সেমিনারে বক্তারা

ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের ভূমি সমস্যার সমাধানে চেষ্টা নেই

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনকে অকার্যকর অবস্থায় রাখা হয়েছে। সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন হয়নি। তাদের সব সমস্যার মূলে আছে ভূমি। কিন্তু এ সমস্যার সমাধানে কার্যকর রাষ্ট্রীয় চেষ্টা নেই।
আজ বৃহস্পতিবার ‘আদিবাসীদের ভূমি সুরক্ষা ও করণীয়’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বেসরকারি সংগঠন নাগরিক উদ্যোগ ও আইপিনিউজ এর আয়োজন করে।

সভায় ফজলে হোসেন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনকে অকার্যকর অবস্থায় রাখা হয়েছে। আবার সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করার কথা থাকলেও এখনো তা করা হয়নি। তাই তারা সরকারের বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হতে পারছে না।

সাংসদ আদিবা আনজুম মিতা বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা যেন তাদের ভূমি রক্ষা করতে পারে এবং অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারে, সে নিশ্চয়তা দিতে হবে।

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, বাংলাদেশের সরকারগুলো স্বীকার করেছে যে প্রচলিত ভূমি আইনে অনেক সমস্যা আছে। এই প্রচলিত ভূমি রক্ষা আইন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও বাঙালির ভূমি বেদখল বন্ধ করতে পারবে না, এটা প্রমাণিত। সে জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে আলাদা করে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন হয়েছে। কিন্তু ভূমি সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রীয় চেষ্টা নেই।

বেসরকারি সংগঠন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন,‘নৃগোষ্ঠীর মানুষের প্রতি যে ঐতিহাসিক অবিচার, বঞ্চনা ও বৈষম্য তা বিলোপ হওয়া দরকার। তার জন্য আমরা লড়াই করছি। পাহাড়-সমতলের নৃগোষ্ঠীর মানুষের নাগরিক অধিকার, মানবাধিকার, ভূমি অধিকার রক্ষার জন্য নাগরিক অধিকার কমিটি গড়ে তোলা দরকার।’

বেসরকারি সংগঠন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ান হাসান বলেন, ‘নৃগোষ্ঠীর মানুষদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। ভূমি ও বনাঞ্চল রক্ষায় “ফরেস্ট রাইট অ্যাক্ট” প্রণয়নের কথা আমাদের ভাবতে হবে।’

আজকের আলোচনায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অনুরাগ চাকমা, বেসরকারি সংগঠন সিডিএর নির্বাহী পরিচালক শাহ-ই-মবিন জিন্নাহ, অধিকারকর্মী সোহেল হাজং প্রমুখ।