ট্রাম্পের শান্তির প্রচেষ্টা বিশ্বজুড়ে প্রশংসা পাচ্ছে: পুতিনের বিশেষ দূত

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিরিল দিমিত্রিয়েভফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তির প্রচেষ্টা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিশেষ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভ।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের শান্তি আলোচনার পর আজ সোমবার ভোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে কিরিল এ কথা বলেন।

বিদেশি দেশগুলোর সঙ্গে বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাবিষয়ক রাশিয়ার বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কিরিল। এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, পুরো বিশ্বই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর দলের শান্তির প্রচেষ্টার প্রশংসা করছে।

গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মার-এ-লাগো অবকাশযাপনকেন্দ্রে জেলেনস্কির সঙ্গে শান্তি আলোচনা করেন ট্রাম্প। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে এই বৈঠকের পর তাঁরা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামবে কি না, তা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বোঝা যাবে। সবকিছু ভালোভাবে এগোলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চুক্তি হয়ে যাবে। আর খারাপভাবে এগোলে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।

যুদ্ধ বন্ধের জন্য একটি সমঝোতার খুব কাছাকাছি ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

যুদ্ধ বন্ধের শান্তি পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে ট্রাম্প ইউক্রেনের পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, এটার সত্যিই প্রয়োজন আছে কি না, তা তিনি নিশ্চিত নন। তবে এটি যদি প্রতি মাসে ২৫ হাজার জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে বা যে কাজেই আসুক না কেন, তিনি নিশ্চিতভাবে তা করতে চাইবেন।

আরও পড়ুন

অন্যদিকে জেলেনস্কি বলেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে শান্তি কাঠামোর সব দিক নিয়েই আলোচনা করেছেন। ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। আর ইউক্রেনকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়ে শতভাগ একমত হওয়া গেছে।

প্রায় চার বছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। রাশিয়ার দাবি, যুদ্ধ থামানোর জন্য ইউক্রেনের পুরো দনবাস অঞ্চল মস্কোর কাছে ছেড়ে দিতে হবে। অঞ্চলটির প্রায় পুরোটাই বর্তমানে রাশিয়ার দখলে। রুশ নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের বাকি অংশেরও দখল চায় মস্কো।

আরও পড়ুন

যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্প যে শান্তির প্রস্তাব দিয়েছেন, সেখানেও অঞ্চলটি (দনবাস) পুরোপুরি রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও এতে নারাজ ইউক্রেন। জেলেনস্কি সম্প্রতি বলেছেন, শান্তি প্রস্তাবের এই দফা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা নরম হবে বলে আশা করেন তিনি।

গতকালের বৈঠকে ট্রাম্প ও জেলেনস্কি দুজনই বলেছেন, দনবাসের ভবিষ্যতের বিষয়টি এখনো সুরাহা হয়নি। তবে একটি সমাধানের বিষয়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। দনবাস নিয়ে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে একটি সমঝোতা কঠিন বিষয় বলে উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন