Thank you for trying Sticky AMP!!

খুলনায় আজ বাস চলবে বলেছিল, চলছে না

প্রতীকী ছবি

খুলনার অভ্যন্তরীণ সড়কপথে আজ বুধবার সকাল থেকে বাস চলাচলের কথা থাকলেও চলছে না। গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর শ্রমিকনেতারা জানিয়েছিলেন, আজ সকাল থেকে খুলনার অভ্যন্তরীণ সড়কপথে বাস চালাবেন তাঁরা। কিন্তু সকাল থেকে বাস চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে না।

গত সোমবার থেকে খুলনার সব সড়কপথে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন চালক ও মালিকেরা। নতুন সড়ক আইন সংশোধন না করা পর্যন্ত তাঁদের ওই কর্মবিরতি চলার কথা।

সকালে বাস ছাড়বে—এমন খবরে সোনাডাঙ্গা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, রয়েল ও শিববাড়ীর মোড়ে শত শত যাত্রী দূরদূরান্তে যাত্রার উদ্দেশে আসে। বাস না ছাড়ায় যাত্রা ভঙ্গ হয় তাদের। অধিকাংশ বাস কাউন্টার বন্ধ রয়েছে।

পরিবহন ধর্মঘটের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দুপুরে পরিবহনমালিক-শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ সড়কপথে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত ভেস্তে গেছে। খুলনা সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে দুই পক্ষের আলোচনা শেষে মধ্যস্থতার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহনমালিক-শ্রমিকনেতারা চলমান পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।

গতকাল বৈঠকের পরে খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, নতুন সড়ক আইনের কিছু ধারায় মালিক ও চালকদের কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। এ কারণে চালক ও মালিকেরা ভয়ে গাড়ি বের করছেন না। তবে বৈঠকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী কয়েক দিন নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়নে কিছুটা শিথিল করার আশ্বাস দেওয়া হয়। তাই ইউনিয়নের পক্ষ থেকে চালক ও মালিকদের গাড়ি চালানোর অনুরোধ করা হচ্ছে। যেহেতু সিদ্ধান্ত নিতে নিতে দুপুর হয়ে গেছে, তাই মঙ্গলবার আর নয়, কাল বুধবার থেকে চালকেরা গাড়ি চালাবেন বলে জানিয়েছেন।

জাকির হোসেন বলেন, খুলনায় গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সমস্যা হলো অন্যান্য জেলার শ্রমিকদের নিয়ে। খুলনা থেকে অন্যান্য রুটে বাস গেলেই সেখানকার শ্রমিকেরা তা আটকে দেন। তারপরও বুধবার থেকে অন্তত অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

পরিবহনমালিক-শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠকে বাস ছাড়ার সিদ্ধান্তের পরও কেন বাস চলছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে আজ সকালে খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, চালকেরা কেউ গাড়ি চালাতে চাচ্ছেন না। সকাল সাড়ে ছয়টায় সোনাডাঙ্গা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এসে চালকদের গাড়ি চালাতে অনুরোধ করলেও তাঁরা তাতে রাজি হচ্ছেন না। চালকেরা বলছেন, দুর্ঘটনা ঘটলে সব জরিমানা আপনি দেবেন এমন লিখিত দিলে আমরা গাড়ি চালাব।

খুলনা শহর থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস না ছাড়লেও রূপসা-মোংলা, রূপসা-বাগেরহাটসহ বেশ কিছু রুটে বাস চলাচল করছে। তবে যেসব রুটে বাস চলছে না সেই রুটের যাত্রীরা পড়েছে দুর্ভোগে।

এই সুযোগে ইঞ্জিনচালিত স্থানীয় যান মাহেন্দ্র, মিনি পিকআপ, মাইক্রোবাসসহ ছোট গাড়িগুলো কয়েক গুণ ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। এসব যানে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা গন্তব্যে যাচ্ছে।