জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চায় চসিক
জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়ার আইডি হ্যাক করে জালিয়াতির ঘটনার পর চট্টগ্রাম নগরের পাঁচটি ওয়ার্ডে সনদ ইস্যু কার্যক্রমের ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি দিয়েছে সিটি করপোরেশন। জন্মনিবন্ধন সনদ নিতে নাগরিকদের ভোগান্তি দূর করতে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
৮ থেকে ২২ জানুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পাঁচটি ওয়ার্ডের আইডি ব্যবহার করে সার্ভারে অবৈধভাবে ঢুকে ৫৪৭টি জন্মনিবন্ধন সনদ নেওয়া হয়। এরপর গত মঙ্গলবার এসব ওয়ার্ডে জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু কার্যক্রম স্থগিত করে রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়।
৮ থেকে ২২ জানুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পাঁচটি ওয়ার্ডের আইডি ব্যবহার করে সার্ভারে অবৈধভাবে ঢুকে ৫৪৭টি জন্মনিবন্ধন সনদ নেওয়া হয়। এরপর গত মঙ্গলবার এসব ওয়ার্ডে জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু কার্যক্রম স্থগিত করে রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ অব্যাহত ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান ও আইডি-পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত করার উদ্যোগের মধ্যেই গত মঙ্গলবার রাতে নগরের লালখান বাজার ওয়ার্ডের আইডি ব্যবহার করে ১৩৩টি জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়েছে জালিয়াত চক্র।
সনদ ইস্যুর ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদ।
চিঠিতে বলা হয়, হ্যাকিংসংক্রান্ত জটিলতার কারণে সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ কাট্টলী, পাহাড়তলী, আন্দরকিল্লা, দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ও উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে। এতে ওয়ার্ডগুলোতে মানুষ জন্মনিবন্ধন করতে ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছে। জনভোগান্তি দূর করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে হ্যাকিং বা ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ গ্রহণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
রেজিস্ট্রার জেনারেলকে দেওয়া চিঠিতে সাময়িকভাবে স্থগিত করা পাঁচটি ওয়ার্ডের জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম সচল করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়।
এদিকে সনদ জালিয়াত চক্র শনাক্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছয়জনকে। গত সাত থেকে আট মাসে পাঁচ হাজারের বেশি সনদ নিয়েছে চক্রটি। তবে সার্ভার হ্যাক করে নাকি পাসওয়ার্ড দিয়ে ঢুকে এই কাজ করা হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জন্মনিবন্ধন সহকারীরা ধারণা করছেন, তাঁদের আইডি হ্যাক করে এসব সনদ বের করে নেওয়া হয়েছে।