ব্যায়াম করেও ওজন কমছে না?

ওজন না কমলে ব্যায়ামের ধরনে পরিবর্তন আনতে হবে
ছবি: পেক্সেলস ডটকম

অনেকেই নিয়মিত ব্যায়াম করছেন—তবু ওজন কমাতে পারছেন না। এর পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। চলুন জেনে নিই কারণগুলো কি এবং কীভাবে তা ঠিক করা যায়।

১. কম ব্যায়াম

হাঁটা, দৌড়ানো বা জিম– এই ব্যায়ামগুলো করার শুরুতে ওজন কমলেও পরে থেমে যেতে পারে। তখন ব্যায়ামের ধরনে পরিবর্তন আনতে হবে। আবার বেশি ব্যায়াম করে যদি বিশ্রাম না নেন বা ঠিকমতো না খান, তাহলেও ওজন কমতে বাধা পায়।

২. ঘুমের অভাব

কম ঘুম শরীরের হরমোনে প্রভাব ফেলে, ক্ষুধা বাড়ায় ফলাফল ওজন বাড়ায়।

৩. মানসিক চাপ

মানসিক চাপেও হরমোন বদলে যায়, যার ফলে বেশি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।

আরও পড়ুন
পর্যাপ্ত পানি না খেলে শরীরের বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যায়
ছবি: পেক্সেলস ডটকম

৪. পানি কম খাওয়া

পর্যাপ্ত পানি না খেলে শরীরের বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। অন্যদিকে মিষ্টি বা চিনিযুক্ত পানীয় ওজন বাড়ানোর অন্যতম বড় কারণ। শরীর এই পানীয় থেকে পাওয়া ক্যালরিকে বুঝতে পারে না, ফলে আপনি অন্য খাবার কম খান না—বরং বেশি খেয়ে ফেলেন। এটা শুধু সফট ড্রিংকেই সীমাবদ্ধ নয়। অনেক ‘স্বাস্থ্যকর’ মনে হওয়া পানীয়, যেমন ভিটামিন ওয়াটারেও থাকে প্রচুর চিনি। এমনকি ফলের রস হলেও, বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে। এক গ্লাস ফলের রসে থাকতে পারে কয়েকটি আস্ত ফলের সমান চিনি, অথচ তাতে ফাইবার থাকে না।

৫. খুব তাড়াতাড়ি খাচ্ছেন

এই ব্যস্ত জীবনে আমরা অনেকেই তাড়াহুড়া করে খাই। কিন্তু গবেষণা বলছে, মনোযোগ দিয়ে ধীরে খাওয়াই ওজন কমানোর আরেকটি কার্যকর উপায়। এর মানে হচ্ছে—টিভি বা ফোনের দিকে না তাকিয়ে খাওয়া, প্রতিটি কামড় উপভোগ করা এবং যখন মনে হবে পেট ভরে গেছে, তখন খাওয়া থামিয়ে দেওয়া।

এ জন্য যা করতে হবে

১. শরীরচর্চা বাড়ান

হাঁটা, দৌড়, সাইক্লিং কিংবা জিম—নিয়মিত করুন। ধীরে ধীরে সময় ও গতি বাড়ান।

২. ঘুম ঠিক রাখুন

প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান।

প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠা উচিত
ছবি: প্রথম আলো

৩. স্ট্রেস কমান

মেডিটেশন, প্রার্থনা বা হালকা ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

৪. পর্যাপ্ত পানি পান করুন

দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন।

৫. ডাক্তার দেখান

যদি এসব করেও ওজন না কমে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হয়তো কোনো শারীরিক সমস্যা আছে।

সূত্র: হেলথ লাইন

আরও পড়ুন