শত পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে এবং বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে গতকাল শনিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নবকুমার ইনস্টিটিউশনের শতবর্ষ পূর্তি হয়েছে৷ শতবর্ষ পূর্তি উদ্যাপন উৎসব কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে৷
সকাল সাড়ে আটটার দিকে প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় শোভাযাত্রা৷ বেলা ১১টার দিকে নবকুমার ইনস্টিটিউশন-সংলগ্ন মাঠে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী৷ পরে নবকুমার ইনস্টিটিউশন ও ড. শহীদুল্লাহ কলেজের পরিচালনা পর্ষদ এবং শতবর্ষ পূর্তি উদ্যাপন কমিটির সভাপতি খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এতে শিরীন শারমিন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজি মো. সেলিম, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা একরাম, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, নবকুমার ইনস্টিটিউশন ও ড. শহীদুল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল হালিম প্রমুখ বক্তব্য দেন। সভায় বক্তারা গণ-অভ্যুত্থান ও মহান স্বাধীনতা আন্দোলনে নবকুমার ইনস্টিটিউশনের শিক্ষার্থীদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা তুলে ধরেন৷ এ ছাড়া তাঁরা ইনস্টিটিউশনের ঐতিহ্য ও সুনাম ধরে রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান৷
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নিজের মেধা ও মননকে পরিশীলিত করতে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত হতে হবে৷ সমাজ বিনির্মাণে নিজেকে কারিগর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, ভালো শিক্ষার্থীর পাশাপাশি যথাযথ আদর্শ ও মূল্যবোধে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষাজীবন শেষে কর্মক্ষেত্রেও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে মানুষের জন্য। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলে টিকে থাকতে হবে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে।
বেলা তিনটার দিকে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণামূলক বক্তব্য, সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় ইনস্টিটিউশনের ইতিহাসভিত্তিক ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, লেজার শো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া রাত সাড়ে নয়টার দিকে আতশবাজির মাধ্যমে শতবর্ষ পূর্তি উদ্যাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়৷