আমি হারি না, হয় জিতি, নয় শিখি: ভুল করে গোল খেয়ে বললেন মার্তিনেজ
মোহাম্মদ সালাহকে খালি পোস্টে গোল করার সুযোগ উপহার দিয়েও মনে হয় অনুতপ্ত নন অ্যাস্টন ভিলার এই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক।
এমিলিয়ানো মার্তিনেজের অমনোযোগই বিপদ ডেকে এনেছিল তাঁর জন্য, অ্যাস্টন ভিলার জন্য। অ্যানফিল্ডে গতকাল লিভারপুলের কাছে হারের দায়ও অনেকটাই গেল আর্জেন্টিনার এই বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষকের ওপর।
তবে মোহাম্মদ সালাহকে খালি পোস্টে গোল করার সুযোগ উপহার দিয়েও মনে হয় অনুতপ্ত নন অ্যাস্টন ভিলার এই গোলরক্ষক। বলেছেন, ‘আমি হারি না। আমি হয় জিতি, নয় শিখি।’
ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলই লড়েছে সমানে সমানে। গোলশূন্য অবস্থায়ই বিরতিতে যেতে পারত দুই দল। তবে প্রথমার্ধের যোগ হওয়া সময়ে বিপদ ডেকে আনেন মার্তিনেজই।
পাউ তোরেস ব্যাকপাস দিয়েছিলেন মার্তিনেজকে। অ্যাস্টন ভিলা গোলরক্ষকের সামনে তখন সময় আর জায়গা দুটোই আছে। চাইলেই ফের বল দিতে পারতেন তোরেসকে, কিংবা লম্বা কিক মেরে বল পাঠাতে পারতেন সামনে। কিন্তু তিনি এমন জায়গায় বল বাড়ালেন যা তোরেসের নাগালের বাইরে চলে গেল। সুযোগ বুঝে সালাহ ছুটে গিয়ে ডান পায়ের নিচু শটে পাঠিয়ে দিলেন জালে।
দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুল ছন্দ খুঁজে পেল। রায়ান গ্রাভেনবার্চের দিক বদলে যাওয়া শটে ভুল দিকে ঝাঁপ দিলেন মার্তিনেজ, নিশ্চিত হলো লিভারপুলের জয়। চার ম্যাচ পর প্রিমিয়ার লিগে ৩ পয়েন্ট পেল আর্নে স্লটের দল।
ম্যাচ শেষে কোচ উনাই এমেরি বেশ বিরক্ত ছিলেন তাঁর গোলরক্ষকের ওই শিশুতোষ ভুলে। বার্মিংহাম লাইভকে তিনি বলেন, ‘পাউ তখন ঠিক জায়গায় ছিল, পাস নেওয়ার জন্য প্রস্তুতও ছিল। কিন্তু আজ (কাল) ভুল হয়েছে। পরের ম্যাচগুলোয় এই ভুলগুলো থেকে শিখে আরও শক্ত দল হয়ে ফিরতে হবে।’
এমেরি আরও বলেন, ‘আমাদের এমন বড় ভুল এড়িয়ে চলতে হবে। প্রথম গোলটাই খেলায় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’
মার্তিনেজকে অবশ্য কোচের মতো বিনয়ী মনে হয়নি। ইনস্টাগ্রামে নিজের দুটি সাদা-কালো ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমি হারি না। আমি হয় জিতি, নয় শিখি।’
ভক্তদের কেউ কেউ অবশ্য তাতে খুব সন্তুষ্ট নন। কারণ, কয়েক মৌসুম ধরে এমন ভুল করেই যাচ্ছেন মার্তিনেজ। কখনো ভুল পাস, কখনো অনর্থক ঝুঁকি—পরিণাম একটাই, প্রতিপক্ষের গোল।
শোনা যাচ্ছিল, এই গ্রীষ্মেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যেতে চেয়েছিলেন মার্তিনেজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইউনাইটেড বেছে নেয় তরুণ বেলজিয়ান গোলরক্ষক সেনে লামেন্সকে। তাই মন না চাইলেও এখনো বার্মিংহামে আটকে আছেন আর্জেন্টাইন এই তারকা। কে জানে, সেটাই তাঁর এমন অমনোযোগের কারণ কি না!