- ২৭ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জিতল বাংলাদেশ
- ছক্কা মেরে ফিফটিতে পারভেজ, ৫ রান দরকার বাংলাদেশের
- ফিরে গেলেন হৃদয়
- পারভেজ ও হৃদয়ের রেকর্ড জুটি
- বেঁচে গেলেন হৃদয়
- ৫০ পেরিয়েছে বাংলাদেশ
- পাওয়ারপ্লেতে ৩৮ রান বাংলাদেশের
- চড়াও হয়েছেন পারভেজ ও হৃদয়
- এবার আউট লিটন
- প্রথম ওভারেই আউট তানজিদ
- পাকিস্তান ১১০ রানে অলআউট
- ৪ ওভারে ৬ রান, মোস্তাফিজের নতুন রেকর্ড
- মোস্তাফিজ ফেরালেন খুশদিলকে
- ১০০ পেরোল পাকিস্তান
- রানআউট হয়ে ফিরলেন দুবার জীবন পাওয়া ফখর
- আবার বাঁচলেন ফখর
- মোহাম্মদ নেওয়াজ রানআউট
- তিন ওভারে মাত্র ৫ রান দিলেন তানজিম–মোস্তাফিজ
- ৬ ওভারে ৪ উইকেট নেই পাকিস্তানের
- সালমানকে ফেরালেন তানজিম
- সেই হারিস এবার ফিরলেন ৪ রানেই
- ফখরের ক্যাচ ছাড়া তাসকিন ফেরালেন সাইম আইয়ুবকে
- ফখরের ক্যাচ ছাড়লেন তাসকিন
- টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ–পাকিস্তান টি–টোয়েন্টি সিরিজে স্বাগতম
২৭ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জিতল বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে চতুর্থ জয় পেল বাংলাদেশ। মিরপুরে আজ প্রথম টি–টোয়েন্টিতে ২৭ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। ১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে সালমান মির্জাকে চারে মেরে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন জাকের আলী।
জাকের ১০ বলে ১৫ ও আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে তৃতীয় পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে ওপেনার পারভেজ হোসেন ৩৯ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
বাংলাদেশ এর আগে ২০১৫ সালে সিরিজে ও ২০১৬ এশিয়া কাপে মিরপুরেই হারিয়েছিল পাকিস্তানকে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে হাংঝু এশিয়াডে পাকিস্তানকে হারিয়ই ব্রোঞ্জ জেতে বাংলাদেশ।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ মঙ্গলবার মিরপুরেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ১৯.৩ ওভারে ১১০ (ফখর ৪৪, আব্বাস ২২, খুশদিল ১৭; তাসকিন ৩/২২, মোস্তাফিজ ২/৬, তানজিম ১/২০, মেহেদী ১/৩৭)। বাংলাদেশ: ১৫.৩ ওভারে ১১২/৩ (পারভেজ ৫৬*, হৃদয় ৩৬, জাকের ১৫*, তানজিদ ১, লিটন ১; মির্জা ২/২৩, আব্বাস আফ্রিদি ১/১৬)। ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী। সিরিজ: ৩–ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ১–০–তে এগিয়ে। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: পারভেজ হোসেন।
ছক্কা মেরে ফিফটিতে পারভেজ, ৫ রান দরকার বাংলাদেশের
বাংলাদেশের স্কোর: ১৫ ওভারে ১০৬/৩।
পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে টানা দ্বিতীয় ফিফটি পেলেন পারভেজ হোসেন। ফাহিম আশরাফকে ছক্কা মেরে মাইলফলকটি ছুঁয়েছেন শ্রীলঙ্কায় শেষ দুই ম্যাচেই শূন্য রানে ফেরা পারভেজ। ম্যাচ জিততে ৭ রান দরকার বাংলাদেশের।
ফিরে গেলেন হৃদয়
বাংলাদেশের স্কোর: ১২.৩ ওভারে ৮০/৩।
তৃতীয় উইকেট খোয়াল বাংলাদেশ। আব্বাস আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। পারভেজ হোসেনের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়া হৃদয় ৩৭ বলে করেছেন ৩৬ রান। ৮০ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো বাংলাদেশকে ৪৫ বলে করতে হবে ৩১ রান। পারভেজ অপরাজিত ছিলেন ৪০ রানে।
পারভেজ ও হৃদয়ের রেকর্ড জুটি
৭ রানে প্রথম ২ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়ে ম্যাচটিতে প্রায় বাংলাদেশের হাতের মুঠোয় তুলে নিয়েছেন পারভেজ হোসেন ও তাওহিদ হৃদয়। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ১০ রানের কমে প্রথম ২ উইকেট খোয়ানোর পর তৃতীয় উইকেটে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জুটি। আগের রেকর্ড ৬৯। এ মাসেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে ৭ রানেই ২ উইকেট খোয়ানোর পর লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়ের।
বাংলাদেশের স্কোর: ১২ ওভারে ৮০/২।
বেঁচে গেলেন হৃদয়
বাংলাদেশের স্কোর: ১০ ওভারে ৬৪/২।
ব্যক্তিগত ৩০ ও দলীয় ৫৮ রানের মাথায় জীবন পেলেন তাওহিদ হৃদয়। আবরার আহমেদের বলে উইকেটকিপার মোহাম্মদ হারিস ফেলেছেন ক্যাচ। হৃদয় ৩৩ ও পারভেজ ২৬ রানে ব্যাট করছিলেন। শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ৪৭ রান।
৫০ পেরিয়েছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের স্কোর: ৮ ওভারে ৫৪/২।
আব্বাস আফ্রিদির করা অষ্টম ওভারে ১১ রান নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম বলে তাওহিদ হৃদয় ও শেষ বলে পারভেজ হোসেন চার মেরেছেন। পারভেজ ২৩ ও হৃদয় ২৬ রানে ব্যাট করছিলেন। ৭২ বলে ৫৭ রান দরকার বাংলাদেশের।
পাওয়ারপ্লেতে ৩৮ রান বাংলাদেশের
বাংলাদেশের স্কোর: ৭ ওভারে ৪৩/২।
২ উইকেটে ৩৮ রান তুলে পাওয়ারপ্লে শেষ করেছে বাংলাদেশ। পারভেজ হোসেন ১৭ ও তাওহিদ হৃদয় ১৬ রানে ব্যাট করছিলেন। শেষ ১৩ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ৬৮ রান।
৪ ওভারে সবচেয়ে কম রান (টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বোলার)
চড়াও হয়েছেন পারভেজ ও হৃদয়
বাংলাদেশের স্কোর: ৫ ওভারে ৩৩/২।
দ্রুত উইকেট পড়লেও পাকিস্তানের বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছেন পারভেজ হোসেন ও তাওহিদ হৃদয়। দুজনই মেরেছেন দুটি করে ছক্কা। সালমান মির্জার বলে পারভেজ নিজের সর্বশেষ ছক্কাটি মেরেছেন এক হাতে, লং অনের ওপর দিয়ে।
এবার আউট লিটন
বাংলাদেশের স্কোর: ৩ ওভারে ১৪/২।
আবার সালমান মির্জার আঘাত। এবার আউট বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। তবে এই উইকেটে কৃতিত্ব দিতে হবে পাকিস্তান অধিনায়ক আগা সালমানের বুদ্ধিদীপ্ত ফিল্ডিং সাজানো আর খুশদিল শাহর অসাধারণ ক্যাচকে। ওয়াইড স্লিপে দাঁড়ানো খুশদিল ডান দিকে ঝাঁপিয়ে বলটাকে মুঠোবন্দী করেছেন।
প্রথম ওভারেই আউট তানজিদ
বাংলাদেশের স্কোর: ১ ওভারে ৩/১।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। পাকিস্তানের অভিষিক্ত পেসার সালমান মির্জার প্রথম ওভারেই মিড অনে ফখর জামানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তানজিদ হাসান।
পাকিস্তান ১১০ রানে অলআউট
মিরপুরে প্রথম টি–টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ১১০ রানে অলআউট করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের এই সংস্করণে এটিই দলীয় সর্বনিম্ন। আগের সর্বনিম্ন ১২৯/৭, ২০১৬ সালে মিরপুরেই এশিয়া কাপে।
পাকিস্তান শেষ ওভারটা শুরু করেছিল ৭ উইকেটে ১১০ রান নিয়ে। ওভারের প্রথম তিন বলেই উইকেট হারিয়ে অলআউট দলটি। তাসকিনের করা ওভারের প্রথম বলে মেহেদীকে ক্যাচ দেন ফাহিম আশরাফ। পরের বলে রানআউট অভিষিক্ত সালমান মির্জা। তৃতীয় বলে আব্বাস আফ্রিদি ক্যাচ দেন লিটন দাসকে। ৩.৩ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন তাসকিন।
বাংলাদেশ কি পারবে ১১১ রান করে সিরিজে এগিয়ে যেতে?
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ১৯.৩ ওভারে ১১০ (ফখর ৪৪, আব্বাস ২২, খুশদিল ১৭; তাসকিন ৩/২২, মোস্তাফিজ ২/৬, তানজিম ১/২০, মেহেদী ১/৩৭)।
৪ ওভারে ৬ রান, মোস্তাফিজের নতুন রেকর্ড
পাকিস্তানের স্কোর: ১৯ ওভারে ১১০/৭।
আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ৪ ওভারের বোলিং কোটা পূরণ করে সবচেয়ে কম রান দেওয়ার বাংলাদেশি রেকর্ড গড়লেন মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার আজ মিরপুরে ৪ ওভারে ৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। এর আগে রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজ নিজে ৪ ওভারে ৭ রান দিয়েছিলেন।
মোস্তাফিজ ফেরালেন খুশদিলকে
পাকিস্তানের স্কোর: ১৮ ওভারে ১০৯/৭।
১৭তম ওভারের প্রথম বলে রিশাদ হোসেনকে ক্যাচিং প্র্যাকটিস করিয়ে ফিরলেন খুশদিল শাহ। পাকিস্তান অলরাউন্ডার ফিরলেন ২৩ বলে ১৭ রান করে। এটি আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে মোস্তাফিজের ১৩৮তম উইকেট। ওভারে মোস্তাফিজ দিয়েছেন মাত্র ২ রান। নিজের প্রথম ৩ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়েছেন মোস্তাফিজ।
১০০ পেরোল পাকিস্তান
পাকিস্তানের স্কোর: ১৬ ওভারে ১০২/৬।
রিশাদের করা ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মারেন খুশদিল শাহ, শেষ বলে আব্বাস আফ্রিদি। তাতে ওভারটায় ওঠে ১৩ রান। তৃতীয় ওভারেও ১৩ রান তুলেছিল দলটি। তানজিমের করা পরের ওভারে আসে ১৪ রান। টানা দুটি ছক্কা মারেন আফ্রিদি। যার শেষটিতে ১০০ পেরিয়ে যায় পাকিস্তান। বোলিং কোটা শেষ হলো তানজিমের। ৪–০–২০–১, বাংলাদেশি পেসারের বোলিং বিশ্লেষণ।
রানআউট হয়ে ফিরলেন দুবার জীবন পাওয়া ফখর
পাকিস্তানের স্কোর: ১৪ ওভারে ৭৫/৬।
ষষ্ঠ উইকেট হারাল পাকিস্তান। মোস্তাফিজের করা ১২তম ওভারে চতুর্থ বলে তাসকিনের থ্রো ধরে স্ট্রাইকিং প্রান্তের উইকেট ভাঙেন লিটন। ডিপ থার্ডম্যানে বল ফেলে ২ রান নিতে চেয়েছিলেন খুশদিল। ১ রান সম্পূর্ণ হওয়ার পর সিদ্ধান্ত বদলে ফখরকে ফিরিয়ে দিয়ে বিপদ ডেকে এনে বাংলাদেশকে উল্লাসে মাতান খুশদিল। দুবার জীবন পাওয়া ফখর ফিরলেন ৩৪ বলে ৪৪ রান করে।
প্রথম ওভারে ২ রান দিলেন শামীম হোসেন
পাকিস্তানের স্কোর: ১১ ওভারে ৬৮/৫।
অনিয়মিত স্পিনার শামীম হোসেন নিজের প্রথম ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২ রান। শেষ দুই একটি করে সিঙ্গেল নিয়েছেন খুশদিল শাহ ও ফখর জামান। দুবার জীবন পাওয়া ফখর ৪৩ ও খুশদিল ৬ রানে ব্যাট করছিলেন।
আবার বাঁচলেন ফখর
পাকিস্তানের স্কোর: ১০ ওভারে ৬৬/৫।
১০ম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছিলেন ফখর জামান। বোলার মেহেদীর দুই হাত গলে বেরিয়ে যায় বল। ৩০ রানে দ্বিতীয়বার জীবন পাওয়া ফখর পরের বলেই মেরে দেন ছক্কা। শেষ বলে আরকটি চার মেরে মেহেদীর বোলিং বিশ্লেষণটাই বাজে বানিয়ে দিলেন পাকিস্তান ওপেনার। বোলিং কোটা পূরণ করা মেহেদীর বিশ্লেষণ ৪–০–৩৭–১১
