টাকা যেভাবে ভাসমান হলো

স্বাধীনতার আগের কথা। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছিল পাকিস্তানের অংশ। পাকিস্তানের মুদ্রা রুপি। ’৬০–এর দশকের শুরুতেই ডলারপ্রতি রুপির বিনিময় হার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। তখন ডলারের দাম ঠিক করা হয় ৪ দশমিক ৭৯৩ রুপি। ’৬০–এর দশকজুড়ে পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ শতাংশের কম। অন্যান্য প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি ছিল কম এবং রুপিও ছিল অতিমূল্যায়িত। অর্থনীতিবিদেরা লিখেছেন, পাকিস্তান সে সময় নীতির অংশ হিসেবে রুপিকে অতিমূল্যায়িত রেখেছিল, লক্ষ্য ছিল ‘জোরপূর্বক শিল্পায়ন’।

যেভাবে টাকার নোট এল

বাংলাদেশে প্রথম কাগুজে নোট চালু করা হয়েছিল ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ। ওই দিন প্রথম ১ টাকা ও ১০০ টাকার নোট চালু করা হয়। এর আগপর্যন্ত লেনদেনে পাকিস্তানি রুপি ব্যবহার করা হতো। কেউ কেউ ভারতীয় রুপিও গ্রহণ করতেন। যথেষ্ট দ্রুততার সঙ্গে ভারত থেকে নতুন নোট ছাপানো হয়েছিল। তবে এসব নোটে নিরাপত্তা জলছাপ ছিল না। ফলে সহজে জাল করা যেত। এসব নোট ১৯৭৪ সালের ৩০ মার্চের মধ্যে তুলে নেওয়া হয়েছিল।

১৯৭২ সালের ৪ মার্চ আরও একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বাদ দেওয়া হয় পাকিস্তান আমলের ৫০ টাকার নোট। পাকিস্তানি ৫০ রুপির বদলে বাংলাদেশি টাকা দেওয়া হয়েছে তখন।

১৯৭৫ সালের ১৭ মে টাকার বিপরীতে পাউন্ডের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয় ৩০ টাকা, যা আগে ছিল ১৮ দশমিক ৯৬৭৭ টাকা। অর্থাৎ একবারেই অবমূল্যায়ন ঘটে ৩৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ। বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ অবমূল্যায়ন।
আরও পড়ুন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার জন্য ব্রেটন উডস ব্যবস্থা চালু হয়। এ ব্যবস্থায় মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা যেত না, আর মুদ্রা ছিল সোনায় রূপান্তরযোগ্য। বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন এই ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার পথে।

বিশেষ করে অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ডলারের অবমূল্যায়ন করলে ব্রেটন উডস ব্যবস্থা একপ্রকার ভেঙেই পড়েছিল। ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট নিক্সন ডলারের সোনায় রূপান্তরযোগ্য রাখার বিধান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন। আর চূড়ান্তভাবে তা বাতিল হয় ১৯৭৩ সালে। তখন থেকে মুদ্রার বিনিময় হার ছিল ভাসমান।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময় আর্থিক ব্যবস্থায় সোনার গুরুত্ব একেবারেই চলে যায়নি। ফলে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে টাকা ছাপাতে হিমশিম খেতে হয়েছিল। কারণ, নিরাপত্তা হিসেবে টাকার বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে কোনো সোনা গচ্ছিত ছিল না। জানা যায়, সোনার মজুত না থাকায় অ্যাডহক ট্রেজারি বিল হিসেবে এই নোট ছাপানো হয়েছিল। যদিও তাত্ত্বিকভাবে কাগুজে মুদ্রাকে ‘নেগোশিয়েবল প্রমিজারি নোট’ বলা হয়। অর্থাৎ চাওয়ামাত্র এই অর্থের বিনিময়ে সমপরিমাণ মূল্যমানের সোনা দিতে বাধ্য থাকবে সরকার। এখন আর কোনো মুদ্রাই সোনায় রূপান্তরযোগ্য না। তারপরও প্রথা মেনে বাংলাদেশের টাকার নোটে ‘চাহিবামাত্র গ্রাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে’ কথাটা লেখা থাকে।

প্রথম বিনিময় হার

মার্চ মাসে নতুন নোট এলেও বাংলাদেশি মুদ্রার বিনিময় হার ঠিক করা হয়েছিল ১৯৭২ সালের ১ জানুয়ারি। সে সময় দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যেমন, সাধারণত বিনিময় হার নির্ধারণের জন্য একটি মধ্যবর্তী মুদ্রা (ইন্টারভেনশন কারেন্সি) নির্ধারণ করা হয়।

পাকিস্তান সময়ে মধ্যবর্তী মুদ্রা ছিল ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিং। স্বাধীনতার পরও মধ্যবর্তী মুদ্রার পরিবর্তন করা হয়নি। এ সময় প্রতিবেশী ভারতের মুদ্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এর হার নির্ধারণ করা হয়েছিল পাউন্ডপ্রতি ১৮ দশমিক ৯৬৭৭ টাকা। পাউন্ডের এই দর ছিল পাকিস্তান আমলের তুলনায় ৩৩ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ বাংলাদেশ একলাফে টাকার অবমূল্যায়ন করেছিল ৩৩ শতাংশ। তবে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রা ছিল ডলার। ১৯৭২ সালের ২৩ জানুয়ারি থেকে পাউন্ডের বিনিময় হার ডলারের সঙ্গে ভাসমান বা ফ্লোটিং করা হয়। তখন দেশে ডলারের বিনিময় হার ছিল ৭ দশমিক ২৭০২৭ টাকা।

ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবমূল্যায়ন

টাকার বিনিময় হার তখনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকই নির্ধারণ করে দিত। ফলে স্বাধীনতার পরপর যে বিনিময় হার ঠিক করা হয়েছিল, তা অপরিবর্তিত ছিল দীর্ঘ সময় ধরে। কিন্তু এর মধ্যে অর্থনীতির অনেক বদল হয়েছে। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতিই ছিল ৪৮ শতাংশ। সরকারের আয় যাচ্ছিল কমে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বাধীন দেশে প্রথমবারের মতো টাকার বড় অবমূল্যায়ন করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৭ মে টাকার বিপরীতে পাউন্ডের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয় ৩০ টাকা, যা আগে ছিল ১৮ দশমিক ৯৬৭৭ টাকা। অর্থাৎ একবারেই অবমূল্যায়ন ঘটে ৩৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ। বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ অবমূল্যায়ন।

চলতি বছরের শুরুতে ডলারের দর ছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা। এখন সেটি ১০৬ দশমিক ৭৫০০ টাকা। এর অর্থ হচ্ছে, চলতি বছরেই টাকার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে ২৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর যদি স্বাধীনতার পর থেকে ধরা হয়, তাহলে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ১ হাজার ৩৬৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

সরকার এত বড় সিদ্ধান্তের কারণ জানিয়ে একটি প্রেসনোট জারি করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, ‘দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি বিধানে ইহা আরও একটি পদক্ষেপ।

কারণ, অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতি ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক মন্দার দরুন আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য বিঘ্নিত হইতেছে। ফলে পাটশিল্প ও অন্যান্য রপ্তানিযোগ্য পণ্য উৎপাদনকারীরা তাহাদের ব্যয় কুলানোর জন্য সরকারের ভর্তুকি বা সাবসিডির ওপর নির্ভরশীল হইয়া পড়িয়াছে। এই প্রেক্ষিতে সাবসিডির জন্য টাকার জোগান দিতে গিয়া উন্নয়নের জন্য পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার অসুবিধার সম্মুখীন হইতেছে। এ কথা বলা নিষ্প্রয়োজন, এই ঘাটতি মিটানোর জন্য সরকারকে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হইতে প্রচুর পরিমাণে ধার লইতে হইতেছে। ফলে জিনিসপত্রের মূল্য অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাইতেছে এবং সেই সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতিও। উহার প্রভাবে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ব্যাহত হইতেছে।’

এ সময়েই আনুষ্ঠানিক বিনিময় মুদ্রা হারের পাশাপাশি বাজারভিত্তিক সেকেন্ডারি বিনিময় মুদ্রাবাজার চালুর অনুমতি দেওয়া হয়। এ ব্যবস্থায় কার্ব মার্কেটের উদ্ভব ঘটে। তখন পাউন্ডের দাম ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিশ্লেষকেরা বলছেন, তখন বেসরকারি দর ছিল ৬০ টাকা।

১০০ টাকার নোট অচল ঘোষণা

১০০ টাকা অচল ঘোষণা ১৯৭৫ সালেই সরকার আরেকটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১০০ টাকার নোট অচল ঘোষণা করে। ওই বছরের ৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় রেডিও-টেলিভিশনের মাধ্যমে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এ আর মল্লিক এই ঘোষণা দিয়েছিলেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘মুদ্রাস্ফীতির চাপ প্রশমিত করা এবং অর্থনীতিতে কালো ও বাড়তি টাকার অশুভ প্রভাব দূর করিবার জন্য সরকার’ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মধ্যবর্তী মুদ্রার বদল

পাউন্ডের পরিবর্তে মার্কিন ডলারকে মধ্যবর্তী মুদ্রা হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ১৯৮৩ সালের ১১ জানুয়ারি। সাবেক ব্যাংকার সৈয়দ আশরাফ আলী তাঁর বইতে এ নিয়ে লিখেছেন, ১৯৯৩ সালেই টাকার বিনিময় হার যথাযথ পর্যায়ে সংরক্ষণের জন্য নয়া একটি পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছিল। এর মূল লক্ষ্য ছিল প্রকৃত কার্যকরী বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা। উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের মূল্য প্রতিযোগিতামূলক পর্যায়ে রাখার জন্য রপ্তানিকারকদের সহায়তা দেওয়া এবং একই সঙ্গে আমদানি পণ্যের মূল্য যাতে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে না যায়, তা নিশ্চিত করা।

