শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধে করণীয়

২ নভেম্বর ২০১৬, প্রথমআলোর আয়োজনে ‘শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত আলোচকদের বক্তব্য ছাপা হলো।

.

সহযোগিতায়:

*গর্ভাবস্থায় ধূমপান করলে মা ও অনাগত সন্তান মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে থাকে। নারীসহ সবার ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে 

* ঢাকা শহরে কোনো কাজ করতে গেলে রাস্তার ওপরই দিনের পর দিন মাটি ও বর্জ্য ফেলে রাখা হয়। সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, রাজউককে অবশ্যই এ ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে

*শিক্ষা কারিকুলামে স্বাস্থ্যের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আনা প্রয়োজন

*তামাক সিগারেট, জর্দা, গুল, সাদা পাতা যেভাবেই নেওয়া হোক না কেন এটা প্রাণঘাতী। এ বদভ্যাস ছেড়ে দেওয়া জরুরি

*অর্থের অভাবে অনেকে ওষুধ কিনতে পারেন না। শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা এ ধরনের রোগের ওষুধের দাম কমানোর উদে্যাগ নিতে হবে

আলোচনা 

আব্দুল কাইয়ুম: বাংলাদেশে শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের রোগ বাড়ছে। এটি এমন একটি রোগ, যা দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা সৃষ্টি করে এবং মৃত্যুরও একটি প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়। অথচ ব্যক্তি ও সমাজ পর্যায়ে কিছু সতর্কতা ও বিধিনিষেধ অবলম্বন করলে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
এ বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য ১৬ নভেম্বর ২০১৬ প্রতিবছরের মতো পালিত হবে বিশ্ব সিওপিডি (দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ) দিবস। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একযোগে এ দিবস পালিত হবে। এখন এ বিষয়ে আলোচনা করবেন আসিফ মুজতবা মাহমুদ।

আসিফ মুজতবা মাহমুদ

আসিফ মুজতবা মাহমুদ: বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের স্লোগান হলো ‘জীবনের জন্য শ্বাস’। ফুসফুস আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাসের কাজ করে। এর সঙ্গে শরীরের আরও কিছু অঙ্গ জড়িত আছে, একে বলে রেসপিরেটরি সিস্টেম।
মানুষের শরীরে দুটো ফুসফুস আছে। এগুলো আজ মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। সে জন্য আজকের আলোচনার বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বে শ্বাসকষ্ট রোগের জন্য একটি ফোরাম রয়েছে। এর নাম ‘দ্য ফোরাম ফর ইন্টারন্যাশনাল রেসপিরেটরি সোসাইটিজ’।
এই ফোরাম তাদের গ্লোবাল বার্ডেন অন রেসপিরেটরি ডিজিজেস প্রবন্ধে পাঁচটি মারাত্মক বক্ষব্যাধির কথা বলেছে। রোগগুলো হলো ফুসফুসের সংক্রমণ, অ্যাজমা, সিওপিডি, যক্ষ্মা ​ও ফুসফুসের ক্যানসার।
সিওপিডি বিশ্বের মৃত্যুর কারণের মধ্যে চতুর্থ স্থান দখল করে আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছে, ২০২০ সালের মধ্যে এ রোগ মৃত্যুর কারণের মধ্যে তিন নম্বরে চলে আসবে।
ল্যানসেট-এর এক গবেষণায় আমাদের দেশের মানুষের মৃত্যুর পাঁচ​িট কারণ আলোচিত হয়েছে। এই পাঁচটির মধ্যে দুটি শ্বাসতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে সিওপিডি ও ডায়াবেটিস। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ফুসফুসের নিচের অংশের সংক্রমণ।

পরিবেশদূষণ, ধূমপান, ঘনবসতি, দারিদ্র্য, দ্রুত নগরায়ণ, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, জলবায়ুর পরিবর্তন, সচেতনতার অভাব, চিকিৎসাব্যবস্থার দুর্বলতার জন্য এসব ঝুঁকি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আশার কথা হলো তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধিত হয়েছে। তামাকের ওপর কর বাড়ানো হয়েছে। যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা কমছে। এখন আমাদের সবার সচেতন হতে হবে ও আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