পাকিস্তান: ৯ ওভারে ৫৪/৫
সব সংস্করণে মিলিয়ে বাংলাদেশ এই ম্যাচের চেয়ে পাকিস্তানের প্রথম ৫ উইকেট তুলে নিতে পেরেছে মাত্র একবারই। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে নর্দাম্পটনে ঐতিহাসিক সেই ম্যাচে ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল পাকিস্তান।
মোহাম্মদ নেওয়াজ রানআউট
পাকিস্তানের স্কোর: ৮ ওভারে ৪৬/৫।
টানা ২৬ বলে বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ পাকিস্তান পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে ৪৬ রানে। আবার আক্রমণে ফেরা অফ স্পিনার মেহেদী হাসানের বলটা অন সাইডে ঠেলেই ১ রান নিতে চেয়েছিলেন ফখর জামান। মেহেদী দৌড়ে গিয়ে ছুড়ে দেন স্ট্রাইকিং প্রান্তে। উইকেটকিপার লিটন দাস যখন বেল ফেলে দিলেন ক্রিজে পৌছাতে পারেননি মোহাম্মদ নেওয়াজ। ৪৬ রানে পঞ্চম উইকেট খোয়াল পাকিস্তান।
তিন ওভারে মাত্র ৫ রান দিলেন তানজিম–মোস্তাফিজ
পাকিস্তানের স্কোর: ৭ ওভারে ৪৩/৪।
টানা ২২ বলে কোনো বাউন্ডারি দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। তানজিম ও মোস্তাফিজের করা পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম ওভারে মাত্র ৫ রান তুলতে পেরেছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। এ সময়ে উইকেট গেছে ২টি।
৬ ওভারে ৪ উইকেট নেই পাকিস্তানের
পাকিস্তানের স্কোর: ৬ ওভারে ৪১/৪।
প্রথমবার আক্রমণে এসেই পঞ্চম বলে উইকেট পেয়ে গেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম চার বলে মাত্র ১ রান দেওয়া মোস্তাফিজ পঞ্চম বলে ফিরিয়েছেন হাসান নেওয়াজকে। ফোর্থ স্টাম্পের বলে চালিয়ে ডিপ থার্ডম্যানে রিশাদের ক্যাচ হয়েছেন ৪ বলে রান করতে ব্যর্থ হাসান নেওয়াজ। পাকিস্তান হারাল চতুর্থ উইকেট। পঞ্চম ও ষষ্ঠ ওভারে ৩ রানে ২ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান।
সালমানকে ফেরালেন তানজিম
পাকিস্তানের স্কোর: ৫ ওভারে ৪০/৩।
পঞ্চম ওভারে বল করতে এসেই সালমানের উইকেট প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন। পাকিস্তান অধিনায়ক আগা সালমান প্রথম বলে বেঁচে গেছেন ভাগ্যগুণেই। কাভার ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে গেছে তাঁর তোলা ক্যাচটি। ওই বলে ২ রান নেওয়া সালমান পরের চার বলে ঠিকমতো ব্যাটে–বলেই করতেই পারেননি। মরিয়া সালমান শেষ বলে ক্যাচ দেন উইকেটকিপার লিটন দাসকে। ৯ বলে ৩ রান করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
সেই হারিস এবার ফিরলেন ৪ রানেই
পাকিস্তানের স্কোর: ৪ ওভারে ৩৮/২।
