Thank you for trying Sticky AMP!!

উত্তরার সোনারগাঁও জনপথের ওপরেই বর্জ্য স্থানান্তর

উত্তরা আবাসিক এলাকার সোনারগাঁও জনপদ সড়কের বেশির ভাগ অংশজুড়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বর্জ্য স্থানান্তর চলে। এতে স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হয়। পুরো এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে দুর্গন্ধ। দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তরা বাজারের পূর্ব পাশে সড়কের এক-তৃতীয়াংশ দখল করে বর্জ্য অপসারণের কাজ করছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ডিএনসিসির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সব বর্জ্য এখানে ফেলা হচ্ছে। বর্জ্যের দুর্গন্ধে পথচারীরা নাক চেপে এলাকা পার হচ্ছেন৷ সড়কের বেশির ভাগ জায়গা দখল করে বর্জ্য অপসারণের কাজে নিয়োজিত ৮টি ট্রাক ও ১৫টি ভ্যান রাখা৷ ফলে সড়ক সংকীর্ণ হয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট।
সড়কটি হাউজ বিল্ডিং থেকে উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প হয়ে আশুলিয়া বেড়িবাঁধের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। দিনে কয়েক হাজার যানবাহন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু বর্জ্যের কারণে সড়কটি সংকুচিত হয়ে আছে। সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে৷
সড়কের দোকানদার ইলিয়াস মোল্লা বলেন, বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই সড়কটির এই বেহাল অবস্থা হয়ে আছে৷ মাঝেমধ্যে সম্পূর্ণ সড়কটি বর্জ্যের দখলে চলে যায়। বৃষ্টি হলে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ে৷ পথচারীরা সব সময় সড়কটি এড়িয়ে বিকল্প পথ ব্যবহার করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিহাবুল হাসান বলেন, বর্জ্যের অসহনীয় দুর্গন্ধের কারণেÿশ্রেণিকক্ষে বসে থাকতেও কষ্ট হয়। বাতাস বেশি হলে দুর্গন্ধের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
পাশের সড়কের নিজ বাড়ির বাসিন্দা আফরোজা চৌধুরী বলেন, বাসার দরজা-জানালা বন্ধ থাকলে দুর্গন্ধ কম আসে। বাচ্চাকে নিয়ে হেঁটে স্কুলে যেতে পারি না। গাড়িতে করে বের হই, আবার গাড়িতে করে বাসায় আসতে হয়। কিন্তু নগর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব ডিএনসিসির৷ এ দায় তারা এড়াতে পারে না। এসব বর্জ্য রাতেই অপসারণ করা উচিত৷
ডিএনসিসির ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফছার উদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আগামী মাসের মধ্যে বর্জ্য অপসারণের স্থান অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হলে তখন কোনো সমস্যা থাকবে না।