Thank you for trying Sticky AMP!!

মে মাসেও থাকবে গরম, হবে ঝড়বৃষ্টিও

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা।

বছরের প্রথম চার মাসে স্বাভাবিকভাবে যে পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ার কথা, এবার তার চেয়ে ৯১ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে গত মার্চ ও এপ্রিল মাসজুড়ে তপ্ত গরমে নাভিশ্বাস অবস্থা হয়েছে। এপ্রিলের শেষ দিকে অবশ্য কালবৈশাখী আর থেমে থেমে বৃষ্টি কিছুটা উষ্ণতা কমিয়েছে। তবে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, মে মাসেও দাবদাহ অব্যাহত থাকবে। সঙ্গে মাঝেমধ্যে কালবৈশাখী হানা দেবে, ক্ষণিক স্বস্তি আনবে বৃষ্টি।

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, বছরের শুরুর মাসগুলোয় মূলত পশ্চিমা লঘুচাপ থেকে তৈরি মেঘমালা বাংলাদেশ ভূখণ্ডে আসে। এবার ওই লঘুচাপ দুর্বল অবস্থায় ছিল। এ কারণে মেঘ কম এসেছে। তাই বৃষ্টিও কম হয়েছে। কয়েক দিন ধরে মেঘ বেড়েছে। এর সঙ্গে মাঝেমধ্যে কালবৈশাখীর কারণে তাপমাত্রা অনেক জায়গায়ই কমেছে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, মে মাসজুড়েও ঝড়বৃষ্টি বেড়ে কিছুদিন গরম কমবে। বৃষ্টি কমলে আবার দাবদাহ শুরু হবে। এভাবেই এ মাস চলবে।

তিন বছর ধরে এপ্রিলে বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। এ কারণে এই বছরগুলোয় বঙ্গোপসাগরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৯ ও ২০২০ সালে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ফণী ও আম্পান আঘাত হানে। নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টিও হয়েছে বেশি।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ বলছে, বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রা বর্তমানে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম রয়েছে। ২৫ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকছে। সাধারণত, সাগরের তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। এ কারণে চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই। তবে মাসের শেষ দিকে বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে একাধিক নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তবে সেটি বাংলাদেশে আঘাত করবে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ বলছে, বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রা বর্তমানে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম রয়েছে। ২৫ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকছে। সাধারণত, সাগরের তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। এ কারণে চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই।

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গোপসাগর তুলনামূলকভাবে শীতল অবস্থায় রয়েছে। মাসের শুরুর দুই সপ্তাহে সেখানে তাপমাত্রা বেড়ে নিম্নচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা নেই। মাসের শেষে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। তবে এ মাসে বৃষ্টিপাত আগের মাসগুলোর তুলনায় বেশি হবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রোববার দেশের বেশির ভাগ স্থানে ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা আছে। বৃষ্টির কারণে দেশের বেশির ভাগ স্থানে গরম কিছুটা কমতে পারে। তবে রাঙামাটি, কুমিল্লা, নোয়াখালী, রাজশাহী, যশোর, চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের অনেক জায়গায় দাবদাহও বয়ে যেতে পারে।