ওয়ানডে অধিনায়ক বাটলার টেস্ট খেলবেন না?

একদিনের ক্রিকেটে এখন সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাটসম্যান এখন বাটলারছবি: এএফপি

জস বাটলারের বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে।

আইপিএলের রানবন্যা ধরে রেখেছেন জাতীয় দলের জার্সি গায়েও। সাদা বলের ক্রিকেটে বাটলারের যে ফর্ম, তাতে অনেকেই তাঁকে বর্তমান সময়ের সেরা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান হিসেবে মেনে নিয়েছেন। এর ওপর বাড়তি সুখবর হিসেবে যুক্ত হয়েছে অধিনায়কত্ব। সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে সম্প্রতি এউইন মরগানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

এ তো গেল ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির হিসাব। কিন্তু টেস্ট? বাটলারকে সাদা পোশাকে আবার কবে দেখা যাবে? গত অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টের পর বাজে ফর্মের খেসারত দিয়ে সেই যে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়লেন, পরের ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর নিউজিল্যান্ড সফরের টেস্টই খেলেননি আর। সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর বাটলার যা বলছেন, তাতে আদৌ আর কখনও ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে এই ডানহাতি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে দেখা যায় কি না, সন্দেহ হতে পারে।

বাটলার
ছবি: এএফপি

টেস্ট দলের কোচ হয়েছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। এসেই আক্রমণাত্মক খেলার লাইসেন্স দিয়েছেন রুট-বেয়ারস্টোদের। যদি দলে ডাকা হয়, এই দর্শনে বাটলার দুর্দান্ত এক সংযোজন হতে পারেন। তবে আপাতত টেস্ট নিয়ে চিন্তা করছেন না বাটলার, ‘আপাতত আমার ব্যাগে কোনো লাল বল নেই। আমি অ্যাশেজে ভালো করিনি। আমি এখন টেস্ট দলেরও অংশ নই। আমাদের টেস্ট দল এমনিতেই দুর্দান্ত খেলছে, আমার মনে হয় না দলে এখন কারওর ঢোকা দরকার। আমার পূর্ণ মনোযোগ এখন সাদা বলের ক্রিকেটে।’

আরও পড়ুন

নিজের পূর্ণ মনোযোগ এখন ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্বেই রেখেছেন বাটলার, ‘আমার মনে হয় এটা আমার জন্য অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ, এই চ্যালেঞ্জেই আমাকে পুরো সময় দিতে হবে। সাদা বলের ক্রিকেটেই এখন পূর্ণ মনোযোগ আমার, এটা নিয়েই আমি অনেক রোমাঞ্চিত। টেস্টের ব্যাপারে কেউ যদি আমার সঙ্গে কথা বলতে না আসে তাহলে এ নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন দেখি না। টেস্ট নিয়ে আমার সঙ্গে কেউ এখনো কথা বলতে আসেনি।’

এউইন মরগান অবসর নিয়েছেন
ফাইল ছবি

গত সাড়ে সাত বছর ধরে মরগান ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে যে সংস্কৃতি গড়ে তুলেছেন, সে সংস্কৃতি সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা বাটলারের কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং বলেই মনে হচ্ছে, ‘অনেক বড় মানুষের অভাব পূরণ করতে হবে আমাকে, তাই নয় কি? গত সাত বছর ধরে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছি। মরগান যেমন অসাধারণ অধিনায়ক ছিল, তাতে ওকে নিয়ে সব জায়গায় সুনাম হবে এটাই স্বাভাবিক। এউইন যেভাবে খেলাটাকে দেখত, আমি ঠিক সেভাবেই দেখার চেষ্টা করি। আমিও চাই আমরা ঠিক একইভাবে খেলি যেভাবে আমাদের দল এউইনের অধীনে খেলত। আমরা যে কথাটা সবসময় বলে থাকি, আমরা কোনো সীমানা নির্ধারণ করছি না। উন্নতির কোনো সীমারেখা রাখছি না, সব সময় উন্নতি করতে চাচ্ছি।’

আরও পড়ুন