ফিলিস্তিন: মৃত্যু উপত্যকায় আশার বীজ বোনা একটি জয়

হংকংকে হারানোর পর ফিলিস্তিনের খেলোয়াড়দের উদ্‌যাপনরয়টার্স

‘হাতের তালুতে করে নিয়ে যাব আমার প্রাণ/ তারপর ছুড়ে ফেলব ধ্বংসের উপত্যকায়’—আরব কবি শহীদ আবদুর রহিম মাহমুদের লেখা ফিলিস্তিন নিয়ে কবিতার লাইন। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব শুরুর পর ওই উপত্যকা নিয়ে এর চেয়ে বড় সত্য আর হয় না। বয়সে এখন প্রৌঢ় বা তরুণ অনেকেই বেড়ে উঠেছেন ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখদারত্বের রক্তাক্ত সব গল্প শুনে, দেখে ও পড়ে এবং এই রক্তপাতের যেন কোনো শেষ নেই।

আরও পড়ুন

গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে মানুষ মরছে ঝাঁকে ঝাঁকে। ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর সেই মিছিল কি গতকাল বাংলাদেশ সময় রাতে একটু হলেও থমকে দাঁড়িয়েছিল! সেই মৃত্যু উপত্যকায় খুশির উপলক্ষ তো খুব বেশি আসে না। গতকাল রাতে যখন লগ্নটি ধরা দিল, তখন হয়তো ফিলিস্তিনি কোনো মুক্তিকামী কিশোরের দুফোঁটা অশ্রু কল্পিত ‘উপহার’ হয়ে সমর্পিত হয়েছে খুশির লগ্ন এনে দেওয়া মানুষগুলোর দুয়ারে। তারপর হয়তো মুখে হাসি চোখে কান্না নিয়ে সেই কিশোর আনমনেই বলেছে, তোরা সব জয়ধ্বনি কর—মা-কে ছেড়ে, এই মাতৃভূমির টানে প্রাণটা ওই ধ্বংস উপত্যকায় ছুড়ে ফেলতে আমি চললাম!

কিংবা ঘরে ফিরেও যেতে পারে। ফুটবল যে জীবনের কথা বলে। ফুটবল বাঁচার অবলম্বনও কারও কারও কাছে। দোহা থেকে গত রাতে যে খবর পেয়েছে ফিলিস্তিন, তাতে মাতৃভূমির জন্য প্রাণ বিসর্জনে প্রস্তুত ফিলিস্তিনি দু-একজন কিশোর-তরুণ ভাবতেই পারেন, একদিন মরতে হবেই, তার আগে এই আনন্দ লগ্নটুকু উপভোগ করি, দখলদারদের চোখে চোখে রেখে অন্তত বলি—আমরাও জিততে পারি।

এশিয়ান কাপে প্রথম জয়েই ইতিহাস গড়েছে ফিলিস্তিন। বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহৃ খেলোয়াড়েরা দেখিয়েছেন গোল করে
এএফপি

ফিলিস্তিন পেরেছে। সেটি বৈশ্বিক রাজনীতির টেবিলে নয়, যুদ্ধক্ষেত্রেও নয়, ফিলিস্তিন পেরেছে আয়তাকার এক সবুজ জমিনে। আদতে সেটি ফুটবল মাঠ হলেও ফিলিস্তিনের জন্য তো বিশ্বকে বার্তা দেওয়ার মঞ্চ। গ্রুপ পর্বে হংকংকে ৩-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের শেষ ষোলোয় উঠে বৈশ্বিক রাজনীতির মোড়লদের সেই বার্তাই দিয়েছে ফিলিস্তিন ফুটবল দল—অস্ত্র ছাড়াও টিকে থাকা যায়, কেউ পাশে না থাকলেও ফুটবলকে আঁকড়ে মৃত্যুর মিছিলেও গাওয়া যায় জীবনের জয়গান। আর সেই ‘গান’-এর ভিতও কী শিহরণ জাগায়!

