- চাকসু নির্বাচনে আলোচিত ভিপি প্রার্থী কারা, দেখে নিন একনজরে
- চাকসু নির্বাচনে আলোচিত জিএস প্রার্থী কারা, দেখে নিন এক নজরে
- সন্তানকে কোলে নিয়ে দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন রেশমা
- সাড়ে চার ঘণ্টায় ভোট পড়ল ৪০ শতাংশ: নির্বাচন কমিশন
- আমার ভোট গোপন থাকছে না, বললেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ভোটার গোলাম কিবরিয়া
- ৪০০ ব্যালটে সই না থাকার অভিযোগ
- এক ছাত্রীর ভোট আরেকজন দিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
- চাকসু নির্বাচন: প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা তিন প্যানেলের
- অভিযোগ দেওয়ার পরও অসহায়ত্ব দেখিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার: ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী
- চাকসু নির্বাচন: চারুকলার হোস্টেলের ফল ঘোষণা, ভিপি পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এগিয়ে
- মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ভিপি পদে এগিয়ে ছাত্রদল, জিএসে শিবির
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিএনপি–ছাত্রদল ও জামায়াত–ছাত্রশিবির মুখোমুখি
- অতীশ দীপঙ্কর হলে ভিপি, জিএস ও এজিএস— তিন পদেই এগিয়ে ছাত্রদল
- কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের কেন্দ্রে ভিপি-জিএস পদে ছাত্রশিবির এগিয়ে, এজিএসে ছাত্রদল
- দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলে ভিপি-জিএসে পিছিয়ে গেল ছাত্রদল
- এফ রহমান, আলাওল ও শাহজালাল হলে ভিপি-জিএসে ছাত্রশিবির এগিয়ে
ভিপি-জিএসসহ ২৪টি পদে ছাত্রশিবিরের জয়
৪৪ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (চাকসু) আবারও নেতৃত্বে ফিরেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’-এর প্রার্থীরা ভিপি-জিএসসহ ২৪টি পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটায় সপ্তম চাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভিপি (সহসভাপতি) পদে ছাত্রশিবিরের মো. ইব্রাহিম হোসেন ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সংগঠনটির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের এমফিলের শিক্ষার্থী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।
জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ৮ হাজার ৩১ ভোট নির্বাচিত হয়েছেন একই প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক ও ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের মো. শাফায়াত পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৪ ভোট।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন ফলাফল ঘোষণার সময় বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। প্রার্থী ও ভোটাররা নির্বাচনে অসাধারণ উৎসবমুখর অংশগ্রহণ করেছেন।
চাকসুতে ২৬টি পদে নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র একটি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান। তিনি এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবির প্যানেলের সাজ্জাদ হোছন পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫ ভোট। এ ছাড়া সহ খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জিতেছেন তামান্না মাহবুব নামের এক স্বতন্ত্র প্রার্থী।
চাকসুর ইতিহাসে ছাত্রশিবিরের সর্বশেষ জয় এসেছিল ১৯৮১ সালে। তখন ভিপি হন জসিম উদ্দিন সরকার আর জিএস হন আবদুল গাফফার। দুজনই ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তৎকালীন নেতা।
এরপর দীর্ঘ ৪৪ বছর পর আবারও শিবির–সমর্থিত প্রার্থীরা সেই নেতৃত্বের আসনে ফিরলেন।
শাটল ট্রেনে ক্যাম্পাসে ভোট দিতে এল শিক্ষার্থীরা
সকাল ৮টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকেছে দিনের প্রথম শাটল ট্রেন। যাত্রীরা কেউ আজ ক্লাস-পরীক্ষায় বসবেন না। সবার উদ্দেশ্য একটাই-চাকসু নির্বাচনে ভোট দেওয়া।
ট্রেন থেকে নেমে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী উম্মে হুমাইরা প্রথম আলোকে বলেন, ‘৩৫ বছর পর আমাদের চাকসু নির্বাচন। এটা যেমন আমাদের জন্য গর্বের বিষয়, তেমনি আমরা যোগ্য প্রার্থী বেছে নিতে চাই।’
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী পারমিতা চক্রবর্তী বলেন, ‘এত দিন ক্লাস-পরীক্ষার জন্য ক্যাম্পাসে আসতাম। আজ এলাম ভোটার হিসেবে ইতিহাসের সাক্ষী হতে।’
আজ বুধবার চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। আর কিছুক্ষণ পরেই ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে।
ভোট দিতে সকালের প্রথম ট্রেনে ক্যাম্পাসে এসেছেন হাজারো শিক্ষার্থী। সকাল ৭টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে এই ট্রেন ক্যাম্পাসের উদ্দেশে রওনা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছায় সকাল ৮ টা ২০ মিনিটে। এরপর শাটল থেকে নেমে শিক্ষার্থীরা রওনা দেন অনুষদ ভবনগুলোতে। পাঁচটি অনুষদে ভোট নেওয়া হবে।
এবার ভোটার প্রায় ২৭ হাজার ৫১৬ জন। এর মধ্যে ছাত্রী সংখ্যা ১১ হাজার ১৫৬। নির্বাচনে লড়তে প্রার্থী হয়েছেন ৯০৮ জন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৬ পদে লড়ছেন ৪১৫ প্রার্থী। একই সঙ্গে ১৪টি হল ও ১টি হোস্টেলে প্রার্থী হয়েছেন ৪৯৩ জন।
কেন্দ্রীয় সংসদে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ২৪ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ২২ জন ও সহসাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চাকসু নির্বাচনে লাইনে ভোটাররা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন ভোটাররা।
আজ বুধবার সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। ভোট দেওয়ার জন্য সারিতে দাঁড়িয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথমবারের মতো ছাত্র সংসদে ভোট নিয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁরা।
