হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লিড ফেলোশিপ: বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতে নারীদের অনন্য সুযোগ

হার্ভার্ড লিড ফেলোশিপ ২০২৬ সালের ১ সেপ্টেম্বরে শুরু হয়ে ২০২৭ সালে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবেছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৬–২৭ শিক্ষাবর্ষে তাদের মর্যাদাপূর্ণ লিড (LEAD) ফেলোশিপ প্রোগ্রামের জন্য আবেদন আহ্বান করেছে। LEAD শব্দের পূর্ণরূপ হলো—Learn, Engage, Advance and Disrupt। এই বিশেষ ফেলোশিপ প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য হলো বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতে নারীদের নেতৃত্ব বিকাশ ও ক্ষমতায়ন করা।

এই এক বছরের ফেলোশিপটি আয়োজন করছে হার্ভার্ড গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউট এবং হার্ভার্ড টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গ্লোবাল হেলথ অ্যান্ড পপুলেশন বিভাগ। প্রোগ্রামটি মূলত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর পেশাজীবীদের জন্য উন্মুক্ত।

আরও পড়ুন

প্রোগ্রামের সময়সূচি

হার্ভার্ড লিড ফেলোশিপ ২০২৬ সালের ১ সেপ্টেম্বরে শুরু হয়ে ২০২৭ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। প্রোগ্রামটি দুই ধাপে সম্পন্ন হবে—

প্রথম ধাপ (ভার্চ্যুয়াল)
– ফেলোরা তাঁদের ব্যক্তিগত নেতৃত্ব ও উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করবেন।
– এক্সিকিউটিভ কোচিংয়ের মাধ্যমে নেতৃত্বের দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ থাকবে।
– একাডেমিক ক্রেডেনশিয়াল অর্জন, জে–ওয়ান ভিসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও কোর্সের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
– অনলাইন মেন্টরশিপ সেশন ও ভার্চ্যুয়াল ইভেন্টে অংশগ্রহণ করা যাবে।
দ্বিতীয় ধাপ (সরাসরি অংশগ্রহণ)
– ফেলোরা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় সপ্তাহ অবস্থান করবেন (এপ্রিল ২০২৭)।
– লিডারশিপ ওয়ার্কশপ, এক্সিকিউটিভ এডুকেশন কোর্স, পাবলিক স্পিকিং ও টিম বিল্ডিং কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
– এই সময়ের সব খরচ (আবাসন, রাউন্ড ট্রিপ ফ্লাইট, কোর্স ফি ও দৈনিক ভাতা) ফেলোশিপ বহন করবে।

আরও পড়ুন

যোগ্যতার শর্তাবলি

– সব অঞ্চল, পেশা ও সেক্টরের আবেদনকারীদের জন্য উন্মুক্ত।
– প্রাসঙ্গিক বিষয়ে কমপক্ষে মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে।
– বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতে ন্যূনতম ১০ বছরের পূর্ণকালীন পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
– বর্তমান নিয়োগকর্তা ও কোনো সিনিয়র মেন্টরের অফিশিয়াল সমর্থনপত্র থাকতে হবে।
– ২০২৭ সালের এপ্রিলে ছয় সপ্তাহের ইন–রেসিডেন্স প্রোগ্রামে অংশ নিতে কর্মক্ষেত্র থেকে ছুটি নিতে হবে।
– জে–ওয়ান ভিসা পাওয়ার যোগ্য হতে হবে এবং বোস্টনে অবস্থান করতে হবে।
– গত দুই বছরের মধ্যে চার মাস বা তার বেশি সময়ের কোনো পূর্ণকালীন ফেলোশিপে অংশ নেওয়া যাবে না।

ফেলোশিপের সুবিধাগুলো

– ব্যক্তিগত নেতৃত্ব উন্নয়নে এক্সিকিউটিভ কোচিং।
– হার্ভার্ড ফ্যাকাল্টি সদস্যদের কাছ থেকে মেন্টরশিপ।
– হার্ভার্ড ইভেন্টে বক্তব্য রাখার সুযোগ।
– এক্সিকিউটিভ এডুকেশন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ।
– বৈশ্বিক বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্ব মাস্টারক্লাসে যোগদান।
– সম্পূর্ণ অর্থায়নে ছয় সপ্তাহের ইন–রেসিডেন্স প্রোগ্রাম (আবাসন, বিমানভাড়া ও দৈনিক ভাতা)।

আরও পড়ুন

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

– সিভি বা রিজিউম
– উদ্দেশ্যপত্র (১ দশমিক ৫ পৃষ্ঠার বেশি নয়)
– চারটি প্রবন্ধ (প্রতিটি দুই হাজার ক্যারেক্টারের মধ্যে)
– নিজ প্রতিষ্ঠানের কমিটমেন্ট লেটার
– মেন্টরের কমিটমেন্ট লেটার
– দুটি রেফারেন্স লেটার

আবেদনের প্রক্রিয়া

– আবেদনকারীদের অনলাইনে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ফরম পূরণ করতে হবে।
– নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে।
– আবেদনকারীরা নিজেদের মনোনয়ন নিজেরাই জমা দেবেন।

এই ফেলোশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১৮টি দেশের পেশাজীবীরা অংশ নিয়েছেন
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

আবেদনের শেষ সময়

৩০ নভেম্বর ২০২৫

এই ফেলোশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১৮টি দেশের পেশাজীবীরা অংশ নিয়েছেন। তাঁদের কাজের ক্ষেত্র ছিল এইচআইভি বা এইডস, স্বাস্থ্য নীতি, ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন। বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতে নেতৃত্বের সুযোগ পেতে চাইলে এই ফেলোশিপ হতে পারে আপনার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন