১৮৫৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ময়মনসিংহের সেশন জজ হিসেবে নিযুক্ত হলেন ইংরেজ সিভিলিয়ান উইলিয়াম টেইলর। জলাজঙ্গলে ঘেরা পূর্ব বাংলা সে সময় স্যাঁতসেঁতে, অস্বাস্থ্যকর আবহাওয়ার জন্য ইংরেজ অফিসারদের কাছে এক আতঙ্কের নাম। টেইলর চেষ্টা করেছিলেন বদলি বাতিলের, কিন্তু সব চেষ্টা বিফলে গেল। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে টেইলর যখন ময়মনসিংহে পৌঁছান, তখন এপ্রিল মাস শুরু হয়েছে।

গরম আর ভ্যাপসা আবহাওয়ায় ছটফট করে কেটে যায় রাত। বিনিদ্র সেই রাতের কথা দিনপঞ্জিতে লিখে রাখতে ভোলেননি তিনি। আমাদের কাছে সাধারণ মনে হলেও শীতপ্রধান বিলাত থেকে আসা টেইলরের কাছে তা ছিল অসহনীয় ও কৌতূহলোদ্দীপক।

লেখার সঙ্গে এই বিলাতি সাহেব জুড়ে দিলেন চমৎকার এক ড্রয়িং। ভ্যাপসা গরমের আবহের সঙ্গে এ ছবিতে আরও আছে রক্তচোষা মশার দল, চামচিকা, তেলাপোকা, ইঁদুরসহ কত–কী!

শুধু টেইলর নন, আঠারো ও উনিশ শতকে যেসব ইংরেজ ভারতবর্ষে এসেছেন, তাঁদের অনেকেই নানা রকম ড্রয়িং আর পেইন্টিংয়ের মাধ্যমে নিজ নিজ অভিজ্ঞতা টুকে রেখেছিলেন। এ অঞ্চলের বিচিত্র ভূপ্রকৃতি, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, খাদ্যাভ্যাস, পোশাক, ধর্মীয় আচার বিস্মিত করেছিল তাঁদের। পরিবার-পরিজনহীন ভারতবর্ষে একঘেয়ে সময় কাটানোর প্রয়োজনে লেখা বা ছবি আঁকা ছাড়া এই ইংরেজদের কীই-বা আর করার ছিল! পেশাদার চিত্রকরের পাশাপাশি এ দেশে কর্মরত সিভিলিয়ানরাও তাই হাতে তুলে নিয়েছিলেন রং–তুলি, কাগজ-কলম। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা ইংরেজ সিভিলিয়ানদের সবচেয়ে বেশি আলোড়িত করেছিল গ্রীষ্মপ্রধান এ দেশের ‘বিরূপ’ আবহাওয়া। ইংরেজদের আঁকাজোকায় তাই বারবার উঠে এসেছে গরমের সঙ্গে তাঁদের মোকাবিলার খণ্ডচিত্র। সাম্প্রতিক ইউরোপীয় দাবদাহে নাকাল ইংরেজ জাতির পূর্বপুরুষেরা এ দেশের গরমের বিরুদ্ধে যে ‘লড়াই’ করেছিলেন, তা চমকপ্রদ বটে।

রোজবেরিস নিলামঘরের সংগ্রহের সেই এক সেট ড্রয়িং: অজানা শিল্পীর আঁকা ব্যঙ্গাত্মক ছবিতে জনৈক ইংরেজের গরমযাপন, ১৮৭৪

ক্যানভাসে ‘গরমনামা’

বাংলা অঞ্চলের গরম আবহাওয়া ইংরেজদের জন্য ছিল অসহনীয়। তাই সিভিলিয়ানদের ড্রয়িংয়ে গরমে নাজেহাল দশার চিত্র যেমন এসেছে, তেমনি একে মোকাবিলার নানা কায়দাও ঠাঁই পেয়েছে।

সিভিলিয়ান শিল্পীদের মধ্যে সবার আগে নাম নিতে হয় চার্লস ড’য়লির। ১৮০৮ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে ঢাকার কালেক্টর নিযুক্ত হন তিনি। ঢাকায় ছিলেন ১৮১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। ক্যামেরাপূর্ব ঢাকাকে জানার জন্য ড’য়লির অ্যান্টি কুইটিজ অব ঢাকা নামে ছয় খণ্ডের ফোলিওটি গুরুত্বপূর্ণ। ড’য়লির আঁকা ইংরেজদের বিলাসী জীবনযাপনের ২০টি ছবি নিয়ে ১৮১৩ সালে প্রকাশিত হয় দ্য ইউরোপীয়ান ইন ইন্ডিয়া নামের অ্যালবাম। এর একটি ছবিতে দেখা যায়, ইংরেজ পরিবার খাবার খাচ্ছে আর তাদের আরামের জন্য পাখা টানছে এক খালাসি। ড’য়লি যাঁকে খালাসি বলেছেন, প্রচলিত সমাজে তাঁর পদের নাম ছিল ‘পাঙ্খাওয়ালা’।