এবার পাঁচটি অনুষদ ভবনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রের সামনে বিভিন্ন প্যানেলের কর্মী সমর্থকেরা অবস্থান করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ কেন্দ্রের সামনে কথা হয় পদার্থবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলমগীর ও মোহাম্মদ এজাজুল হকের সঙ্গে। দুই শিক্ষার্থীই প্রথম আলোকে বলেন, চাকসু নির্বাচন নিয়ে অনেকদিন ধরে অপেক্ষায় ছিলেন।
আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, প্রচারে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল। ভোট গ্রহণের দিনেও তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা তাঁর।
চাকসুতে এবার ভোটার প্রায় ২৭ হাজার ৫১৬ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ১১ হাজার ১৫৬ জন।
আধঘণ্টা দেরিতে শুরু হলো চাকসুর ভোট
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৯টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথমবারের মতো ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ভোট দিতে এসে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা।
এবার পাঁচটি অনুষদ ভবনে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রের সামনে বিভিন্ন প্যানেলের কর্মী-সমর্থকেরা অবস্থান করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ ভবনের কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম শরিফুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, নির্দেশনা মোতাবেক সাড়ে ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিচ্ছেন। বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট চলবে।
তবে কেউ ভোট দেওয়ার জন্য চারটার আগে লাইনে দাঁড়ালে তাঁকে ভোট দিতে সুযোগ দেওয়া হবে।
ভোট দিলেন দ্রোহ পর্ষদের ভিপি প্রার্থী ঋজু লক্ষ্মী
সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ভোট দিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (বাসদ) সমন্বয়ে গঠিত যৌথ প্যানেল ‘দ্রোহ পর্ষদ’–এর ভিপি প্রার্থী ঋজু লক্ষ্মী অবরোধ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ ভবন কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় ভোট দেন তিনি।
ভোট দেওয়ার পর ভিপি প্রার্থী ঋজু লক্ষ্মী অবরোধ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভোটারদের উপস্থিতি এখনো কম। তবে আশা করছি ভোটাররা আসবেন। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সারা দিন একই পরিস্থিতি থাকুক, এটিই প্রত্যাশা।’
তবে ভোটারদের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা রাখা হয়নি জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঋজু লক্ষ্মী অবরোধ। তিনি বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে ভোটাররা ভোগান্তিতে পড়েছেন। মূল ফটক থেকে বিভিন্ন অনুষদ ভবনে যে শিক্ষার্থীরা যাবেন, এর কোনো ব্যবস্থা প্রশাসন করেনি। এর আগেও আমরা নানান অব্যবস্থাপনা দেখেছি।’
‘প্রথম ভোট দিলাম, দারুণ লাগছে’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভবনে (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ) ভোট দিয়েছেন রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পায়েল মুহুরী। তিনি বলেন, ‘আমি রাউজান থেকে এসেছি। অন্যান্য দিন ক্লাস করার জন্য এলেও আজ ভোট দিতে এলাম। প্রথম ভোট দিলাম, দারুণ লাগছে।’
পায়েল আরও বলেন, ‘ক্যাম্পাসে থাকা অবস্থায় এমন নির্বাচন হচ্ছে। সত্যিকারের উৎসব মনে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তো পরিবেশ সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ মনে হচ্ছে। আশা করছি নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী পাব আমরা।’
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনে ভোট দিয়ে চারুকলা ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাবিহা আবছার নামের আরেক ভোটার বলেন, ‘জীবনে প্রথম ভোট দিয়েছি। তাও একসঙ্গে ৪০ টি। ভোটার হলেও জাতীয় কিংবা স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পরিবেশ ছিল না। তাই চাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে পেরে আনন্দ লাগছে।’
তাঁর পাশে ভোটার সাবরিনা সুলতানা বলেন, ‘পরীক্ষার প্রস্তুতির মতো ভোট দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। যাচাই-বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি, যারা ছাত্রদের কল্যাণের জন্য কাজ করবে।’
আঙুলের অমোচনীয় কালি উঠে যাচ্ছে, অভিযোগ ছাত্রদলের জিএস প্রার্থীর
ছাত্রদলের প্যানেলের জিএস প্রার্থী মো. শাফায়াত হোসেন অভিযোগ করেছেন, ভোটারের আঙুলে অমোচনীয় যে কালি দেওয়া হচ্ছে তা এক ঘষাতেই উঠে যাচ্ছে।
আজ বুধবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ৩১২৪ নম্বর কক্ষে ভোট দিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মো. শাফায়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ। মাত্র একটি ট্রেন ক্যাম্পাসে এসেছে। বেশি শিক্ষার্থী দেখা যাচ্ছে না। তবে বেলা গড়ালে শিক্ষার্থীরা হয়তো ভোট দিতে আসবেন।
কালি উঠে যাওয়ার বিষয়টি শাফায়াত ঘটনাস্থলে থাকা নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদকে জানান। নির্বাচন কমিশনার মমতাজ উদ্দিন এ বিষয়ে শাফায়াতকে বলেন, কালি উঠে গেলেও শিক্ষার্থীদের নাম তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হচ্ছে। ফলে কোনো সমস্যা হবে না।
দেখুন এক নজরে চাকসু নির্বাচন
শিক্ষার্থীদের রায় মেনে নেব, তবে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া দুঃখজনক: ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী
চাকসু নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ ভবন কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন।
ভোট দেওয়া শেষে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের যে রায় দেবেন, আমরা তা মেনে নেব। জয়-পরাজয় যেটিই হোক, আমরা অতীতে যেভাবে শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম সেভাবেই থাকব। তবে যে প্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণ হচ্ছে সেটি দুঃখজনক’।
সাজ্জাদ হোসেন আরও অভিযোগ করেন, ‘ ভোট শেষে একজন ভোটারের আঙুলে দাগ দেওয়া হচ্ছে। তবে সে দাগ উঠে যাচ্ছে। এতে একজনের একাধিক ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। কী কারণে এমনটা হচ্ছে তা আমরা জানতে চাই’।
অমোচনীয় কালি ব্যবহার হয়নি, নিরপেক্ষতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হলো: ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী
চাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. ইব্রাহীম হোসেন ভোট দিয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ ভবন কেন্দ্রে ভোট দেন।
ভোট দেওয়া শেষে মো. ইব্রাহীম হোসেন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে। কিন্তু সেটি করা হয়নি। এ কালির মধ্যে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে একটা শঙ্কা তৈরি হলো’। তিনি আরও বলেন, ‘ভোট গ্রহণ খুবই ধীর গতিতে হচ্ছে। এ কারণে, আমরা জানতে পেরেছি, সমাজবিজ্ঞান অনুষদে কয়েকটা ভোট পড়েছে। শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে এসে ফিরে যাবে, এর চেয়ে দুঃখের বিষয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকতে পারে না।’
ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের এই ভিপি প্রার্থী আরও বলেন, ‘একটি কক্ষে পোলিং কর্মকর্তার সই ছাড়া ভোট দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোনোভাবেই নির্বাচন কমিশন এত বেশি অসচেতন ভূমিকা রাখতে পারেন না। আবার ছাত্র না, এমন অনেকেই পরিচয়পত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা সবার জানা দরকার’।
ওএমআরে ভোট গণনা হবে, সময় নষ্ট হবে না: সহউপাচার্য
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য মো. কামাল উদ্দিন (প্রশাসন) সাংবাদিকদের বলেছেন, ওএমআরে ভোট গণনা হবে, অযথা সময় নষ্ট হবে না।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফলাফল ঘোষণার চেষ্টা করা হবে বলে জানান কামাল উদ্দিন।
আজ বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতারের সঙ্গে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় বিজ্ঞান অনুষদে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় সহউপাচার্য শামীম উদ্দিন খানও (শিক্ষা) উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
চাকসু নির্বাচনে আলোচিত ভিপি প্রার্থী কারা, দেখে নিন একনজরে
অমোচনীয় কালি না পাওয়ার কারণ জানাল নির্বাচন কমিশন, দিচ্ছে ‘সাধারণ মার্কার’
চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটারের আঙুলে অমোচনীয় যে কালি দেওয়া হচ্ছে, তা এক ঘষাতেই উঠে যাচ্ছে—এ অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় চাকসু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মনির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তারা জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য সাধারণত জার্মানি থেকে অমোচনীয় কালি আনা হয়। নির্বাচনের পরে তা আবার ধ্বংসও করা হয়। ফলে অমোচনীয় কালি পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই।’
এখন ভোটারদের আঙুলে সাধারণ মার্কার দিয়ে কালি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
এক ঘষাতে কালি উঠে যাওয়া প্রসঙ্গে চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এটি কোনো সমস্যার সৃষ্টি করবে না। কারণ, কয়েক ধাপে ভোটারদের পরিচয় শনাক্ত করা হচ্ছে।’
আইটি অনুষদের ভোট কেন্দ্রে ১২টি সইবিহীন ব্যালট পাওয়ার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি ভুলবশত হয়েছে। ১২টি ব্যালট আলাদা করে কেন্দ্রের দায়িত্বে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা সই করবেন।’
আজ সকাল ৯টা থেকে চাকসু ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও আধা ঘণ্টা দেরিতে তা শুরু হয়। এ বিষয়ে অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, ‘ভোটগ্রহণ সকাল ৯টাতেই শুরু হয়েছে। যদিও কোনো কোনো কেন্দ্রে ১০-১৫ মিনিট এদিক-সেদিক হয়েছে।’
চাকসু নির্বাচনে আলোচিত জিএস প্রার্থী কারা, দেখে নিন এক নজরে
প্রকৌশল অনুষদ কেন্দ্রে ১২টা পর্যন্ত ২১% ভোট পড়েছে
চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ২১ শতাংশ। কেন্দ্রটির মোট ভোটার ৪ হাজার ৩৬ জন। এর মধ্যে ৮৫৩ জন ভোট দিয়েছেন।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. জাফর উল্লাহ তালুকদার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতিও বাড়ছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে।
প্রকৌশল অনুষদ কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন সোহরাওয়ার্দী হলের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের শিক্ষার্থীরা সাধারণত এ হলে আসন বরাদ্দ পান।
ছবিতে চাকসু নির্বাচন
সন্তানকে কোলে নিয়ে দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন রেশমা
রেশমা আক্তারের কোলে ২০ মাস বয়সী শিশুসন্তান। শিশুকে রেখেই ভোট দিতে আসতে চেয়েছিলেন। তবে কান্নাকাটি করায় শিশুকে কোলে নিয়েই এসে দাঁড়ান ভোটারদের লাইনে।
দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন । এরপর ভোট দেওয়ার সুযোগ পান তিনি। আজ বুধবার বেলা একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি বুথে ভোট দেন রেশমা আক্তার।
ভোট শেষে কক্ষ থেকে বেরিয়ে রেশমা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেলা এগারোটায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। ভোট দিতে পেরেছি একটায়। সন্তানকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হয়েছে। তবু ভোট দিতে পেরে আমি খুশি। আমার সঙ্গে আমার ২০ মাসের সন্তান রাফায়েত আবদুল্লাহও ইতিহাসের সাক্ষী হলো’।
রেশমা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সাড়ে চার ঘণ্টায় ভোট পড়ল ৪০ শতাংশ: নির্বাচন কমিশন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের সাড়ে চার ঘণ্টা শেষ হয়েছে বেলা ২টায়। এই সময়ে ভোট পড়েছে প্রায় ১১ হাজার, মোট ভোটের প্রায় ৪০ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশনার জি এইচ হাবীব বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
আজ বুধবার সকাল ৯টায় ভোট শুরুর কথা ছিল। তবে শুরু হয়েছে সকাল সাড়ে ৯টায়।
চাকসুতে এবার ভোটার প্রায় ২৭ হাজার ৫১৬ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ১১ হাজার ১৫৬ জন। নির্বাচনে লড়তে প্রার্থী হয়েছেন ৯০৮ জন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৬ পদে লড়ছেন ৪১৫ প্রার্থী। একই সঙ্গে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলে প্রার্থী হয়েছেন ৪৯৩ জন।
আমার ভোট গোপন থাকছে না, বললেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ভোটার গোলাম কিবরিয়া
ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ বলে অভিযোগ করেছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ভোটার গোলাম কিবরিয়া। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমরা ৭৬ জন ভোটার দাবি জানিয়ে আসছিলাম, যাতে ব্রেইল পদ্ধতিতে আমাদের ভোট দিতে পারি। তবে কমিশন অন্য একজনকে সঙ্গে নিয়ে ভোটের ব্যবস্থা করেছে। এতে আমার ভোট গোপন থাকছে না।’
আজ বুধবার দুপুরে চাকসু ভবনের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ জানান গোলাম কিবরিয়া। চাকসু ভবনের ভোট দিতে এসে পরিস্থিতি দেখার পর তিনি এসব কথা বলেন।
এই ভোটার বলেন, ‘অনেক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ভোট দিয়েছেন। তাঁদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। আমি এখনো ভোট দিইনি। অন্য একজনকে সঙ্গে নিয়ে কীভাবে ভোট দেব তা নিয়ে ভাবছি।’
নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভোটের ব্যবস্থা করেছি। গোপন কক্ষে একজন সহায়তাকারী নিয়ে তাঁরা ভোট দিচ্ছেন। এত কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
৪০০ ব্যালটে সই না থাকার অভিযোগ
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ কেন্দ্রে নির্বাচন কর্মকর্তার সই ছাড়া অনেক ব্যালট বাক্সে জমা পড়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিনির্মাণ শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের নির্বাচন পর্যবেক্ষক তৌহিদুল ইসলাম।
আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে ৪০০টি ব্যালট পেপারে সই ছিল না। এটি অনিয়ম।’ ব্যালট পেপারেও নির্বাচনী কর্মকর্তার স্বাক্ষরের ঘর রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের ভোটের দিনের নির্দেশিকাতেও ব্যালট পেপারে নির্বাচনী কর্মকর্তার স্বাক্ষর করার বিধি রয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ৩৩৬ নম্বর কক্ষে দায়িত্বরত সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কাউসার হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুরুতে ব্যালটে সই করার নির্দেশনা ছিল না। অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যালটে সই করা হচ্ছে।’
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘কেন্দ্রে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতিতে এসব ব্যালটে শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন। আমাদের দায়িত্বে থাকা কক্ষে ৫০টির মতো ব্যালট হতে পারে। অন্য কক্ষের বিষয়ে আমি জানি না।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে ৮০ জন এবং প্রকৌশল অনুষদ কেন্দ্রে ১৬ জনের মতো ভোটার সইবিহীন ব্যালটে ভোট দিয়েছেন। সই ছাড়া ব্যালটের তালিকা করতে বলা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এক ছাত্রীর ভোট আরেকজন দিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
চাকসু নির্বাচনে একজনের ভোট আরেকজন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার দুপুরে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২৩৫ নম্বর কক্ষে এক ভোটার এই অভিযোগ করেন।
মিফতাহুল জান্নাত নামের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ওই ভোটার সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন, তিনি ভোট দিতে এসে দেখেন তাঁর ভোট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর ভোটার নম্বর ১৬০৭।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাহসিন উল আবেদিন প্রথম আলোকে বলেন, মিফতাহুল জান্নাত নামের আরেক যে ভোটার সকালে ভোট দিতে এসেছেন তাঁর পরিচয়পত্র ও চেহারায় মিল ছিল। তাই পোলিং এজেন্টরা কেউ আপত্তি করেননি।
পরে দুপুরের দিকে মিফতাহুল জান্নাত নামে আরেক ভোটার এলে তাঁকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। এই নামে একজন ভোট দেওয়ায় তাঁকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বলে জানান প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।
সঠিক ভোটার কে প্রশ্ন করা হলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বলেন, ছবির সঙ্গে চেহারায় মিল না থাকলে ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না। বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
চাকসুর ভোট গ্রহণ শেষ, ফলাফলের অপেক্ষা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল চারটায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। তবে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে সারিতে অপেক্ষমাণ ভোটাররা বিকেল চারটার পরও ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ভোটগ্রহণ শেষে এখন ফলাফলের অপেক্ষায় বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা অবস্থান করছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. মনির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশে বিকেল চারটায় শেষ হয়েছে। এখন কেন্দ্র থেকে ব্যালটগুলো পৃথক করে ডিন কার্যালয়ে নেওয়া হবে। এরপর সেখানে ক্যামেরার সামনে ভোট গণনা করা হবে।
এবারের নির্বাচনে দিনভর ভোটারদের মাঝে উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা ছিল। তবে সই ছাড়া ব্যালট পেপারে ভোট দেওয়া, অমোচনীয় কালি ওঠে যাওয়াসহ নির্বাচনে ভোটগ্রহণে অব্যবস্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ করে ছাত্রদলসহ কয়েকটি প্যানেল।
চাকসুর নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ ছাত্রদলের
চাকসুর ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছে ছাত্রদল। বিকেল সোয়া চারটার দিকে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সামনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনার অথর্ব নির্বাচন কমিশনার। এই মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনারের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা-আস্থার জায়গা নষ্ট হয়ে গেছে।’
নোমান বলেন, ‘একটা প্যানেলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের আটটি অভিযোগ এসেছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে শাস্তি, সে শাস্তি নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করতে পারেনি। কারণ একটা, বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার স্বার্থে।’ তিনি বলেন, ‘এই প্রশাসন জামায়াতি প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন। এটা জানার পরও আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখার স্বার্থে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। কিন্তু আমরা দেখেছি ডাকসু ও জাকসুর ন্যায় এটিও একটি প্রহসনমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে।’
ছাত্রদল নেতা নোমানের বক্তব্যের সময় তাঁর পাশে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী মাহফুজুর রহমান, দ্রোহ পর্ষদ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ঋজু লক্ষ্মী, সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদের জিএস প্রার্থী সাকিব মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও নোমানের কথায় সায় দেন।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছিল ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে যে অভিযোগগুলো এসেছে, অনিয়ম হয়েছে, কারচুপি হয়েছে; সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে চাকসু নির্বাচনকে সুষ্ঠু নির্বাচনরূপে আমাদের কাছে উপহার দেবেন। তাঁরা আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, তাঁরা অমোচনীয় কালি দেবেন। কিন্তু তাঁরা সেখানে ব্যর্থ হয়েছেন।’
চাকসুর ভোট গণনা চলছে, পর্যবেক্ষণ হচ্ছে সিসি ক্যামেরায়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদের ভোট গণনা চলছে। আজ বুধবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে এ গণনা শুরু হয়। পোলিং এজেন্টদের উপস্থিততে গণনা চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ভোট গণনা চলছে পাঁচটি ডিন কার্যালয়ে। পরে এই পাঁচটি ডিন কার্যালয়েই আলাদাভাবে হল সংসদের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। আর কেন্দ্রীয় সংসদের ফল ঘোষণা হবে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সামনে।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ভোটগণনার পুরো বিষয়টি সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
চাকসু নির্বাচন: প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা তিন প্যানেলের
চাকসু নির্বাচনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে তিনটি প্যানেল। আজ বুধবার বিকেলে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে বামধারার ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’; ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) ও ছাত্রফ্রন্ট (বাসদ) সমর্থিত দ্রোহ পর্ষদ এবং ‘অহিংস শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল এই অভিযোগ করে।
চাকসু ভবনের সামনে এসব সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে দ্রোহ পর্ষদের ভিপি প্রার্থী ঋজু লক্ষ্মী বলেন, ‘শুরু থেকেই প্রশাসন পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে। এ বিষয়গুলো সুরাহা করতে হবে।’
বৈচিত্র্যের ঐক্যর ভিপি প্রার্থী ধ্রুব বড়ুয়া বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার নানান লক্ষণ আমরা দেখছি। ... ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রদলের বিরুদ্ধেও রয়েছে। প্রশাসন ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেনি।’
বহিরাগতদের আটকাতে প্রশাসন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে: ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী
চাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মো. ইব্রাহীম হোসেন অভিযোগ করেছেন, ভোটকেন্দ্রে ছাত্রদলের আলাওল হলের জিএস প্রার্থীসহ অনেকের সঙ্গে বহিরাগতদের দেখা গেছে। অথচ পরিচয়পত্র ছাড়া কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের কথা নয়। প্রশাসন বহিরাগতদের আটকাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় ছয়টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ইব্রাহীম হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। তিনি এ সময় আচরণবিধি লঙ্ঘন করার পরও ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী বলেন, ‘হাতের কালি অমোচনীয় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা দেখলাম এ কালি মুছে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন এ বিষয়ে আরও সচেতন হতে পারতেন।’ তিনি বলেন, প্রকৌশল অনুষদ ভবনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছাড়াই ১০ থেকে ১৫ টি ব্যালট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অসতর্কতার কারণে এমনটি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে এই অসতর্কতার কারণে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
