Thank you for trying Sticky AMP!!

মৃত্যুর পর জানা গেল তিনি কোভিডে আক্রান্ত

নুরুল আমিন সরকার ওরফে ফুল মিয়া (৬৮) দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগেছেন। দুই সপ্তাহ আগে তাঁর জ্বর হয়। ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তিনি চিকিৎসা নেন। গলাব্যাথা ও তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হলে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন।

নুরুল আমিন সরকারের বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার দক্ষিণ ভাতগ্রাম গ্রামে। তিনি রংপুরের শ্যামপুর চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ছিলেন। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নুরুল আমিন সরকারকে পারিবারিক কবরস্থানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবী বিশেষ টিমের সদস্যদের তত্ত্বাবধানে দাফন সম্পন্ন হয়।

নুরুল আমিনের ছেলে রুহুল আমিন সরকার জানান, তাঁর বাবাকে চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার সময় গতকাল বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান। পরে সন্ধ্যা সাতটায় তাঁরা জানতে পারেন, রংপুরে নমুনা পরীক্ষা প্রতিবেদনে তাঁর বাবা করোনা পজিটিভ।

সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, ১৪-১৫ দিন আগে নুরুল আমিনের জ্বর হয়। তখন তিনি বাড়ির পাশে ভাতগ্রাম ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান। সেখানে তার টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। কিন্তু এতে জ্বর ভালো না হলে তিনি নিজে ১ জুন সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তাঁর করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে আসেন।গতকাল সকালে তাঁর গলাব্যাথা ও তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বিকালে তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহীনুল ইসলাম মন্ডল জানান, এই প্রথম সাদুল্যাপুর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগী মারা গেছেন। এ ঘটনায় মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা স্বজনদের শনাক্ত করা হচ্ছে। আগামীকাল বুধবার তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।