বশীর আহাম্মদ

বশীর আহাম্মদ: এ বছর বিশ্ব সিওপিডি দিবসের স্লোগান ‘ব্রিদ ইন দ্য নলেজ’ অর্থাৎ জ্ঞানেই হবে সিওপিডি জয়। লন্ডনভিত্তিক জনস্বাস্থ্য–বিষয়য়ক সাময়িকী ল্যানসেট-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সিওপিডিতে বাংলাদেশে বছরে ৬৭,৩৩২ জন মানুষ মারা যায়। এ রোগ এখন তৃতীয় মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত।
বর্তমানে দেশে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ সিওপিডিতে ভুগছে। অথচ এটা প্রতিরোধ করার মতো একটি রোগ। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ সবাই যদি সচেতন হয় তাহলে, এ রোগে কেউ মারা যাবে না।
দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসরোগ মানুষের সৃষ্ট একটি রোগ। এ রোগের প্রধান কারণ ধূমপান ও বায়ুদূষণ। একমাত্র ধূমপান বন্ধ করতে পারলে ৮০ শতাংশ সিওপিডি রোগ হ্রাস পাবে। সিওপিডির দ্বিতীয় প্রধান কারণ হলো বায়ুদূষণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, পৃথিবীতে ৯০ শতাংশ মানুষ দূষিত বাতাসে শ্বাস নেয়। প্রতিবছর ৬৫ লাখ মানুষ বায়ুদূষণজনিত রোগে মারা যায়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রায় ৮ লাখ মানুষের এ রোগে মৃত্যু হয়।
দুটি কারণে আমাদের দেশের বায়ুদূষণ হয়। যানবাহন ও শিল্পকারখানার ধোঁয়া। এসব ধোঁয়ায় ভীষণ ক্ষতিকর টক্সিক সাবস্ট্যান্স আছে। এ জন্য ফুসফুসে দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টের রোগ হয়।

ফুসফুসের সংক্রমণের চিকিৎসা একটি চ্যালেঞ্জ। এ রোগের চিকিৎসার জন্য ৪০০ বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ আছেন। তবে এটি প্রয়োজনের তুলনায় কম।

এখন রাজধানী, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে বক্ষব্যাধির চিকিৎসক নিয়োগ, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা দরকার। এসব বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পারলে এ রোগ প্রতিরোধে দ্রুত উন্নতি লাভ করতে পারব।

রওশন আরা বেগম

রওশন আরা বেগম: শ্বাসকষ্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। অনেক ছেলেমেয়ের শ্বাসকষ্ট আছে। বিয়ের সময়ে বাবা-মা এগুলো গোপন রাখেন। গর্ভাবস্থায় মেয়েরা হাসপাতালে আসেন। তঁাদের অনেকের সঙ্গে শাশুড়ি থাকেন। এঁদের অনেকে শ্বাসকষ্টে ভীষণ কষ্ট পান। শাশুড়ি সঙ্গে থাকায় শ্বাসকষ্টের কথা কোনোভাবেই বলা যাবে না। এটাই আমাদের বাস্তবতা।
বিবাহিত একজন নারীকে সারা জীবন তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যার কথা গোপন রাখতে হয়। এই সংখ্যা এখন অনেক বেড়েছে। আজকাল অনেক গর্ভবতী নারী শ্বাসকষ্ট ও ডায়াবেটিস নিয়ে আমাদের কাছে আসেন।
ঢাকা মহানগরে বায়ুদূষণ সর্বোচ্চ মাত্রায়। আমার মনে হয় প্রতিটি পরিবারে কেউ না কেউ শ্বাসকষ্টে ভুগছে। এখন শুধু অ্যাজমা না, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়াও ভীষণভাবে বেড়ে গেছে।
একজন নারীর গর্ভাবস্থায় শ্বাসকষ্ট অনেক বেশি বেড়ে যায়। ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়ার ভালো ওষুধ পাওয়া যায়। বিয়ের আগে যেসব মেয়ের শ্বাসকষ্ট থাকে জরুরি ভিত্তিতে তাঁদের চিকিৎসা করা প্রয়োজন।
ইদানীং মেয়েদের মধ্যেও ধূমপানের প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। এসব মেয়ের যখন সন্তান হয় তখন সে সন্তানের মুখ থেকে লালা বের হয়। তখন তাদের জিজ্ঞেস করি তোমরা বা তোমার স্বামীরা কোনো ড্রাগ নাও কি না। তখন তারা স্বীকার করে যে ড্রাগ নেয়।

