জলবায়ু নিয়ে জন কেরির নতুন পরিকল্পনা আসছে এপ্রিলে

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দেশটির জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি
ফাইল ছবি: রয়টার্স

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদানে নতুন একটি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি। তিনি জানান, এ পরিকল্পনায় বহুজাতিক ব্যাংকব্যবস্থায় সংস্কারের প্রস্তাব করা হবে। এর ফলে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য সহজেই ‘হাজার কোটি’ ডলার ছাড় করা যাবে। সেই অর্থ ব্যবহার করে এসব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারবে। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।

মিসরের শার্ম আল-শেখে চলছে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন কপ-২৭। আজ মঙ্গলবার সম্মেলনের এক ফাঁকে অপর একটি বৈঠকে অংশ নিয়ে জন কেরি এই পরিকল্পনার কথা জানান।

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরি বলেন, আগামী এপ্রিলে বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী বৈঠকে তিনি জার্মানিকে সঙ্গে নিয়ে এই পরিকল্পনার বিস্তারিত জানাতে চান। তবে এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হবে, ঝুঁকিতে থাকা ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আরও বেশি পরিমাণে সহায়তা দেওয়া।

জন কেরি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আমরা সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার। তাই আমাদের বৈঠক ডেকে কার্যকর একটি পরিকল্পনা পাস করানো ও সেটি বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব রয়েছে।’

আরও পড়ুন

এদিকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ কমানোর যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে, তা হালনাগাদ করার ঘোষণা দিয়েছেন জোটের জলবায়ুবিষয়ক প্রধান ফ্র্যান্স তিমারম্যানস। মঙ্গলবার সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী বছরের জলবায়ু সম্মেলনের আগেই এটা চূড়ান্ত করা হবে।

আরও পড়ুন

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বের বৃহত্তম কার্বন নিঃসরণকারী ইইউ। তবে এই জোটের দেশগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের হার ১৯৯০ সালের তুলনায় ৫৫ শতাংশ কমিয়ে আনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। আর ২০৫০ সালের মধ্যে তা শূন্যে নামিয়ে আনতে চায় ইইউ। এই পরিকল্পনা আরও হালনাগাদ করবে জোটটি।

আগামী শুক্রবার কপ-২৭ সম্মেলন শেষ হবে। এর আগেই চূড়ান্ত পরিকল্পনা কিংবা চুক্তির রূপরেখা ঘোষণার দাবিতে আজও সম্মেলনস্থলের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন পরিবেশবাদীরা। এ ছাড়া বিভিন্ন পরিবেশবাদী ব্যক্তি ও সংগঠন রাষ্ট্রনেতা, আলোচক ও বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে বিভ্রান্তি ও ভুল তথ্য না ছড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। চিঠিতে সই করেছেন জাতিসংঘের সাবেক জলবায়ু প্রধান ক্রিস্টিনা ফিগুরেসসহ ৫৫০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

আরও পড়ুন