রাজধানীর পল্টন মোড়ে সমাবেশে বক্তব্য দেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা
ছবি: খালেদ সরকার

পবিত্র রমজান মাস আসার আগেই বাজারে আগুন ধরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাঁরা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ উদ্বিগ্ন।

জিনিসপত্রের দাম প্রতিদিন বাড়ছে। দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। বাজারে গেলে মনে হয়, দেশে কোনো সরকার নেই।’

আজ শনিবার রাজধানীর পল্টন মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। ‘আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে’ এবং সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই সমাবেশের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

আরও পড়ুন

‘বাজারে গেলে মনে হয় টেহার কোনো দাম নাই, সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘রোজার আগে প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না। সরকার নিজেও লুটপাট সিন্ডিকেটের অংশ। জনগণের পকেট কাটার জন্য নিজেদের বন্ধু, স্বজনদের দিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এই সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।’

রোজার পর নিজেদের অধিকার কড়ায়-গন্ডায় বুঝে নিতে কঠিন লড়াই করার কথা জানিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, রোজায় কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে না। রোজার পরে অধিকার আদায়ে লড়াই হবে। এই সরকার নিজেদের কারণেই আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্নবিদ্ধ।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। দামের কারসাজির সিন্ডিকেটের সঙ্গে সরকার ও তার বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন জড়িত। তিনি বলেন, ‘বাজারে গেলে মনে হয়, সরকার আল্লাহর ওয়াস্তে বাজারকে ছেড়ে দিসে। যে খেয়ে বাঁচতে পারলে বাঁচেন, না পারলে নাই।’

আরও পড়ুন

‘য্যাতে হাত দেবেন, হেইতেই দাম আর দাম’

৬-৭টি বড় শিল্পগোষ্ঠীর কাছে পুরো বাজারের নিয়ন্ত্রণ বলে দাবি করেন গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক। তিনি বলেন, এই শিল্পগোষ্ঠীর সিন্ডিকেটের কারণেই বাজারের জিনিসপত্রের দামে ঊর্ধ্বগতি। সরকার এসব শিল্পগোষ্ঠীর কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা পায়।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, রমজানে আন্দোলন কর্মসূচি, গণসংযোগ, বৈঠক ও কর্মীদের নিয়ে আলোচনা সীমাবদ্ধ থাকবে।

আরও পড়ুন

দাম বেশি বাজারে, আয় বেশি সরকারের