Thank you for trying Sticky AMP!!

নিউমোনিয়ার কারণে খানিকটা দুর্বল জাফরুল্লাহ চৌধুরী

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ফাইল ছবি

নিউমোনিয়ার কারণে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। তাঁকে নতুন করে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে। তিনি শারীরিকভাবে এখনো দুর্বল।

আজ মঙ্গলবার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক মামুন মোস্তাফীর বরাতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্বাস্থ্যের অবস্থা আজ কিছুটা চিন্তাযুক্ত। তাঁর নিউমোনিয়া পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। অবস্থা বিবেচনায় নতুন করে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি সবার দোয়া চেয়েছেন।’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তরপ্রধান জাহাঙ্গীর আলম আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিউমোনিয়ার কারণে জাফরুল্লাহ চৌধুরী আগের চেয়ে দুর্বল হয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন তাঁকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।’

গত ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। ২৯ মে থেকে তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিট এবং পিসিআর উভয় পরীক্ষাতেই তিনি এখন করোনামুক্ত। তবে তাঁর চিকিৎসকেরা জানিয়ে এসেছেন, তিনি ঝুঁকিমুক্ত নন। তাঁর ফুসফুসের সংক্রমণ এখনো সারেনি।

গতকাল সোমবার জানানো হয়, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সার্বিক অবস্থা স্থিতিশীল। কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়াই আগের চেয়ে ভালো বোধ করছেন। তিনি এখন করোনামুক্ত। তবে নিউমোনিয়ার জটিলতায় ভুগছেন।

এ ছাড়া জানানো হয়, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরীন হক ও ছেলে বারীশ হাসান চৌধুরী সুস্থ আছেন। তাঁরা বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। উল্লেখ্য, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে দুজনেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। স্ত্রী পরে করোনামুক্ত হন।
করোনামুক্ত হয়ে তিনি গত রোববার সদ্য প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের জানাজায় গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন।
৪ জুন রাতে ৭৯ বছর বয়স্ক এই মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তবে ৬ জুন থেকে ধীরে ধীরে তাঁর উন্নতি হতে থাকে। ইতিমধ্যে তাঁর চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক মামুন মোস্তাফী ও অধ্যাপক নজীবের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।