লাখ টাকার ছাগলের মার্কেট

এই হাটে লাখ টাকার ছাগলও আছে। মেলে দুই হাজার টাকার ছাগলও। এ যেন ছাগলের মেলা। দেশের প্রায় ৪০টি জেলা থেকে হাটে আসে ছাগল-ভেড়া। পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখান থেকে ছাগল-ভেড়া কেনেন। এই হাটের নাম রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর খাজা গরিবে নেওয়াজ ছাগল-ভেড়ার আড়ত।

এখানে ১০ বছর ধরে ছাগলের ব্যবসা করছেন মনির হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকার সবচেয়ে বড় ছাগলের হাট এটি। এই হাটে হাজার হাজার ছাগল ওঠে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছাগল এখানে আসে। এখান থেকে ব্যবসায়ীরা ছাগল কিনে বিক্রি করেন।’ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ভাঙ্গাপ্রেস এলাকার মৃধাবাড়ি এলাকায় ছাগলের আড়তটি অবস্থিত। টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি একটি ভবনের ভেতর কয়েক হাজার ছাগল-ভেড়া রয়েছে।

রাজধানীর সবচেয়ে বড় ছাগলের হাটটি যাত্রাবাড়ীতে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছাগল আসে এখানে। অপেক্ষাকৃত কম দামে ছাগল পাওয়া যায় এই হাটে। ছবি: আসাদুজ্জামান

মনির বললেন, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ফরিদপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, রংপুর থেকে দামি ছাগল আসে। বিশেষ করে ভারত থেকে আনা তোতা, মেওতি, আজমেরী ও গারোল ছাগলের দাম বেশি। এসব ছাগল ৪০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা দামে বিক্রি হয়। কুষ্টিয়া অঞ্চল থেকে আসা ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের দাম বেশি।

মহানগর ছাগল ব্যবসায়ী বহুমুখী সমিতির সভাপতি জামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এ মার্কেট থেকে ঢাকা শহরে ছাগল সরবরাহ করা হয়। এখানে ৫০০ থেকে ৬০০ ছাগল ব্যবসায়ী আছেন। সারা দেশ থেকে ছাগল বিক্রির জন্য এখানে তোলা হয়। পাইকারেরা এখান থেকে কিনে নিয়ে ব্যবসা করেন।

রাজধানীর সবচেয়ে বড় ছাগলের হাটটি যাত্রাবাড়ীতে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছাগল আসে এখানে। অপেক্ষাকৃত কম দামে ছাগল পাওয়া যায় এই হাটে। ছবি: আসাদুজ্জামান

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে হাটে ছাগল উঠেছে বেশি। আবদুল করিম নামের ছাগল ব্যবসায়ী বললেন, তোতা, রাম, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের চাহিদা বেশি। কেবল ঢাকা শহরের পাইকারি ব্যবসায়ী নয়, দেশের বিভিন্ন বিভাগের ছাগল ব্যবসায়ীরাও এখান থেকে ছাগল কিনে নিয়ে যান।

কোরবানির ছাগল কিনতে আসা আবদুল হাই বললেন, ‘রাজধানীর ছাগলের বড় হাট হওয়ায় এখানে অপেক্ষাকৃত কম দামে ছাগল কেনা যায়। অন্য মার্কেটে যে ছাগলের দাম দশ হাজার টাকা, এখানে তা আট হাজার টাকায় কেনা যায়। দাম কম হওয়ায় এখান থেকে ছাগল কিনতে এসেছি।’