ভারতবর্ষের দুঃসহ গরমকে বাগে আনতে ইংরেজরা অনেক পাঙ্খাওয়ালা নিয়োগ করেছিলেন। তাঁদের কাজের সময়কাল ছিল মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। টানা পাখার উপস্থিতি পেশাদার শিল্পীদের চিত্রকর্মেও দেখা যায়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা এসেছে পারিপার্শ্বিক উপকরণ হিসেবে।

গরমের দিনগুলোতে পাঙ্খাওয়ালার সেবা ছিল অপরিহার্য বিষয়। কাজে সামান্য গাফিলতিতে তাঁদের সঙ্গে যে অমানবিক আচরণ করা হতো, তার বহু দম্ভোক্তি সিভিলিয়ানদের দিনপঞ্জি ও চিঠিপত্রে ধরা আছে। চিত্রকর্মেও এর নমুনা দেখা যায়।

লয়েডের আঁকা ছবি এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। উইলিয়াম হোয়াইটলক লয়েড প্রথম জীবনে ছিলেন একজন সেনা কর্মকর্তা। কিন্তু ছবি আঁকার প্রতি বেশি আগ্রহের কারণে ২৬ বছর বয়সে সেনাবাহিনী ছেড়ে দিয়ে চিত্রকর হিসেবে যোগ দেন পি অ্যান্ড ও শিপিংলাইনে। এ দেশ–সে দেশ ঘুরে জলরঙে এঁকে চলেন একের পর এক ছবি। এর অধিকাংশ ব্যবহৃত হতো শিপিং কোম্পানির প্রচারণায়। ১৮৯০ সালে প্রকাশিত লয়েড’স স্কেচেস অব ইন্ডিয়ান লাইফ অ্যালবামে বেরিয়েছিল তাঁর ১৭টি চিত্রকর্ম। এখানের পাঙ্খাওয়ালার ছবিটি ইংরেজদের শাসক মনোভাবের সাক্ষ্য বহন করে। ছবিতে নিজ ঘুমের ব্যাঘাত হওয়ায় জনৈক ইংরেজ কর্মকর্তাকে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়া পাঙ্খাওয়ালাকে জুতা নিক্ষেপ করতে দেখা যায়।

পাঙ্খাওয়ালার পাশাপাশি আরও যে গুরুত্বপূর্ণ পেশার মানুষেরা এ দেশের গরম সামলাতে ইংরেজদের পাশে ছিলেন, তাঁরা হলেন ভিস্তি। শীতল পানীয় জল সরবরাহের দায়িত্ব ছিল ভিস্তিদের ওপর। এ ছাড়া রাস্তার ধুলা আর দাবদাহের তীব্রতা কমানোর জন্য কলকাতা, ঢাকাসহ অন্য প্রধান শহরগুলোতে দুবেলা পানি ছিটাতেন ভিস্তিরা। রাস্তায় পানি ছিটানোর এমন একটি ছবি পাওয়া যায় লয়েডের অ্যালবামে। একটি বিষয় লক্ষণীয়, লয়েডের অ্যালবামের বেশ কয়েকটি ছবি ছিল ক্যারিকেচার ভঙ্গিমায় আঁকা। এর পেছনে কাজ করেছিল পাঞ্চ নামের বিলাতি ব্যঙ্গ সাময়িকীর প্রভাব।

‘পাঞ্চ’-এর প্রভাব ও ব্যঙ্গাত্মক ছবি

ফরাসি ব্যঙ্গ পত্রিকা চেরিভেরির আদলে লন্ডনে পাঞ্চ-এর প্রকাশনা শুরু হয়েছিল ১৮৪১ সালের জুলাই মাসে। প্রথম সংখ্যা থেকেই এর উপশিরোনামে উল্লেখ থাকত ‘দ্য লন্ডন চেরিভেরি’ কথাটি। সমাজের নানা অসংগতি, রাজনৈতিক অনাচার ব্যঙ্গবিদ্রূপের মাধ্যমে তুলে ধরত এ পত্রিকা। লেখার পাশাপাশি লিচ, টানিয়েল, কিন, ড্যু ম্যরিয়েরের আঁকা অনবদ্য কার্টুনগুলো অল্প সময়ের ভেতরে একে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দেয়। ভারতবর্ষে বসবাসরত ইংরেজ এবং ইংরেজি জানা বাঙালিদের কাছেও প্রিয় ছিল পাঞ্চ এ সময় শৌখিন চিত্রকরদের অনেকের আঁকায় পত্রিকাটির প্রভাব দেখা যায়।