চাকসু: একটি প্যানেলের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা, পুনরায় ভোটের দাবি
কারচুপির অভিযোগ এনে চাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্ট সমর্থিত প্যানেল ‘রেভ্যুলেশন ফর স্টেট অব হিউম্যানিটি’। পুনরায় ভোটগ্রহণেরও দাবি করেছেন প্যানেলটির প্রার্থীরা।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে প্যানেলটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী কেফায়েত উল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ পুরোদিন পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে। আমরা যখনই বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছি, তখনই প্রশাসনের দায়সারা আচরণ দেখতে পেয়েছি।’
কেফায়েত উল্লাহ বলেন, ‘ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে ব্যালট পেপারে কারচুপি হয়েছে। ছাত্রশিবির ও ছাত্রী সংস্থা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। এ সব ব্যাপারে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। তবে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর কোনো জবাব আমরা পাইনি।’
অভিযোগ দেওয়ার পরও অসহায়ত্ব দেখিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার: ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়নি অভিযোগ তুলে চাকসু নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার এই নির্বাচনে কলঙ্কিত অধ্যায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বারবার অভিযোগ দেওয়ার পরেও অসহায়ত্ব দেখিয়েছেন, দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। আমরা মনে করি, উনাদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।'
সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সার্বক্ষণিক নিরবচ্ছিন্ন এলইডি স্ক্রিন থাকবে। কিন্তু আমরা দেখলাম বিভিন্ন কেন্দ্রে এলইডি স্ক্রিন বারবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। আমরা দেখেছি যেখানে অন্য প্রার্থীরা ঢুকতে পারেননি, সেখানে ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রী সংস্থার প্রার্থীরা গিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। আমরা বারবার অভিযোগ জানানোর পরেও নির্বাচন কমিশনার ব্যবস্থা নেননি।’
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী শাফায়াত হোসেন অভিযোগ করেন, নতুন কলা অনুষদ ভবনের সামনে তিনিসহ কয়েকজনের ওপর বহিরাগতরা হামলার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবে হয়নি। আমরা চেয়েছিলাম একটা সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।'
চাকসু নির্বাচনে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে: প্রধান নির্বাচন কমিশনার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনারে প্রধান অধ্যাপক মনির উদ্দিন। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে প্রথম আলোকে তিনি এ তথ্য জানান।
অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে সব কেন্দ্রের তথ্য আসেনি। তবে সার্বিকভাবে বলা যায়, প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন। সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনে ৬৭ দশমিক ১৭ শতাংশ, আইটি ভবনে ৭২ শতাংশ এবং বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে ৬৯ শতাংশ ভোটারের ভোট পড়েছে।’
চাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন। আজ সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
চাকসু নির্বাচন: চারুকলার হোস্টেলের ফল ঘোষণা, ভিপি পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এগিয়ে
চাকসু নির্বাচনে চারুকলার হোস্টেলের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলাফলে ভিপি ও এজিএস পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। জিএস পদে এগিয়ে রয়েছেন বামধারার ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী। আজ বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে এ ফল ঘোষণা করা হয়।
এই হোস্টেলের নাম ‘শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেল’। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা থাকেন। ১৫৪ শিক্ষার্থীর এই হোস্টেলে ১২৪ জন ভোট দিয়েছেন।
ফলাফলে দেখা যায়, হোস্টেলটিতে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৩৪ ভোট। ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের মো. ইব্রাহীম হোসেন পেয়েছেন ২৭ ভোট। এ ছাড়া 'বৈচিত্র্যের ঐক্য' প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ধ্রুব বড়ুয়া ২৬ ভোট পেয়েছেন।
জিএস পদে 'বৈচিত্র্যের ঐক্য' প্যানেলের প্রার্থী সুদর্শন চাকমা ২৯ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ২৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী সাঈদ বিন হাবীব। ছাত্রদলের প্রার্থী মো. শাফায়াত হোসেন পেয়েছেন ২৪ ভোট। এদিকে এজিএস পদে ছাত্রদল সমর্থিত আয়ুবুর রহমান ৩৮ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ভিপি পদে এগিয়ে ছাত্রদল, জিএসে শিবির
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (চাকসু) মাস্টারদা সূর্যসেন হলেও ভিপি পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল। এ হলে ভিপি পদে ছাত্রদল সমর্থিত সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ১৪১ ভোট। আর ছাত্রশিবির সমর্থিত ইব্রাহীম হোসেন পেয়েছেন ১৩০ ভোট।
ছাত্রশিবিরের জিএস প্রার্থী সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ১৭৫ ভোট। আর এজিএস পদেও ছাত্রদল এগিয়ে। এ পদে দলটি আইয়ুবুর রহমান পেয়েছেন ১৭০ ভোট।
নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী রাত ১১টা ৭ মিনিটে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিএনপি–ছাত্রদল ও জামায়াত–ছাত্রশিবির মুখোমুখি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের অক্সিজেন–হাটহাজারী সড়কের এক নম্বর গেট এলাকায় রাত থেকে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে বিএনপি–ছাত্রদল ও জামায়াত–ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে এখনো কোনো কোনো হলের ভোট গণনা চলছে, ফলাফল ঘোষণা হয়নি।
