রিয়াল ফাইনালে না গেলে খুশি ইন্টার

ম্যাচ শেষে জানেত্তি ও লুকাকুর আলিঙ্গনরয়টার্স

ইন্টার মিলান সর্বশেষ যেবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল, ট্রফিটা সবার আগে তুলে ধরেছিলেন তিনিই। হাভিয়ের জানেত্তি যে তখন ইন্টারের অধিনায়ক। ১৩ বছর পর সেই ইন্টার আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। ভিআইপি বক্সে বসে আজ মিলানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ইন্টারের আরও একটা জয় দেখেছেন জানেত্তি, এখন তিনি ক্লাবের সহ-সভাপতি। ম্যাচ শেষে তার চোখে মুখে আনন্দ, আরেকটা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের সম্ভাবনায় রোমাঞ্চিত।

ইন্টারের জয়ের নায়ক লাওতারো মার্তিনেজ
ইন্টার মিলানের টুইটার

আগামী ১০ জুন ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক স্টেডিয়ামের সেই ফাইনালে ইন্টারের প্রতিপক্ষ হতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা ম্যানচেস্টার সিটি। তবে জানেত্তির আশা, প্রতিপক্ষ যেন রিয়াল মাদ্রিদ না হয়। কেন, ম্যাচের পর স্কাই ইতালিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সেই কারণও বলেছেন ইন্টার কিংবদন্তি, ‘আমরা আসলে রিয়াল মাদ্রিদকে এড়াতে চাই। কারণ এই টুর্নামেন্টটা যেন ওদের জন্যই বানানো।’

আরও পড়ুন

১৪ বারের ইউরোপ-সেরা রিয়ালকে নিয়ে এই ভয়টা অবশ্য যেকোনো দলেরই। তবে শেষ পর্যন্ত যদি রিয়ালের সামনেই পড়ে ইন্টার, এত ভয়ের কিছু দেখেন না জানেত্তি, ‘চ্যাম্পিয়ন হতে হলে তো বড় দলকে হারাতেই হবে।’

ম্যাচ শেষে বাচ্চাদের সঙ্গে ইন্টার কোচ সিমোন ইনজাগির উদযাপন
রয়টার্স

ইন্টার অবশ্য এই মৌসুমে এরই মধ্যে নিজেদের সামর্থ্য যথেষ্ট দেখিয়েছে। বায়ার্ন মিউনিখ, বার্সেলোনা, ভিক্টোরিয়া প্লজেনকে নিয়ে গড়া গ্রুপ থেকে রানার্স আপ হয়ে উঠে এসে শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত করেছে ফাইনাল। ইন্টার কোচ সিমোন ইনজাগি এটাকেই দেখছেন বিশাল এক প্রাপ্তি হিসেবে, ‘১৯ মাস আগে আমি যখন দায়িত্ব নিই, আমাকে বলা হয়েছিল, কোনোভাবে দলটাকে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো পর্যন্ত নিয়ে যেতে, যেটা ২০১১ সালের পর এই ক্লাব পারেনি। কিন্তু ছেলেরা দারুণ পরিশ্রম করেছে এবং এখন আমরা ফাইনালে।’

তো সেই ফাইনালে কি জানেত্তির মতো তাঁরও কোনো পছন্দের প্রতিপক্ষ আছে? এই প্রশ্নের উত্তরটা অবশ্য সরাসরি দেননি ইনজাগি, ‘রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি ইউরোপের সেরা দুটি দল। আমরা দুই দলের সামর্থ্যই জানি, ওদের সেমিফাইনালের প্রথম লেগটাও সমতায় শেষ হয়েছে। আমি খুব আগ্রহ নিয়েই ফিরতি লেগটা দেখব। দেখা যাক প্রতিপক্ষ হিসেবে কোন দলকে পাই।’