শৌখিন চিত্রকরদের মধ্যে ব্যঙ্গাত্মক ছবির ক্ষেত্রে প্রথমে নাম নিতে হয় জর্জ ফ্রাংকলিন অ্যাটকিনসনের। তিনি ছিলেন বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ার্সের ক্যাপ্টেন। কারি অ্যান্ড রাইস নামের অ্যালবামে ৪০টি ছবিতে ইংরেজদের অলসতার নানা দিক কৌতুকের সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন অ্যাটকিনসন। তাঁর একটি ছবিতে দেখা যায়, গরমে ক্লান্ত ইংরেজকে হাত-পা মুছিয়ে দিচ্ছে দেশি খেদমতগার। আর তাঁকে শীতল করার জন্য নিরলসভাবে পাখা টেনে চলেছে বাইরে বসে থাকা পাঙ্খাওয়ালা।

টেইলরের কথা এ লেখার শুরুতেই বলা হয়েছে। পাটনা থেকে শাস্তিমূলক বদলির ফলে যশোর, ঢাকা হয়ে ময়মনসিংহে এসেছিলেন তিনি। ছোট ছোট টানে কার্টুনসদৃশ ড্রয়িংয়ে নিজের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা এঁকে রেখেছিলেন টেইলর। থার্টি এইট ইয়ারস ইন ইন্ডিয়া বইয়ে তিনি তাঁর ড্রয়িংয়ে পাঞ্চ-এর প্রভাব স্বীকার করেছেন। বিলাতের আরামদায়ক রাতের বিপরীতে পূর্ব বাংলার গরমে অতিষ্ঠ রাত—দুইটি চিত্রের মাধ্যমে দুই ভূখণ্ডের গরমের তুলনা দিয়েছিলেন টেইলর। প্রথমটি বিলাতের রাতের—টুপি ও দীর্ঘ গাউন পরে শুতে যাচ্ছেন এক ইংরেজ। তাঁকে দেখে বোঝা যায়, পালকের তোশক বিছানো নরম বিছানায় শোয়ামাত্র তিনি ঘুমিয়ে পড়বেন। দ্বিতীয় ছবিটি বাংলায় বসবাসরত এক ইংরেজের—তাঁর মাথায় টুপি অনুপস্থিত। পরনের কুর্তাও ঢিলেঢালা, উন্মুক্ত। অসহ্য গরমে তিনি ঘেমে-নেয়ে একাকার। হাতপাখা নিয়ে ঘরে পায়চারি করে কোনোমতে রাতটা পার করার চেষ্টা করছেন।

এ তো গেল গরমে নিদ্রাহীন রাতের কথা। গরমের দিনগুলোও কোনো অংশে কম ভয়াবহ ছিল না। এ সময় ইংরেজরা দাপ্তরিক কাজকর্ম নিজের বাংলোয় বসে সারলেও মাঝেমধ্যে বাইরে বের না হয়ে উপায় ছিল না। তখন যাত্রাপথে তাঁকে শীতল রাখার জন্য খেদমতগারদের চলত দীর্ঘ প্রস্তুতি। সম্প্রতি রোজবেরিস নিলামঘরের সংগ্রহে এ–সম্পর্কিত চমৎকার এক সেট ড্রয়িং পাওয়া গেছে। হিউমার মেশানো কার্টুনের ধারাটি এখানে প্রবল। সেটে রয়েছে তিনটি ছবি। প্রথমটিতে দেখা যায়, এক ইংরেজ সাধারণ হ্যাট মাথায় দিয়ে গনগনে রোদের মধ্যে কাজে বেরিয়েছেন। তাঁকে গরমে নাজেহাল করতে পেরে সূর্য বেজায় খুশি, সূর্যের হাসিমুখ অন্তত তাই বলে। দ্বিতীয় ছবিতে ইংরেজ ভদ্রলোক দুই বেহারার কাঁধে চেপে রওনা হয়েছেন গন্তব্যে, পথিমধ্যে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য আছে পানির বোতল। আর সর্বশেষ ছবিতে তিনি চেপেছেন চার বেহারার পালকিতে। এতে হাঁটার কষ্ট যেমন লাঘব হয়েছে, তেমনি ছাতার ব্যবহারে তীব্র রোদের জ্বালা থেকেও মিলেছে মুক্তি। ছবিগুলোর নিচে দেওয়া আছে একটি তারিখ—৮ অক্টোবর ১৮৭৪। এখানে সীমিত রেখার ব্যবহারে গরমকে কাবু করার কায়দাটুকু দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন নাম না জানা এক শিল্পী।

