নালায় পড়ে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর লাশ উদ্ধার

শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়া
শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়া

চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদে নালায় পড়ে যাওয়ার সাড়ে চার ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়ার (১৯) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তাঁর লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের আগ্রাবাদের মাজার গেট এলাকায় নালায় পড়ে যান আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের ছাত্রী সাদিয়া। তিনি চশমা কিনে মামার সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন। ভাগনিকে উদ্ধারের জন্য মামা সঙ্গে সঙ্গে নালায় লাফ দেন। কিন্তু ব্যর্থ হন।

সাদিয়ার বাসা নগরের হালিশহরের বড়পোল এলাকায়। তাঁর বাবার নাম মোহাম্মদ আলী।

নগরের ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ রানা বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে উপপরিচালক শামীম আহসান চৌধুরীর বরাত দিয়ে জানানো হয়, নালায় তরুণী পড়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। নালার বিভিন্ন অংশে খোঁজাখুঁজি করেন ডুবুরি দলের সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পরে নিখোঁজ হওয়ার স্থান থেকে ৩০ গজ দূরে ওই নালা থেকে নিহত ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট নগরের মুরাদপুর এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় চশমাখালে পা পিছলে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে তলিয়ে যান সবজিবিক্রেতা ছালেহ আহমেদ (৫০)। এখনো তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার মাইজভান্ডার দরবার শরিফে যাওয়ার জন্য মুরাদপুরে এসেছিলেন। ওখান থেকে বাসে করে দরবার শরিফে যাওয়ার কথা ছিল।

নগরে জলাবদ্ধতার সময় গত ছয় বছরে নালা-নর্দমা ও খালে পড়ে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজন মারা যান গত ৩০ জুন। ওই দিন নগরের মেয়র গলি এলাকায় চশমাখালে পড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়।