এশিয়ান কাপের ইতিহাসে ফিলিস্তিনের এটাই প্রথম জয়। এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এত দিন সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে জয়হীন থাকার দুঃখগাথায় সবার ওপরে ছিল ফিলিস্তিন (৮) ও হংকংয়ের (১২) নাম। দেশবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে সেই দুঃখও কাটাল ফিলিস্তিন।

আরও পড়ুন

প্রতিশ্রুতি? ফিলিস্তিনিদের প্রতি উদাসীন এই বিশ্ব ভাবতে পারে, সেই উপত্যকায় তো মৃত্যুই একমাত্র প্রতিশ্রুতি। হয় মরো না হয় মারো! এর মধ্যে প্রতিশ্রুতি মানে তো একঅর্থে বেঁচে থাকার চেষ্টারই আস্ফালন। কারণ, প্রতিশ্রুতি দিলে সেটি রাখতে হয় এবং সে জন্য বাঁচাটা প্রথম শর্ত। এশিয়ান কাপ খেলতে কাতারে যাওয়া ফিলিস্তিন দলের খেলোয়াড় থেকে কোচিং স্টাফের অনেকেই ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে স্বজন হারিয়েছেন। খেলোয়াড়েরা দেশে ফেরার পর তাঁদের জড়িয়ে ধরে বলার সুযোগ নেই, আমরা পেরেছি!

তবে দেশবাসীর কথা ভোলেননি ফিলিস্তিন অধিনায়ক মুসাব আল-বাত্তাত, ‘ফিলিস্তিনি মানুষদের যে প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছিলাম সেটি রাখতে পেরেছি।’ মুসাব ধন্যবাদও জানিয়েছেন, ‘যারা আমাদের সমর্থন দিয়েছে, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। ফিলিস্তিনের ভেতরে কিংবা বাইরে...যাঁরা আমাদের সমর্থন দিয়েছেন, তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি।’

হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচে গ্যালারিতে বেশ ভালো সমর্থন পেয়েছে ফিলিস্তিন দল
রয়টার্স

সে তো বটেই। এশিয়ান কাপে গ্রুপ পর্বে ফিলিস্তিনের ৩ ম্যাচেই গ্যালারিতে তাদের সমর্থন ছিল বেশি। গতকাল রাতে আবদুল্লাহ বিন খলিফা স্টেডিয়ামে সাড়ে ৬ হাজার দর্শকের বেশির ভাগই গলা ফাটান ফিলিস্তিনের পক্ষে। ম্যাচ শুরুর আগে গ্যালারিতে রব উঠেছিল ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’! দর্শকদের সে বজ্র-নিনাদ সম্ভবত আরও বেশি করে জাগিয়ে তুলেছিল ফিলিস্তিনের খেলোয়াড়দের। ম্যাচ শেষে ফিলিস্তিন কোচ মাকরাম দাবুব জানিয়েছেন, দেশে চলমান যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এই ম্যাচটা জিততে মরিয়া ছিলেন খেলোয়াড়েরা, ‘সবাই জানত এ ম্যাচ পার্থক্য গড়ে দেবে...বিশেষ করে ফিলিস্তিন এখন যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’

আরও পড়ুন

মাকরাম দাবুব ২০২১ সালে নুরেদ্দিন উলেদ আলীর জায়গায় ফিলিস্তিন কোচের দায়িত্ব নেন। ২০২২ সালের জুলাইয়ে নুরেদ্দিন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনের কোচ হওয়া কত কঠিন দায়িত্ব, ‘মনে করেন (ইংল্যান্ড কোচ) গ্যারেথ সাউথগেটের দলের অর্ধেকসংখ্যক খেলোয়াড় অন্য একটি শহরে থাকে এবং তারা সেখান থেকে আসতে পারে না। কিংবা আসতে পারলেও চেক পয়েন্ট থাকে রাস্তায়, যেখান থেকে খেলোয়াড়দের মাঝেমধ্যে ফেরতও যেতে হয়। ফিলিস্তিন কোচের দায়িত্ব নিলে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।’

আরেকটি উদাহরণ দেওয়া যায়। সেটি হানি আল-মাসদারের উদাহরণ। প্রতিভাবান মিডফিল্ডার হিসেবে খেলোয়াড়ি জীবনে সুনাম কুড়িয়েছেন। ২০১৮ সালে অবসর নেওয়ার পর ফিলিস্তিন অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কিট ম্যানেজারের দায়িত্ব নেন। বয়সভিত্তিক দল থেকে জাতীয় দল—সব পর্যায়ের খেলোয়াড়দের সঙ্গেই দারুণ সখ্য ছিল হানি আল-মাসদারের। কোচিং লাইসেন্স পাওয়ার পর ফিলিস্তিন জাতীয় দলের সহকারী কোচের দায়িত্বও পেয়েছিলেন। কিন্তু হুট করেই সব শেষ!