আজ বুধবার রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা সেখানে স্লোগান দিচ্ছেন। তাঁদের কাছেই কিছুটা দূরে অবস্থান করছেন ছাত্রশিবিরের সমর্থকেরা। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। রয়েছে পুলিশের একটি সাঁজোয়া যানও।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘জামায়াত–শিবিরের বহিরাগতরা এসে ১ নম্বর গেটে অবস্থান নিয়েছে। নির্বাচনে কারচুপি ও নানা অনিয়ম হয়েছে। সে কারণেই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিয়েছি।’
তবে ঘটনাস্থলে থাকা জামায়াত–শিবিরের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক নম্বর গেট এলাকায় দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। তবে এখনো কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। আমরা তাঁদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে অনেকেই সরে গেছেন।’
অতীশ দীপঙ্কর হলে ভিপি, জিএস ও এজিএস— তিন পদেই এগিয়ে ছাত্রদল
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হলে ভিপি পদে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন। এ পদে তিনি পেয়েছেন ২২৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবিরের ভিপিপ্রার্থী পেয়েছেন ৯০ ভোট। ৯০ ভোট পেয়েছেন গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট সমর্থিত ধ্রুব বড়ুয়া।
অন্যদিকে জিএস পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী শাফায়াত হোসেন পেয়েছেন ১৬৪ ভোট । একই পদে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট সমর্থিত প্রার্থী সুদর্শন চাকমা পেয়েছেন ১৩১ ভোট, আর ছাত্রশিবির সমর্থিত সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ৮৩ ভোট।
এজিএস পদে ছাত্রদলের প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান পেয়েছেন ২৬৬ ভোট। একই পদে ছাত্র ফেডারেশন ও স্টুডেন্টস অ্যালয়েন্স ফর ডেমোক্রেসি সমর্থিত পলাশ দে পেয়েছেন ৬২ ভোট আর গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট সমর্থিত জাকিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৭ ভোট।
আজ রাত সোয়া ১২ টার দিকে এ ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী। সমাজবিজ্ঞান অনুষদে ডিন কার্যালয়ে এ ফল ঘোষণা করা হয়।
ফল ঘোষণা নিয়ে ছাত্রদল-শিবিরের হট্টগোল, সহ-উপাচার্য অবরুদ্ধ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটেও দুই পক্ষ সেখানে অবস্থান নিচ্ছিল। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনকে প্রকৌশল অনুষদ ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ সোহরাওয়ার্দী হলে ভিপি পদে জমাদিউল আওয়ালকে কারচুপির মাধ্যমে হারানো হয়েছে। তাঁকে ১ হাজার ২০৩ ভোট দেওয়া হয়েছে, এই পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত নেয়ামত উল্লাহ ১ হাজার ২০৬ ভোট পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে ছাত্রদলের এক কর্মী ঘটনাস্থলে প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, প্রকৌশল অনুষদের ৩১২ নম্বর কক্ষে দর্শন ও সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছে। অথচ এই কক্ষে জমাদিউল আওয়াল পেয়েছেন ৩ ভোট৷ এমনটি হওয়ার কথা নয়। আর দর্শন বিভাগের অনেকের সঙ্গে জমাদিউল আওয়ালের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাঁকে কারচুপির মাধ্যমে ৩ ভোট দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ফলাফল ঘোষণা শেষে চলে যাচ্ছিলেন। এরপর একদল শিক্ষার্থী তাঁর পথ আটকে সোহরাওয়ার্দী হল সংসদে এই ভবনের ৩১২ নম্বর কক্ষের ভোট আবার গণনার দাবি করেছেন। এ সময় তিনি এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। তবে তাঁরা মানেননি। এখন তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে৷
কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের কেন্দ্রে ভিপি-জিএস পদে ছাত্রশিবির এগিয়ে, এজিএসে ছাত্রদল
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের নতুন ভবন শহীদ হৃদয় চন্দ্র তরুয়া কেন্দ্রটিতে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি (সহসভাপতি) প্রার্থী ইব্রাহীম হোসেন পেয়েছেন ১ হাজার ৫৫৩ ভোট। তাঁর নিকটতম ছাত্রদলের প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৯৫৯ ভোট।
জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ১ হাজার ৫২৪ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম ছাত্রদল প্যানেলের মো. শাফায়েত হোসেন ৭০৫ ভোট পেয়েছেন।
এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে ছাত্রদল প্যানেলের আইয়ুবুর রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ৪৯২ ভোট। তাঁর নিকটতম ছাত্রশিবির প্যানেলের সাজ্জাদ হোছন পেয়েছেন ১ হাজার ২৩৯ ভোট।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলে ভিপি-জিএসে পিছিয়ে গেল ছাত্রদল
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (চাকসু) দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলে ভিপি (সহসভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রশিবির। এ হলে ছাত্রশিবিরের প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন পেয়েছেন ৬২২ ভোট। ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৩০৩ ভোট। অন্যদিকে জিএস পদে ছাত্রশিবিরের প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ৬৮১ ভোট। ছাত্রদলের মো. শাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন ১৪৬ ভোট।
এ হলে এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে ছাত্রদলের প্যানেলের আইয়ুবুর রহমান এগিয়ে রয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৩৬ ভোট। ছাত্রশিবিরের প্যানেলের সাজ্জাদ হোছন পেয়েছেন ৩৭৬ ভোট।
রির্টানিং কর্মকর্তা এনায়েত উল্লাহ পাটোয়ারী বুধবার দিবাগত রাত ২ টা ২০ মিনিটে ফলাফল ঘোষণা করেন।
এফ রহমান, আলাওল ও শাহজালাল হলে ভিপি-জিএসে ছাত্রশিবির এগিয়ে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে এ এফ রহমান হলে ভিপি (সহসভাপতি) পদে ৩৮১ ভোট পেয়েছেন ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের ইব্রাহীম হোসেন। তাঁর নিকটতম ছাত্রদল প্যানেলের মো. সাজ্জাদ হোসেন ২২৬ ভোট পেয়েছেন।
জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ৩৫১ ভোট পেয়েছেন ছাত্রশিবির প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব। তাঁর নিকটতম ছাত্রদল প্যানেলের মো. শাফায়েত হোসেন ২২০ ভোট পেয়েছেন।
এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে ৪৪২ ভোট পেয়েছেন ছাত্রদল প্যানেলের আইয়ুবুর রহমান। তাঁর নিকটতম ছাত্রশিবির প্যানেলের সাজ্জাদ হোছন ২৩১ ভোট পেয়েছেন।
আলাওল হলে ভিপি পদে ৩৯৩ ভোট পেয়েছেন ছাত্রশিবির প্যানেলের ইব্রাহীম হোসেন। তাঁর নিকটতম ছাত্রদল প্যানেলের মো. সাজ্জাদ হোসেন ২৫২ ভোট পেয়েছেন।
জিএস পদে ৩৯৩ ভোট পেয়েছেন ছাত্রশিবির প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব। তাঁর নিকটতম ছাত্রদল প্যানেলের মো. শাফায়েত হোসেন ২০০ ভোট পেয়েছেন।
এজিএস পদে ৪৭১ ভোট পেয়েছেন ছাত্রদল প্যানেলের আইয়ুবুর রহমান। তাঁর নিকটতম ছাত্রশিবির প্যানেলের সাজ্জাদ হোছন ২২৫ ভোট পেয়েছেন।
শাহজালাল হলে ভিপি পদে ৭৭৯ ভোট পেয়েছেন ছাত্রশিবির প্যানেলের ইব্রাহীম হোসেন। তাঁর নিকটতম ছাত্রদল প্যানেলের মো. সাজ্জাদ হোসেন ৪৮১ ভোট পেয়েছেন।
জিএস পদে ৭৮০ ভোট পেয়েছেন ছাত্রশিবির প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব। তাঁর নিকটতম ছাত্রদল প্যানেলের মো. শাফায়েত হোসেন ২৮৫ ভোট পেয়েছেন।
এজিএস পদে ৭৮৩ ভোট পেয়েছেন ছাত্রশিবির প্যানেলের সাজ্জাদ হোছন। তাঁর নিকটতম ছাত্রদল প্যানেলের আইয়ুবুর রহমান ৫৭৯ ভোট পেয়েছেন।
বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে এ ফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল শাহিন খান।
সহ-উপাচার্যকে বের করে আনার চেষ্টায় পুলিশ, পথ আটকে আছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল সংসদে ভোট কারচুপির অভিযোগে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধের দেড় ঘণ্টা পর বের করে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে পথ আটকে রেখে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
এর আগে রাত একটার দিকে সোহরাওয়ার্দী হল সংসদে ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থীকে কারচুপির মাধ্যমে হারানোর অভিযোগ করে সংগঠনটি। এ সময় তাঁরা প্রকৌশল অনুষদের ৩১২ নম্বর কক্ষের ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানান। পরে রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ এসে সহ-উপাচার্যকে প্রকৌশল অনুষদ থেকে বের করে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে ভবনের ফটক থেকে বের করতেই আবার পথ আটকান ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। রাত পৌনে তিনটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সহ-উপাচার্য অবরুদ্ধ ছিলেন।
ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, সোহরাওয়ার্দী হলে ভিপি পদে জমাদিউল আওয়ালকে কারচুপির মাধ্যমে হারানো হয়েছে। তাঁকে ১ হাজার ২০৩ ভোট দেওয়া হয়েছে, এই পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত নেয়ামত উল্লাহ ১ হাজার ২০৬ ভোট পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আড়াই ঘন্টা পর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত সহ-উপাচার্য
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন আড়াই ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ১৫ মিনিটে তিনি মুক্ত হন।
এর আগে রাত ১২টা ৫০ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী হল সংসদে ভিপি (সহসভাপতি) পদে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে কামাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা এ পদের ভোট আবার গণনা দাবি করেছিলেন।
ছাত্রদলের নেতারা জানান, সহ-উপাচার্য তাঁদের এ পদের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন। এ কারণে তাঁকে ছাড়া হয়েছে৷
জানতে চাইলে শাখা ছাত্রদলের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দীন সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, সহ-উপাচার্য ফলাফল পুনর্বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
১০ হলের ফলাফলে ভিপি-জিএসে ছাত্রশিবির, এজিএসে ছাত্রদল এগিয়ে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ১০টি আবাসিক হলের ফল ঘোষণা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি হলে ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের ভিপি (সহসভাপতি) প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন ও ছয়টিতে ছাত্রশিবির–সমর্থিত সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মো. ইব্রাহিম হোসেন এগিয়ে গেছেন। মোট ভোটে এগিয়ে আছেন ইব্রাহিম।
ইব্রাহিম ১০ হলে মোট ভোট পেয়েছেন ৪ হাজার ৬১৮। সাজ্জাদ পেয়েছেন ২ হাজার ৮৫৮ ভোট।
১০টি হলে জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৯৭। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের মো. শাফায়াত পেয়েছেন ১ হাজার ৭৮৯ ভোট।
অন্যদিকে নয়টি হলে এজিএস পদে এগিয়ে আছেন ছাত্রদলের প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ২০৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবিরের সাজ্জাত হোছন পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৭ ভোট।
বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১৪টি হল ও ১টি হোস্টেল রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি হল ও ১টি হোস্টেলের ফলাফল পাওয়া গেছে।