পরিবর্তনের প্রথম ধাপ

বিনিময় হারকে নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল ১৯৯৩ সালে ১৭ জুলাই। এর আগে দেশে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার ছিল না। বাংলাদেশ ব্যাংকই চাহিদানুযায়ী ব্যবহারকারীদের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা বরাদ্দ দিত। এই দিন বাংলাদেশি মুদ্রাকে চলতি হিসাবে রূপান্তরযোগ্য করা হয়। এর মাধ্যমে দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারকে আংশিকভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এতে কেবল পুঁজি বৈদেশিক মুদ্রায় রূপান্তরযোগ্য রাখা হয়নি।

অবমূল্যায়নের দিনগুলো

আগেই বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রথম আনুষ্ঠানিক অবমূল্যায়ন করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৭ মে। আর সেটাই ছিল ইতিহাসে একবারে সর্বোচ্চ অবমূল্যায়ন। এর পর থেকে অসংখ্যবার ছোট ছোট অবমূল্যায়ন করা হয়। তবে এই প্রবণতা বেশি ছিল ১৯৯৩ সালে স্থানীয় মুদ্রাকে রূপান্তরযোগ্য করার পর থেকে। দেশে এখন পর্যন্ত কতবার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। ২০০৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৮৩ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মোট ৮৯ বার টাকার দর সমন্বয় করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৮৩ বারই অবমূল্যায়ন করা হয় এবং ৬ বার বাড়ানো হয়।

আরও পড়ুন

যুগান্তকারী সেই ঘটনা

২০০৩ সালের ২৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংক স্থিরীকৃত মুদ্রা বিনিময় হারের পরিবর্তে টাকাকে ভাসমান মুদ্রা হিসেবে ঘোষণা দেয়। এর অর্থ হচ্ছে চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে ঠিক হবে মুদ্রার বিনিময় হার। এটিকে বলা হয়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত হয়। তারপরও মুদ্রা বিনিময় হার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতেই থাকে। তবে আগের মতো তারা সরাসরি হস্তক্ষেপ না করে নিজেই মুদ্রাবাজারে কেনাবেচার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে হস্তক্ষেপ করা শুরু করে। বাংলাদেশ ব্যাংক তখন বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল।

অবশেষে টাকা কি ভাসমান

১৯৮৩ সালে টাকাকে ভাসমান করা হলেও এর বিনিময় হার কখনোই পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। কার্যত নিজের হাতেই রেখে দিয়েছে মুদ্রা বিনিময় হার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব। আর এ কাজটি করেছে আন্তব্যাংক বাজারের রেট নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক সব সময়ই টাকার মান ধরে রাখতে চেয়েছে। ফলে অনেক সময়ই টাকা হয়ে পড়েছিল অতিমূল্যায়িত। বিশেষ করে করোনা সংক্রমণের আগের কয়েকটি বছরে এই পরিস্থিতি দেখা দেয়। তখন অবমূল্যায়ন করার দাবি উঠলেও বাংলাদেশ ব্যাংক তা কানে দেয়নি।

বিপাকে পড়ে শেষ পর্যন্ত সেটাই করতে হয়েছে। বাংলাদেশ গত জানুয়ারি থেকেই অল্প অল্প করে অবমূল্যায়নের সেই পুরোনো যুগে ফিরে গিয়েছিল। তাতেও কাজ হয়নি। জোগানের সংকটে ডলারের দর বাড়ছিলই। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি আন্তদর বেঁধে দিলেও তাতে কোনো লেনদেন হয়নি। ফলে শেষ পর্যন্ত বাজারের ওপরই পুরোপুরি ছেড়ে দিতে হলো বিনিময় হারকে। সত্যিকার অর্থেই ভাসমান হয় টাকা।

চলতি বছরের শুরুতে ডলারের দর ছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা। এখন সেটি ১০৬ দশমিক ৭৫০০ টাকা। এর অর্থ হচ্ছে, চলতি বছরেই টাকার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে ২৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর যদি স্বাধীনতার পর থেকে ধরা হয়, তাহলে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ১ হাজার ৩৬৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বলা হয়, টাকাকে অবমূল্যায়ন করলে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। তবে এবার আর সেটি হচ্ছে না বলেই মনে করা হয়। কারণ, এত দিন বাজারদরেই ডলার কিনে আমদানি করা হয়েছে। ফলে নতুন দর বড় সমস্যা করবে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, টাকার বিনিময় হার কি এভাবে ভাসমানই থাকবে?

আরও পড়ুন