বাংলা তথা পূর্ব বাংলার গরমকে সেকালের ইংরেজ সাহেবরা যেভাবে আঁকিবুঁকির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছিলেন, তা থেকে তখনকার দিনরাতের চিত্র যেমন পাওয়া যায়, একইভাবে এগুলো আমাদের কৌতূহলও নিবারণ করে।

পেশাদার বনাম শৌখিন চিত্রকর

দ্রুত ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় অনেক পেশাদার শিল্পী ভারতবর্ষে পাড়ি জমান। তাঁদের মধ্যে প্রথমে ভারতে এসেছিলেন টিলি কেটল—১৭৬৯ সালে। এরপর আরও ৬০ জনের মতো ইংরেজ শিল্পী কাজ করেছিলেন ভারতবর্ষে, বিশেষত রাজধানী কলকাতায়।

তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন জোহান জোফানি, আর্থার ডেভিস, টমাস হিকি, টমাস ডানিয়েল, উইলিয়াম ডানিয়েল, ফ্রান্সেস্কো রেনাল্ডি, জর্জ চিনারি, জেমস মোফাট, বালথাজার সোলিভন্স ও রবার্ট হোম। ব্রিটিশ ভারতের এসব পেশাদার শিল্পীকে কাজের ভিত্তিতে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগে ছিলেন প্রতিকৃতি শিল্পী, যাঁরা ইংরেজদের ফরমাশ অনুযায়ী তেলরঙে ছবি এঁকে টাকা রোজগার করতেন। এর পাশাপাশি ছিল বিরাট ক্যানভাসে ঐতিহাসিক ও মজলিশি ছবি আঁকার চল। দ্বিতীয় ভাগে ছিলেন মিনিয়েচার ছবির শিল্পীরা। আর তৃতীয় ভাগের চিত্রকরেরা ছিলেন স্বচ্ছ জলরং ব্যবহারে সিদ্ধহস্ত। এই পেশাদার শিল্পীদের ছবির অধিকাংশ ছিল ফরমায়েশি ও ব্যবসামুখী কাজ। দৈনন্দিন জীবনের নানা ঘটন-অঘটনের উপস্থিতি সেসব ছবিতে বিরল। সৌভাগ্যবশত সেই অভাব পূরণ করেছিলেন অপেশাদার শিল্পীরা।

রাস্তায় পানি ছিটাচ্ছেন ভিস্তি। সূত্র: লয়েড’স স্কেচেস অব ইন্ডিয়ান লাইফ, ১৮৯০

উপমহাদেশের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পর কোম্পানির কিছু কর্মচারী ও সিভিলিয়ানের মধ্যে নানামাত্রিক উৎসাহ ও কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছিল। ছোট-বড় সব অভিজ্ঞতাই তাঁরা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন নিজেদের লেখালেখিতে। এর মধ্যে এক উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সিভিলিয়ান ও সামরিক কর্মকর্তা শৌখিন চিত্রকররূপে আবির্ভূত হন।

আঠারো ও উনিশ শতকে ছবি আঁকা ও বোঝাকে বিলাতে উচ্চবর্ণের সংস্কৃতির অংশ হিসেবে দেখা হতো। তখনো ফটোগ্রাফি আবিষ্কৃত হয়নি। নতুন উপনিবেশ ভারতবর্ষের প্রকৃতি, জীবন ও স্থাপনাকে জানতে তাই ড্রয়িংয়ের বিকল্প ছিল না। আর ড্রয়িং জানাকে সেকালে কর্মক্ষেত্রে বিশেষ পারদর্শিতা হিসেবে গণ্য করা হতো। এ জন্য সাহেবদের ভারত গমনের আগে ড্রয়িং শেখানোর ব্যবস্থাও করা হতো। গবেষক মিলড্রেড আর্চারের তথ্যমতে, উনিশ শতকের প্রথম দিকে বিলাতের হেইলেবারি কলেজ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দুই হাজার সিভিলিয়ানের সবাই ছবি আঁকার বনিয়াদি শিক্ষাগ্রহণ করেছিলেন। ভারতে পৌঁছে এই সিভিলিয়ানরা দাপ্তরিক প্রয়োজনে, প্রিয়জনকে জানানোর তাগিদে কিংবা নিতান্তই শখের বশে এঁকেছেন প্রচুর ছবি। এখন পূর্ব বাংলা ও ঢাকা–সম্পর্কিত যেসব ছবি আমরা দেখি, তার বড় অংশই শৌখিন ইংরেজ চিত্রকরদের আঁকা।