Thank you for trying Sticky AMP!!

অজুফা বেগমকে ফিরে পেয়েছেন স্বজনেরা। বুধবার সকালে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বিন্না গ্রামে

ফেসবুকে ভিডিও দেখে মাকে ফিরে পেলেন সন্তানেরা

ঢাকার মিরপুরে ছেলের বাসা থেকে ২৭ মাস আগে হারিয়ে যান মানসিক ভারসাম্যহীন অজুফা বেগম (৬৫)। এক মাস আগে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বিন্না বাজারে অজুফা বেগমকে ঘুরতে দেখে স্থানীয় কোহিনূর বেগম নামের এক নারী তাঁকে আশ্রয় দেন।

২০ নভেম্বর আলী হায়দার মল্লিক আবদুল্লাহ নামে এক এনজিও কর্মী অজুফা বেগমের ছবি তোলেন এবং ভিডিও করেন। এরপর তিনি তাঁর পরিচিতি আইনজীবী আরিফুর রহমানকে ছবি ও ভিডিও পাঠান। আরিফুর রহমান তা ফেসবুকে পোস্ট করেন। গত সোমবার অজুফা বেগমের স্বজনেরা সেই পোস্ট দেখে আরিফুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আজ বুধবার সকালে নেছারাবাদ উপজেলার বিন্না গ্রামে আসেন অজুফা বেগমের ছেলে দুলাল মিয়া ও মেয়ে নাজমা বেগম। মাকে ফিরে পেয়ে তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। অজুফা বেগমের বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার চর বেতাল গ্রামে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, অজুফা বেগম রাজধানীর মিরপুরে ছেলে দুলাল মিয়ার সঙ্গে থাকতেন। ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট তিনি বাসা থেকে বের হয়ে হারিয়ে যান। সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজির পর তাঁকে না পেয়ে দুলাল মিয়া একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর রূপনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক মাস আগে নেছারাবাদ উপজেলার বিন্না বাজারে অজুফা বেগমকে পেয়ে স্থানীয় বলদিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বাবুল বাহাদুর তাঁকে আশ্রয়ে রাখেন কোহিনূর বেগমের কাছে। সন্তানেরা খুঁজে পাওয়ার আগপর্যন্ত আজুফা সেখানেই ছিলেন।

দুলাল মিয়া বলেন, ‘মাকে কত জায়গায় খুঁজেছি। একপর্যায়ে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। অবশেষে মাকে ফিরে পেলাম। আল্লার কাছে শুকরিয়া।’

আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমার ফেসবুক স্ট্যাটাসের কারণে ছেলেমেয়েরা তাঁর মাকে ফিরে পেয়েছে। এতে আমার অনেক আনন্দ লাগছে।’

বলদিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বাবুল বাহাদুর বলেন, ‘ওই নারীকে বাজারে ভারসাম্যহীন অবস্থায় পেয়ে বিন্না গ্রামের কোহিনূর বেগম নামের এক নারীর আশ্রয়ে থাকার ব্যবস্থা করি। অবশেষে অজুফা বেগমকে সন্তানদের হাতে তুলে দিতে পেরে আমি আনন্দিত।’