দল যত কমছে, ইউরোপের দাপট বাড়ছে

সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে পর্তুগালের প্রথম গোলের পর গনসালো রামোসের সঙ্গে পেপের উদযাপনছবি: এএফপি

জার্মানি আর বেলজিয়াম বিদায় নিয়েছে প্রথম পর্ব থেকেই। দ্বিতীয় রাউন্ডে আটকে গেছে স্পেনও। তিন জায়ান্ট না থাকলেও বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে দাপট কমেনি ইউরোপের। বরং বেড়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা দলগুলোর খেলোয়াড় তালিকা বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

শিরোপাদৌড়ে টিকে থাকা দলগুলোর মধ্যে ইউরোপের দেশ পাঁচটি। বাকি তিনটির দুটি লাতিন আমেরিকার, একটি আফ্রিকার।

সব কটি দল মিলিয়ে ৯৪ শতাংশ খেলোয়াড়ই ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে খেলেন। এর প্রায় অর্ধেকই (৪৫%) আবার ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগ আর স্পেনের লা লিগার। আফ্রিকার একমাত্র প্রতিনিধি মরক্কো না উঠলে সংখ্যাটা নিশ্চিতভাবেই আরও বেশি হতো।

কোয়ার্টারে ওঠা দলগুলোর তথ্য ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, ইউরোপের বাইরে খেলা সর্বোচ্চ ১১ জন ফুটবলার মরক্কোর, যাঁদের তিনজন নিজ দেশের লিগে খেলেন। লাতিনের দুই দেশের মধ্যে ব্রাজিল দলে স্থানীয় লিগের খেলোয়াড় আছেন চারজন। আর্জেন্টিনার আছেন শুধু গোলকিপার ফ্রাঙ্কো আরমানি।

আরও পড়ুন

টুর্নামেন্টের শুরুতে ৩২টি দলের ৮৩২ খেলোয়াড়ের মধ্যে ইউরোপীয় ক্লাবের ফুটবলার ছিল ৭২ শতাংশ। প্রথম রাউন্ড থেকে ১৬ দল বিদায় নেওয়ার পর এই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬ শতাংশে। কোয়ার্টারে দল সংখ্যা কমে আটে আসতে আসতে যা ৯৪–এ উঠে গেছে।

ইউরোপীয় ফুটবলের দাপটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে প্রিমিয়ার লিগের হিস্যার পরিমাণও। গ্রুপ পর্বে ১৫৮ জন খেলোয়াড় ছিলেন ইংলিশ লিগের, যা মোট খেলোয়াড়ের ১৯ শতাংশ। শেষ আটে পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ শতাংশে।

আরও পড়ুন

লিগ হিসাব করলে এক থেকে আট পর্যন্ত সবই ইউরোপীয়। নন–ইউরোপিয়ান লিগের মধ্যে শীর্ষে থাকা ব্রাজিলের লিগ আছে সমন্বিত তালিকার ৯ নম্বরে।

ক্লাব বিবেচনায় টুর্নামেন্টের শুরুতে এগিয়ে ছিল জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখ ও স্পেনের বার্সেলোনা। দল দুটির খেলোয়াড় ছিল যথাক্রমে ১৭ ও ১৬ জন। তবে কোয়ার্টার আসার পথে দুই দলেরই বেশির ভাগ খেলোয়াড় ঝরে গেছেন। এখন আছেন সাত ও পাঁচজন করে।

আরও পড়ুন

এ মুহূর্তে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় আছেন প্রিমিয়ার লিগের দুই ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ক্লাব দুটির খেলোয়াড় টিকে আছেন যথাক্রমে ১২ ও ১১ জন।