Thank you for trying Sticky AMP!!

আবরার হত্যায় বুয়েটের ২৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হেমায়েত উদ্দিন খান। তিনি বলেন, এই মামলায় অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে চারজন পলাতক আছেন। বাকিরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। এ ঘটনার দায় স্বীকার করে আটজন আদালতে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি ১৩ জনের ১৬১ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।

আবরার ফাহাদ। ছবি: সংগৃহীত

পিপি হেমায়েত উদ্দিন খান আরও বলেন, এই মামলার আলামত হিসেবে আবরার ফাহাদের রক্তমাখা জামাকাপড়, আসামিদের মেসেঞ্জারের কথোপকথন এবং বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ জব্দ দেখানো হয়েছে।

আজ দুপুর ১২টার দিকে মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, আবরারকে হত্যায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন ১১ জন। তাঁরাই আবরারকে কয়েক দফায় মারপিট করেন। বাকি ১৪ জন বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্নভাবে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তিনি বলেন, মামলার তদন্তে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ঘটনার দিন রাত ১০টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত আবরারকে পেটানো হয়।

অভিযোগপত্রভুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে ২১ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২১ জনের মধ্যে ১৬ জনের নাম আবরারের বাবার করা হত্যা মামলার এজাহারে আছে। তাঁরা হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা ও এ এস এম নাজমুস সাদাত। বাকি পাঁচজনের নাম তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। তাঁরা হলেন ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু।

২৫ জনের মধ্যে চারজন পলাতক। পলাতক জিসান, তানিন ও মোর্শেদের নাম মামলার এজাহারে আছে। এজাহারের বাইরে আরেক আসামি রাফি।

গত ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটে শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

আরও পড়ুন: 
হত্যাকারীরা উচ্ছৃঙ্খল আচরণে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল
ভিন্ন মতের নির্মম ‘শাস্তি’ পেয়েছিলেন আবরার
আবরার হত্যায় সরাসরি যুক্ত ১১ জন