিনা জর্জেলিনা ফারফান ক্যাপারস ১৭ নভেম্বর এক আলোচনায় প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের উত্তরাধিকার ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের অধিকারের স্বীকৃতির দাবি জানান। প্রকৃতিকে উপেক্ষা করে কোনো বেহিসাবি উন্নয়ন ভূমিকম্প, খরা, লবণাক্ততা, পাহাড়ি ঢল কিংবা বন্যার মতো দুর্যোগ ও দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুন
পাভেল পার্থ
ফাইল ছবি

২১ নভেম্বর সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এক দিন সময় বাড়ানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ‘পিপলস প্ল্যানারি’ হয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত বিশ্ব গড়তে সব জলবায়ুদুর্গত বর্গ, শ্রেণি এবং অঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়ে জলবায়ু অর্থায়নের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের দাবি তুলেছেন জলবায়ুকর্মীরা। 

‘বেলেম বৈশ্বিক মুটিরাও ঘোষণা’ অ-অর্থনৈতিক ক্ষতি বিষয়ে সুস্পষ্ট অঙ্গীকার না এলেও ‘ওয়ারশ আন্তর্জাতিক কর্মপ্রক্রিয়ার’ ভেতর দিয়ে ক্ষতিবিষয়ক আলোচনা শুরু হয়েছে। ন্যায্য রূপান্তরের প্রশ্নে প্রাণবৈচিত্র্য, স্থানীয় অভিযোজন, প্রান্তিকতা, কাঠামোগত বৈষম্য, সবুজ জ্বালানি কিংবা অধিকারের প্রশ্ন উপেক্ষিত থাকছে। জলবায়ু-দেনদরবারের এক বৈশ্বিক নাগরিক মঞ্চ ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক সাউথ এশিয়ার বাংলাদেশের প্রতিনিধি মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য ন্যায়সংগত ও দ্রুত অর্থায়নের অঙ্গীকার হয়নি, ক্ষতি তহবিলের বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় অতি অল্প, অভিযোজন খাতে জটিলতা কমানোর প্রতিশ্রুতি নেই, জ্বালানি রূপান্তরে বিশ্বনেতাদের অবস্থান সক্রিয় হয়নি। 

প্রতিবার জলবায়ু সম্মেলনের পর একটি বিষয় নাগরিক সমাজ জানতে চায়, দেশ কী পেল? যদিও এই সম্মেলন সরাসরি কোনো তহবিল, সুযোগ বা অগ্রাধিকার প্রাপ্তির কোনো পাটাতন নয়। অভিযোজন, ক্ষতি ব্যবস্থাপনা, এনডিসি বাস্তবায়ন, ন্যায্য রূপান্তরের বিষয়ে বাংলাদেশের জন্য বহু তৎপরতা, চ্যালেঞ্জ এবং দায়িত্ব তৈরি হয়েছে। দেশের ৩০টি কৃষিপ্রতিবেশ অঞ্চলের নাগরিকদের নিয়ে সব মন্ত্রণালয়, দপ্তর, স্থানীয় সরকার, গণমাধ্যম এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানদের নিয়ে সমন্বিত, সৃজনশীল, প্রকৃতি ও সংস্কৃতিবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক জলবায়ু ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলাই এখন বাংলাদেশের অন্যতম কাজ হবে। নয়া উদারবাদী কাঠামো থেকে বের হয়ে স্বচ্ছ, ন্যায্য, জবাবদিহিমূলক এক বহুত্ববাদী জলবায়ু কাঠামো বিনির্মাণের জন্য দরকার হবে স্পষ্ট রাজনৈতিক অঙ্গীকার। 

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের সম্ভাবনাগুলো জাগিয়ে রাখা দরকার

বেলেম সম্মেলনকে বিশ্লেষণ করে কপ কৃষক পরিষদের প্রতিনিধি মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘বেলেম কপে কৃষকেরা উপেক্ষিত হয়েছেন। ব্রাজিল কৃষকের প্রতি সহানুভূতিশীল—এ ধারণা থেকে আমাদের সরে আসতে হচ্ছে। বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থায় গ্রামীণ জনগণের লোকায়ত পরীক্ষিত অভিযোজন ও শক্তিগুলোকে আমরা বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে পারিনি।’ তিনি বলেন, কোম্পানিনির্ভর যে ধরনের রাসায়নিক কৃষি বাংলাদেশে চলেছে, এর মাধ্যমে বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল বা প্রকল্প প্রাপ্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ। সরকারের উচিত হবে কৃষকের গবেষণা এবং অনুশীলনকে উৎসাহিত করা এবং এসবের ভেতর দিয়ে জলবায়ু দেনদরবার সক্রিয় করা। 

বেলেম সম্মেলনের সর্বাধিক আলোচিত বিষয় ছিল জ্বালানিব্যবস্থার ন্যায্য রূপান্তর। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার সুস্পষ্ট ঘোষণা না এলেও ‘ট্রানজিশন অ্যাওয়ে ফ্রম ফসিল ফুয়েল (টাফ)’ একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচনা। একশনএইড বাংলাদেশের প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ ২১ নভেম্বরের এই আলাপে জানান, অপ্রতুল জীবাশ্ম জ্বালানি এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে অবশ্যই নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে গ্রহণ করে জ্বালানি-সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে হবে। রামপাল বা মাতারবাড়ীর মতো কয়লাভিত্তিক বিপজ্জনক ভুল প্রকল্পগুলো দ্রুত বন্ধ করা দরকার। কপের প্রক্রিয়া এই রূপান্তরে বাংলাদেশকে নানাভাবে সহযোগিতা করতে পারে। মাতারবাড়ী প্রকল্পের সামাজিক প্রভাববিষয়ক এক গবেষণায় ২০২২ সালে যুক্ত ছিলেন জার্মানির গবেষক ম্যারিওন গ্লেসার। ১৯ নভেম্বর ব্লু জোনের এক আলোচনায় তিনি বলেন, প্রকল্পটির কারণে বহু সামাজিক সংকট এবং বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে।

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক মেরি বার্লিক রাইস ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এক অধিবেশনে বলেন, বিদ্যমান স্বাস্থ্যব্যবস্থা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকির কারণে আরও ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে। ঢাকাসহ বাংলাদেশের সর্বত্র ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো রোগগুলো প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে এবং একই সঙ্গে উপকূল ও বরেন্দ্র অঞ্চলে লবণাক্ততা ও পানিসংকটের কারণে গ্রামীণ কিশোরী-নারীদের প্রজননস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য-জলবায়ু ব্যবস্থাপনা নিয়ে বাংলাদেশের নতুনভাবে কাজ করার আছে। 

আরও পড়ুন

জলবায়ু অর্থায়নের ব্যাখ্যা 

বাংলাদেশের মতো জলবায়ুগত ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু অর্থায়ন এবং বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করতে ‘বেলেম ফ্যাসিলিটি ফর ইমপ্লিমেন্টেশন’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিটি দেশ তার জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) এবং অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিভিন্ন জলবায়ু-প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে। প্যারিস জলবায়ু চুক্তির ধারা-৯ অনুযায়ী ঐতিহাসিকভাবে কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী উন্নত দেশগুলো যাতে জলবায়ু তহবিলে ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগের সমাধান করে, সে ক্ষেত্রেও বেলেম ফ্যাসিলিটি একটা অনুঘটক হতে পারে। 

জলবায়ু অর্থায়নের ‘কাঠামোগত সংজ্ঞায়ন’ নিয়ে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের সংজ্ঞায়ন নানাভাবেই রাজনৈতিক। জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে বিশ্বনেতৃত্বের ধারাবাহিক দীর্ঘসূত্রতাকে সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, অঙ্গীকার করা অর্থায়নের পরিমাণ ‘ছাই’ ছাড়া কিছুই নয়। বাংলাদেশের জলবায়ু অর্থায়ন নেগোসিয়েটর ফজলে রাব্বী সাদেক আহমেদ বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের কাঠামোগত সংজ্ঞা সুস্পষ্ট করা জরুরি। ঝুঁকি, প্রাণবৈচিত্র্য, অভিযোজন, প্রমোশন, পরিবেশ, ক্ষতিপূরণ এবং সামাজিক বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বৈশ্বিকভাবে গ্রহণযোগ্য জলবায়ু অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার ওপরও তিনি জোর দেন। 

আরও পড়ুন

জলবায়ু দেনদরবারের জন্য প্রস্তুতি

জলবায়ু দেনদরবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিতি দৃশ্যমান হয় না। অথচ এই দেশ সুরক্ষা করছে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত, ইরাবতী ডলফিন আর ইলিশ মাছের বৃহত্তম বিচরণস্থল, হালদা ও টাঙ্গুয়ার হাওরের মতো নদী-জলাভূমি, জামদানি ও শীতলপাটির মতো ভৌগোলিক মহিমা, জলবায়ুসহিষ্ণু দেশি ধান ও প্রাণিসম্পদের জাত। গ্রামীণ নিম্নবর্গ জাগিয়ে রেখেছে জলবায়ু সংগ্রাম। অথচ আমরা জলবায়ু সম্মেলনে দেশের শক্তি এবং সম্ভাবনা এবং ঝুঁকিকে গুরুত্বপূর্ণভাবে উপস্থাপন করতে পারি না। 

জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে বহু প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, নেটওয়ার্ক, জোট, সংগঠন তাদের গবেষণা, ঘোষণা, দাবি, কাজ ও অবস্থান জানিয়ে নানা রকম প্রকাশনা করে। প্যাভিলিয়ন, প্রদর্শনী, হাব ঘুরে এবং প্রকাশনাগুলো দেখে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন ও জলবায়ু-কাজের উপস্থাপনাগুলোকে দুর্বল মনে হয়। 

বিশ্বব্যাংকের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বৈশ্বিক পরিচালক ভেলেরি হিকেই ১৮ নভেম্বর বস্নুজোনে আয়োজিত এক সভায় বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত তথ্যভান্ডার, নীতি এবং প্রমাণ জরুরি। আদিবাসী জনগণ এখনো পৃথিবীর ৮০ ভাগ প্রাণবৈচিত্র্য পাহারা দেয়। পৃথিবীজুড়ে সুরিÿত বনের ৩৬ ভাগই আদিবাসী জনগণ রক্ষা করে (বিশ্বব্যাংক গ্রুপ, এমপাওয়ারিং ইনডিজেনাস পিপলস টু প্রটেক্ট ফরেস্ট ২০২৩)। স্থানীয় জনগোষ্ঠীসহ বাংলাদেশের জাতিসত্তাগুলোর প্রকৃতিব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু-ঝুঁকি সামালের কাজগুলো গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন হওয়া দরকার। জনগণ, বিদ্যায়তন, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জলবায়ু তৎপরতাগুলোর প্রামাণ্য উপস্থাপনা দেশের জন্য তহবিল প্রাপ্তি এবং জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিকে আরও পোক্ত করবে। 

আরও পড়ুন

পরের সম্মেলন তুরস্কে, বাংলাদেশে কবে?

এবার পিপলস প্ল্যানারিতে প্রতিবন্ধিতা (জলবায়ু) পরিষদের (কনস্টিটিউয়েন্সি) অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। এ নিয়ে নেপালের অধিকারকর্মী মুনা শাক্য খুব খুশি। বিশ্বনেতারা চাইলেই বিশ্বের সব মুনা শাক্যকে ঝুঁকিমুক্ত করতে পারেন। 

পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলন অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু চূড়ান্ত হয়েছে তুরস্ক। এর পরেরটি হবে ইথিওপিয়ায়। ইথিওপিয়ার নৃবিজ্ঞানী ফাসিল আর আমি বেলেম একই কক্ষে থেকেছি। বাংলাদেশ কবে জলবায়ু সম্মেলন আয়োজন করবে, তিনি জানতে চান। আমি বলেছি, ‘অবশ্যই সেই সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।’

বেলেম থেকে সাও পাওলো বিমানযাত্রায় আলাপ হয় পাপুয়া নিউগিনির গোরু বাবুনা, নাইজেরিয়ার খাদ্য অধিকারকর্মী লাকি ইগবা আবেং এবং কেনিয়ার গালগেল্লো হারু বরুর সঙ্গে। তাঁরাও মনে করেন, বেলেম সম্মেলন বরাবরের মতোই অঙ্গীকারভঙ্গ করেছে ; তবে সম্মেলন থেকে তৈরি হওয়া নতুন সম্ভাবনাগুলো নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া জরুরি। 

ল্যাপটপের চার্জার কিনতে গিয়ে ব্যুলেভার্দ শপিং মলে বেলেমের বিখ্যাত চিত্রকর ইম্মানুয়েল নাসারের ‘১৮ চাপাস (১৮ প্লেট)’ প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের শেষটুকু দেখা হয়। নাসার মূলত মিশ্র ও পপ মাধ্যমে কাজ করেন এবং তাঁর শিল্পকর্মের মাধ্যমে চলমান উন্নয়ন ও রাজনৈতিকতাকে বিদ্রূপ করেন। জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষ আয়োজিত এই প্রদর্শনীতেও নাসার চলমান নয়া উদারবাদী উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে প্রশ্ন করেছেন।

বেলেমে এসেই পরিচয় হয় ব্রাজিলিয়ান লেখক ও পরিবেশবাদী এইলটন ক্রেনারের সঙ্গে। তাঁর আইডিয়াস টু পস্টপন দ্য অ্যান্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড (২০২০)’, লাইফ ইজ নট ইউজফুল (২০২৩) কিংবা অ্যানসেস্ট্রাল ফিউচার (২০২৪) বইগুলো পড়ে বহু তরুণ পরিবেশকর্মী উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীর অণুজীব ও প্রাণসত্তা থেকে আমরা দূরে সরে এসেছি। পৃথিবীর সঙ্গে আমাদের বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়েছে। পৃথিবীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে গভীর করতে হবে।’ 

২১ নভেম্বর বেলেম সময়ে মধ্যরাতে দেয়ালে দেয়ালে আঁকা প্রায় পরিচিত হতে থাকা গ্রাফিতিগুলো পেছনে রেখে বিমানবন্দরে পৌঁছাই। ২২ নভেম্বর ভোরে বেলেম থেকে বিমানে রওনা দেই। মেঘের তলায় ঢাকা পড়ে বেলেম শহর, আমাজন বন আর বিশ্ব জলবায়ু মঞ্চ। গুয়ামা নদীর ধারে আমাজন বনের জেলে জুয়াও বাতিস্তা কিংবা চার্লেস তেরেসদের সঙ্গে যেসব কথা হয়েছে, তা অন্য কোনো আলাপের জন্য তোলা রইল।

● পাভেল পার্থ: লেখক ও গবেষক

 ই-মেইল: [email protected]

আরও পড়ুন