৬ জানুয়ারি ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ) জানায়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হানি আল-মাসদার মারা গেছেন। ফিলিস্তিন ফুটবলে তিনি কতখানি ছিলেন, মাকরাম দাবুবের কথায় সেটি বোঝা যায়, ‘ফিলিস্তিন ফুটবলে তিনি অন্যতম সেরা প্রতিভা। দেশের জন্য এ অপূরণীয় ক্ষতি।’

আরও পড়ুন

হানি আল-মাসদারের উদাহরণ দেওয়ার কারণটাও বলা উচিত। গাজা উপত্যকায় জীবনের নিশ্চয়তা নেই। সেখানে প্রতিভাবান ফুটবলার জন্মালেই বা কী! প্রস্ফুটিত হয়ে সবাইকে সুবাস ছড়িয়ে দিতে বেঁচে তো থাকতে হবে!

বছরের পর বছর ধরে সেখানে মৃত্যুর মিছিলে বেঁচে যাওয়া ফুটবলাররাই ধরে রেখেছেন ফিলিস্তিন ফুটবলের ঐতিহ্য—দোহায় গত রাতে সেই ঐতিহ্যই আরেকটু শক্ত ভিত পেল, দেশে রক্তের স্রোত সেই ভিতের ইট-সুরকি; আরও ভালো করার অনুচ্চারিত বার্তাও। কিংবা উচ্চারিতও। এশিয়ান কাপ শুরুর আগে ১৪ জানুয়ারি ফিলিস্তিন কোচ মাকরাম বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষদের আমরা আশা জোগাতে চাই।’ পাশাপাশি একটি বার্তাও তিনি দিয়েছিলেন, ‘ফিলিস্তিনের মানুষের আরেকটু ভালো জীবন প্রাপ্য। ভালোবাসা, শান্তি এবং স্বাধীনতা প্রাপ্য।’

গত রাতের জয়ে বিশ্ব কি সে বার্তা পেল, কে জানে! চাইলে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের বার্তাকে আপনি অস্বীকার করতে পারেন। সভ্যতার ইতিহাস যে লিখে আসছে বিজয়ীরা। তবু ফুটবলের প্রতি ফিলিস্তিনিদের ভালোবাসা আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না।

এশিয়ান কাপের শেষ ষোলোয় উঠে বিশ্বকে বার্তাও দিয়েছে ফিলিস্তিন দল
এএফপি

ফিলিস্তিন ফুটবল ফেডারেশন গঠিত ১৯২৮ সালে। কিন্তু সেখানে ইহুদিদের দাপট ও আধিক্য বেশি ছিল। তবু ‘ফিলিস্তিন ব্রিটিশ ম্যান্ডেট’ নামে ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাইয়ে অংশ নিয়েছিল তারা। এরপর ১৯৪৮ সালে সেটির নাম পাল্টে রাখা হয় ইসরায়েল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। শেষ পর্যন্ত ১৯৯৮ সালে ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন নামে আলাদা ফেডারেশন বানিয়ে ফিফার সদস্যপদ পায় ফিলিস্তিন। এর পেছনে ফিফার সাবেক সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারের বেশ ভালো ভূমিকা ছিল। কিন্তু পথটা মসৃণ ছিল না।

আরও পড়ুন

২০১০ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সেই স্মৃতি এখনো অমলিন। প্রথম রাউন্ডে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে ফিলিস্তিনের ১৮ সদস্যর দলকে গাজা উপত্যকা থেকে বের হওয়ার ভিসা দেয়নি ইসরায়েল। ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এই ম্যাচ পুনরায় খেলার অনুরোধ জানালেও ফিফা কর্ণপাত করেনি। সিঙ্গাপুরকে ৩-০ গোলের জয় উপহার দেওয়া হয়। ফিলিস্তিনের প্রতি বিশ্বের উদাসীনতার যে কথাটা আগে বলা হয়েছিল, এটি তারই সামান্য উদাহরণ। কিংবা স্মরণ করতে পারেন ২০০৯ সালের সেই খুন! স্টেডিয়ামে ইসরায়েলের বোমা হামলায় ফিলিস্তিনের তিন ফুটবলার আয়মান আলকুর্দ, শাবি শাবখে, ওয়াজেহ মোশতাহি নিহত হন।

