চাঁদপুরের আলোচিত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সেলিম খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
চাঁদপুর সদরের ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুদক। তাঁর বিরুদ্ধে প্রস্তাবিত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে কারসাজি এবং মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি করার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন দুদকের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে সেলিম খানের নামে চাঁদপুর সদর উপজেলায় ৪ দশমিক ২১ একর (কৃষি-অকৃষি), নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ১০ তলা বাড়ি, ঢাকার কাকরাইলে ৪ তলা বাড়ি ও ১টি ফ্ল্যাট, ২টি জিপ গাড়ি, ৪টি ড্রেজার, ১টি শটগান, স্বর্ণালংকারসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২০ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
ইতিমধ্যে সেলিম খান দুদকের নির্দেশে তাঁর সম্পদের বিবরণী দাখিল করেছেন, যা যাচাই–বাছাই চলছে। আদালতে দাখিল করা দুদকের নথিতে বলা হয়েছে, অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার জানতে পেরেছেন, দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীর বাইরেও সেলিম খানের নামে অনেক স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে এবং বিদেশেও সম্পদ পাচার করেছেন। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা গোপন সূত্র জানতে পেরেছেন, সেলিম খান দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন।
দুদকের আইনজীবী জানান, আসামি সেলিম খান বিদেশ পালিয়ে গেলে মামলার কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় জনস্বার্থে তাঁর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আবেদন জানালে আদালত ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেন।
জানা গেছে, আদালতের এ আদেশ বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) এবং হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ইমিগ্রেশন) সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।