Thank you for trying Sticky AMP!!

দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ২ দিনের রিমান্ডে আমানুর

আমানুর রহমান খান

দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আওয়ামী লীগের সাংসদ আমানুর রহমান খান রানাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল আমলি আদালতের বিচারক এ আদেশ দেন।

এ ছাড়া এক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় আমানুরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেওয়ার পর ওই মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন ঘাটাইলের আমলি আদালত।

সাংসদ আমানুর রহমান খান আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি। ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণের পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

টাঙ্গাইল সদর আমলি আদালতে যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমানুরকে গত বুধবার গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন বিচারক। পরে ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার সিংহ আমানুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে আমানুরের উপস্থিতিতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে ওই আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মাসুম বিকেলে দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে ঘাটাইল আমলি আদালতে আমানুরকে ঘাটাইল জিবিজি কলেজছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ রুবেলকে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শামছুল ইসলাম ৩ মে এ মামলায় আমানুরকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ওই আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলাম আমানুরকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। পরে আমানুরের আইনজীবীরা তাঁর জামিন প্রার্থনা করলে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়।

দুটি মামলার শুনানি শেষে দুপুরে আমানুরকে কড়া পুলিশি প্রহরায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাঁদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে। এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ গত বছর ১১ মার্চ, শাহাদত হোসেন ১৬ মার্চ এবং হিরন মিয়া ২৭ এপ্রিল আদালতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, সাংসদ আমানুরের দিকনির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

অপর দিকে ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর রাতে একদল সন্ত্রাসী ঘাটাইল জিবিজি কলেজছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) আবু সাঈদ রুবেলকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন। এ হামলায় আবু সাঈদ পঙ্গু হয়ে যান। এ মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি আবদুল জব্বার ওরফে বাবু ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে আবদুল জব্বার জানান, সাংসদ আমানুর কারাগার থেকে আবু সাঈদকে কিছু করার নির্দেশ দেন। তার নির্দেশমতোই সাঈদকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা হয়।

দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অশোক কুমার সিংহ জানান, রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পর সাংসদ আমানুরকে কাশিমপুর কারাগার থেকে টাঙ্গাইল নিয়ে আসা হবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।