আসলে ফিলিস্তিনিদের প্রতিদিনই বাঁচার লড়াই করতে হয়। নুরেদ্দিনের কথায় সেটাই বোঝালেন, ‘ফিলিস্তিনের মানুষের চলাফেরা অবাধ নয়। কোথাও যেতে চাইলে আগে কয়েকটি চেক-পয়েন্ট পার হতে হয়। সেটি করতে পারলে বের হতে হবে জর্ডানের সীমান্ত দিয়ে।’ এসব ঝক্কি-ঝামেলা শেষ করতে অন্তত ৫ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লাগে। এরপর ‘বিমানে অন্য একটি দেশে গিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে হয়।’

জয়ের পর চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি ফিলিস্তিনের ডিফেন্ডার মোহাম্মদ সালেহ
রয়টার্স

ফিলিস্তিনের খেলোয়াড়েরা তবু কীভাবে ফুটবলের ময়দানে দেশের সম্মান বাড়ানোর জিদটা ধরে রাখেন? এই প্রশ্নের উত্তর আন্দাজ করে নেওয়ার পথটা বাতলে দেওয়া যায় দুটি উদাহরণে।

হংকংকে হারানোর পর একজনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিলেন ফিলিস্তিনের ডিফেন্ডার মোহাম্মদ সালেহ। গাজা উপত্যকায় তিনি পরিবার-পরিজন রেখে এসেছেন। ওদিকে অক্সফাম জানাচ্ছে, গাজায় প্রতিদিন গড়ে ২৫০ জন করে হত্যার শিকার হচ্ছে। সালেহ ফুটবল খেলা শিখেছেন গাজার ইয়ারমুক স্টেডিয়ামে। গত ডিসেম্বরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সেটি গুঁড়িয়ে দেয়। খোলা মাঠে হাজারো মানুষকে নগ্ন-অর্ধনগ্ন করে হাত বেঁধে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল।

সেই দগদগে স্মৃতি নিয়েই সালেহ জানিয়েছেন, তাঁর চাচার বাসায় বোমা হামলা হয়েছে। বন্ধুর বাসা এবং মায়ের বাসাতেও ইসরায়েল সামরিক বাহিনী ঢুঁ মেরেছিল। সৌভাগ্যবশত তাঁরা কেউ তখন বাসায় ছিলেন না। সালেহ এসব ক্ষত বুকে নিয়েই এসেছেন এশিয়ান কাপে খেলতে। এগুলো তাঁর দেশের হয়ে ফুটবল মাঠে লড়াইয়ের রসদ, জিদও বলতে পারেন।

জয়ের পর বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহৃ দেখাচ্ছেন ফিলিস্তিন স্ট্রাইকার মাহমুদ ওয়াদি (বাঁয়ে) ও ওদায় খাউরোব
এএফপি

কেমন জিদ, সেটি আন্দাজ করে নেওয়া যায় ফিলিস্তিন জাতীয় দলের আরেক খেলোয়াড় মাহমুদ ওয়াদির কথায়। এশিয়ান কাপে ফিলিস্তিন দল প্রথম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামার প্রায় আধঘণ্টা আগে ওয়াদি জানতে পারেন, গাজায় তাঁর কাজিনদের হত্যা করা হয়েছে। আল–জাজিরাকে বলেছিলেন, ‘কেমন লাগছে সেটা বোঝাতে পারব না। তবে দেশের মানুষদের জন্য আমাদের কিছু করতে হবে।’

দেশের মানুষ! ফুটবল যখন এই অনুভূতি জাগিয়ে তুলবে তখন মাঠও হয়ে যায় যুদ্ধক্ষেত্র, আর সে ময়দানে নামার আগে ওঁদের চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় সম্ভবত ফুটে ওঠে এমন সব পঙ্‌ক্তি—  

‘হাতের তালুতে করে নিয়ে যাব আমার প্রাণ/ তারপর ছুড়ে ফেলব সবুজ গালিচায়।’

আরও পড়ুন