এরপর একে একে দেখা দেয় বিভিন্ন সমস্যা। সেবাস্তিয়ানের পায়ের দুটি আঙুল আংশিক কেটে ফেলতে হয়েছে। করতে হয়েছে ৩০টি অস্ত্রোপচার। আর চার সপ্তাহ ছিলেন কোমায়। এখানেই শেষ নয়, মশার ওই কামড়ের পর রক্তে বিষক্রিয়া এবং লিভার, কিডনি ও ফুসফুসের নানা জটিলতায় ভুগেছেন তিনি।

২৭ বছর বয়সী সেবাস্তিয়ানের ঊরুতেও অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। সেখানে দেখা দিয়েছিল মারাত্মক একটি ফোড়া। সেটির কারণে তাঁর ঊরুর একটা অংশে পচন ধরেছিল। তখন সেবাস্তিয়ানের মনে হয়েছিল, তাঁর বোধ হয় মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এসেছে।

সেবাস্তিয়ান বলেন, ‘আমি দেশের বাইরে যাইনি। তাই ওই মশা জার্মানিতেই আমাকে কামড়িয়েছে। এরপরই ধকল শুরু হলো। আমি শয্যাশায়ী হয়ে গেলাম। বাথরুমেও যেতে পারতাম না। আমার জ্বর ছিল। কিছুই খেতে পারতাম না। আমার মনে হলো, সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।’

‘এশিয়ান টাইগার মশা’ বনজঙ্গলের মশা নামেও পরিচিত। এই মশাগুলো দিনের বেলায় কামড়ায়। জিকা ভাইরাস, ওয়েস্ট নিল ভাইরাস, চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর মতো মারাত্মক সব রোগের জীবাণু বহন করতে পারে এই মশা।