Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রেম থেকে বিয়ে, অতঃপর পরকীয়া সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ায় স্ত্রীকে খুন

লাশ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পূর্বপাড়ায় পোশাককর্মী মুক্তা বেগমকে (২৭) হত্যার ঘটনায় তাঁর স্বামী মো. সোহাগকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

পুলিশ বলছে, পেশায় পোশাককর্মী সোহাগ প্রথম বিয়ে গোপন করে মুক্তাকে বিয়ে করেছিলেন। প্রথম বিয়ে ও আরেক নারীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে, এমন তথ্য জেনে ফেলায় মুক্তাকে হত্যা করেন তিনি।

গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর পল্লবী থেকে সোহাগকে গ্রেপ্তার করার পর সিআইডি এসব তথ্য জানিয়েছে। ওই ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি মিজমিজি পূর্বপাড়ার একটি বাড়ির নিচতলা থেকে মুক্তা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ভাড়া বাসায় স্বামীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। তালাবদ্ধ ঘর থেকে মুক্তার লাশ উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে সোহাগের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোহাগের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থানার উত্তর চর মোন্তাজ এলাকায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নিহত মুক্তার বাবার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার কোনাউর মুন্সিবাড়ীতে। তিনি ও সোহাগ সিদ্ধিরগঞ্জে আলাদা দুটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। অপর একজন শ্রমিকের মাধ্যমে পরিচয় হয় তাঁদের।

পরিচয় থেকে প্রেম এবং ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তাঁরা বিয়ে করেন। সোহাগের প্রথম স্ত্রী ও সেই সংসারে পাঁচ বছরের এক সন্তান রয়েছে। এসব তথ্য মুক্তার কাছে গোপন রেখেছিলেন তিনি। পরে বিয়ের বিষয়টি জেনে যান মুক্তা। এ ছাড়া আরেক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সোহাগ। এসব বিষয়ে দাম্পত্য কলহ শুরু হয় তাঁদের। এর জেরে ২২ জানুয়ারি রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মুক্তাকে সোহাগ হত্যা করেন।

এ ঘটনায় মুক্তার চাচা সোহেল মিয়া বাদী হয়ে সোহাগের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন।