যৌথ বাহিনীর হাতে আটকের পর যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় ‘অধিকার’–এর প্রতিবাদ

অধিকারের লোগোছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় যৌথ বাহিনী আটক করার পর যুবদল নেতা মো. তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার। পাশাপাশি নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। রোববার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এসব দাবি জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত সাড়ে ১৫ বছরে তৎকালীন কর্তৃত্ববাদী সরকারের নির্দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা বিরোধী দল ও মত দমন করতে নির্যাতন এবং তথাকথিত ক্রসফায়ারের নামে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন করতে শেখ হাসিনা সরকার নির্বিচার গণহত্যা চালায়, যার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। তবে গণহত্যা চালিয়েও সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় এবং গণবিস্ফোরণের ফলে তাদের পতন ঘটে।

আরও পড়ুন

ছাত্র-জনতার মূল অনুপ্রেরণা ছিল বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা গড়া উল্লেখ করে অধিকারের বিবৃতিতে বলা হয়, এই লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুলিশকে জবাবদিহির আওতায় আনতে এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবমুক্ত করতে পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে। তবে এরপরও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ উঠেছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

অধিকারের তথ্যমতে, গত ৯ আগস্ট থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আট ব্যক্তি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও যৌথ বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন