হ্যাটট্রিকে এমবাপ্পের ‘৬০’, চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি হ্যাটট্রিক কোন দলের
চ্যাম্পিয়নস লিগে মঙ্গলবার রাতে কাজাখস্তানের ক্লাব কাইরাতের মাঠে ৫-০ গোলের বড় জয় পায় রিয়াল মাদ্রিদ। হ্যাটট্রিক করেন রিয়াল তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের হয়ে এটা তাঁর দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন রিয়ালের হয়ে।
মাদ্রিদের ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার আগে এই প্রতিযোগিতায় পিএসজির হয়েও দুটি হ্যাটট্রিক করেন এমবাপ্পে। ২০১৯ সালে বেলজিয়ান ক্লাব ব্রুগে এবং ২০২১ সালে বার্সেলোনার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন এই ফরাসি তারকা। কাইরাতের মাঠে জয়ের পর এমবাপ্পে বলেন, ‘আরও গোল করতে পারতেন।’ চ্যাম্পিয়নস লিগে এ নিয়ে ৮৯ ম্যাচে মোট ৬০ গোল করলেন এমবাপ্পে। রোনালদো নাজারিও, করিম বেনজেমা ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর রিয়ালের চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে হ্যাটট্রিক করলেন এমবাপ্পে।
চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে এবারই প্রথম খেলতে আসা দলটির বিপক্ষে প্রথমার্ধের ২৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন এমবাপ্পে। বিরতির পর ৫২ ও ৭৩ মিনিটে করেন আরও দুই গোল। জয়ের পর ‘মুভিস্টার’কে এমবাপ্পে বলেন, ‘আমার মতো খেলোয়াড় পাঁচটি সুযোগ পেলে পাঁচটি গোলই করা উচিত। আজ (গতকাল রাতে) তিনটি করেছি, সেটা ভালোই। কিন্তু আরও গোল করতে পারতাম। গোল করতে আরও নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা করব।’
রিয়াল কোচ জাবি আলোনসোও মনে করেন, ম্যাচে আরও গোল করতে পারত তাঁর দল। জয়ের পর আলোনসো বলেন, ‘এই ফরম্যাটে গোলের সুযোগ পেলে সেটা করতে ব্যর্থ হওয়া যাবে না। আরও গোল করতে পারতাম আমরা। কিন্তু আজকের মতো মিশন শেষ হয়েছে।’
এমবাপ্পে দ্বিতীয় গোলটি করেন রিয়াল গোলকিপার থিবো কোর্তোয়ার সরাসরি পাস থেকে। বেলজিয়ান গোলকিপারের দূরপাল্লার পাস ধরে গোলটি করেন এমবাপ্পে। এই পাস নিয়ে ফরাসি ফরোয়ার্ড ম্যাচ শেষে বলেন, ‘জানি না সে এটা ইচ্ছা করে করেছে কি না। তবে পাসটা দারুণ ছিল। গোলে ৮০ শতাংশ অবদান তাঁর, আমার ২০ শতাংশ।’
চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের হয়ে হ্যাটট্রিকে সবার ওপরে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ৭টি হ্যাটট্রিক করেছেন পর্তুগিজ কিংবদন্তি। ৪টি হ্যাটট্রিক ফ্রান্সের সাবেক ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমার। একটি করে হ্যাটট্রিক রাউল, রোনালদো নাজারিও ও ভিনিসিয়ুসের।
চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনার হয়ে সর্বোচ্চ ৮টি হ্যাটট্রিক লিওনেল মেসির। একটি করে হ্যাটট্রিক আছে রোনালদিনিও, স্যামুয়েল ইতো, নেইমার, আরদা তুরান, রবার্ট লেভানডফস্কি ও রাফিনিয়ার। তবে ব্যক্তিগত হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি আরেকটি প্রসঙ্গ উঠতে পারে—চ্যাম্পিয়নস লিগে হ্যাটট্রিকসংখ্যায় কোন ক্লাব সবার ওপরে?
রিয়াল মাদ্রিদ। ১৫ বারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা এই প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ ১৭টি হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন। ১৪ হ্যাটট্রিক নিয়ে দুইয়ে বার্সেলোনা। ১২ হ্যাটট্রিক নিয়ে তৃতীয় বায়ার্ন মিউনিখ। শুধু এই তিন ক্লাবেরই চ্যাম্পিয়নস লিগে অন্তত ১০টি হ্যাটট্রিক আছে।
ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলোর মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগে হ্যাটট্রিকসংখ্যায় কেউ এককভাবে শীর্ষে নেই আপাতত। লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সমান ৭টি করে হ্যাটট্রিক পেয়েছে। ফ্রান্সের ক্লাবগুলোর মধ্যে হ্যাটট্রিকে পিএসজি এগিয়ে। চ্যাম্পিয়নস লিগে ৭টি হ্যাটট্রিক রয়েছে তাদের খেলোয়াড়দের। ৬ হ্যাটট্রিক নিয়ে ইতালি থেকে শীর্ষে জুভেন্টাস।