১ জুন লাহোরে ৪৬ বলে ১০৬ রান করে বাংলাদেশকে একাই হারিয়ে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ হারিস। সেই হারিসকে আজ ৪ রানেই ফেরালেন মেহেদী হাসান। ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলেছেন হারিস, ক্যাচটি নিতে ভুল করেননি শামীম হোসেন। ওভারের শেষ বলে এই উইকেট নেওয়ার আগে ১৩ রান দেন মেহেদী। প্রথম বলে অবশ্য ফখর প্রায় ফিরতি ক্যাচ দিয়েই ফেলেছিলেন।
ফখরের ক্যাচ ছাড়া তাসকিন ফেরালেন সাইম আইয়ুবকে
পাকিস্তানের স্কোর: ২ ওভারে ১৯/১।
আগের ওভারে মেহেদী হাসানের বলে শর্ট ফাইন লেগে ফখর জামানের ক্যাচ ফেলেছিলেন তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশের পেসার পরের ওভারেই একটু ক্ষতিপূরণ করলেন সাইম আইয়ুবকে ফিরিয়ে। ডিপ ফাইন লেগে ক্যাচ নিতে ভুল করেননি মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ বলে ৬ রান করেছেন সাইম। ওভারে রান উঠেছে ১০টি।
ফখরের ক্যাচ ছাড়লেন তাসকিন
পাকিস্তানের স্কোর: ১ ওভারে ৯/০।
অফ স্পিনার মেহেদী হাসানকে দ্বিতীয় বলে চার মারা পাকিস্তানি ওপেনার ফখর জামান ফিরতে পারতেন ইনিংসের চতুর্থ বলেই। সহজ ক্যাচটি নিতে পারেননি তাসকিন। ৪ রানে জীবন পেলেন এই ম্যাচে পাকিস্তানের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ওভারের শেষ বলে চার মেরেছেন আরেক ওপেনার সাইম আইয়ুব।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
অবশেষে টি–টোয়েন্টিতে টসে জিতল বাংলাদেশ। টানা নয় ম্যাচে টসে হারার পর আজ ভাগ্য মুখ তুলে তাকিয়েছে বাংলাদেশের দিকে। টসে জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস পাকিস্তানের বিপক্ষে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় টি–টোয়েন্টিতে খেলা দলের শরীফুল ইসলাম নেই আজকের একাদশে। তাঁর বদলে দলে ঢুকেছেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ।
১ম টি–টোয়েন্টির বাংলাদেশ দল
তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
১ম টি–টোয়েন্টির পাকিস্তান দল
ফখর জামান, সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস, আগা সালমান (অধিনায়ক), হাসান নেওয়াজ, মোহাম্মদ নেওয়াজ, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, আব্বাস আফ্রিদি, সালমান মির্জা ও আবরার আহমেদ।
বাংলাদেশ–পাকিস্তান টি–টোয়েন্টি সিরিজে স্বাগতম
সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ–পাকিস্তান টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। সিরিজে ম্যাচের সংখ্যা তিন। এর আগে মে–জুনে পাকিস্তান সফরে ৩–০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জিতে আসা বাংলাদেশ কি পারবে আরেকটি টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতে ব্যর্থতার ইতিহাস পেছনে ফেলতে।
ম্যাচ শুরুর আগে এখানে নিতে পারেন দুই দলের টি–টোয়েন্টি লড়াইয়ে ইতিহাস। সিরিজের ফল কী হলে বাংলাদেশ আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ নয়ে উঠবে সেটিও জেনে নিতে পারেন।