এই নারীদের সন্তান কিন্তু জন্ম থেকেই অসুস্থ হলো।  বাকি জীবনে এই সন্তানকে অনেক সমস্যায় পড়তে হবে। নারীরা এখনো এ ক্ষেত্রে সচেতন হননি। তাঁরা সঠিকভাবে চিকিৎসা করেন না। এসব বিষয়ে সচেতনতার বিকল্প নেই।

মো. আলী হোসেন

মো. আলী হোসেন: কথায় আছে, দমে জীবন, দমে মরণ। লাং ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১৯৯৯ ও ২০১০ সালে সারা দেশে জরিপ করেছি। এতে দেখা গেল ১০ বছরের ব্যবধানে লাং সমস্যার রোগী দ্বিগুণ হয়েছে। এখন হয়তো তিন গুণ হবে। অর্থাৎ যে হারে শ্বাসকষ্টের রোগী বাড়ছে, সেটা খুব ভয়াবহ।
২০২০ সালে এটা মৃত্যুর তৃতীয় কারণ হবে। আমরা শ্বাসকষ্ট বলতে অ্যাজমা, আইএলডি ও সিওপিডি বুঝি। কিন্তু ফুসফুসের যেকোনো রোগেই শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সেটা অ্যাজমা ও সিওপিডি হতে পারে, নিউমোনিয়া ও যক্ষ্মা হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ওষুধের মূল্য। একজন দরিদ্র মানুষ, তার মাসিক আয় ১০ হাজার টাকা। কিন্তু এক মাসের ওষুধের ব্যয় ৭ হাজার টাকা। কীভাবে সে চিকিৎসা নেবে? এসব রোগের অনেক ভালো ওষুধ আছে, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে কোনোভাবেই ক্রয় করা সম্ভব না।
আমরা হাসপাতাল থেকে যে সেবা দিচ্ছি, সেটা কার্যকর হচ্ছে না। কারণ হাসপাতাল থেকে আমরা ওষুধের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকি। কিন্তু ওষুধের মূল্য বেশি হওয়ায় রোগী এটা কিনতে পারেন না।
ঠিকমতো ভ্যাকসিন নিলে নিউমোনিয়া রোগ সারানো সম্ভব। রুটিনমাফিক ওষুধ খেলে যক্ষ্মা ভালো হয়। কিছু রোগ আছে যেটা বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রতিটি রোগের ক্ষেত্রে সচেতন হলে এসব রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারব।

মো. আবদুস শাকুর

মো. আবদুস শাকুর খান: আজকের আলোচনার প্রধান বিষয় ফুসফুস। মানুষের শরীরে যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আছে এর মধ্যে ফুসফুস একটি। পরিবেশের সঙ্গে ফুসফুসের সরাসরি সম্পর্ক।
পরিবেশদূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুসফুস। কারণ প্রতিনিয়ত দূষিত বাতাস আমাদের ফুসফুসে যাচ্ছে। ফলে সবার ফুসফুস কমবেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলো শিশুরা। শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম। অথচ ঘরে-বাইরে সব জায়গায় তার ফুসফুস আক্রান্ত হচ্ছে।
শিশুশিক্ষার মধ্যে স্বাস্থ্যশিক্ষা আনতে হবে। সারা বিশ্বে যাদের বয়স ৬০ বছরের ওপর তাদের বিশেষ একটি দলভুক্ত করা হয়। এই বয়সের মানুষও ঝুঁকিপূর্ণ। বয়স্কদের পুষ্টিহীনতা থাকে। তঁাদের আরও অনেক অসুস্থতা থাকে। এঁরা দ্রুত পরিবেশদূষণের শিকার হন।
নগরায়ণের সঙ্গে শিল্পায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো কতটুকু স্বাস্থ্যবিধি মানছে, সেটা দেখার বিষয়। এসব শিল্পে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের শরীরের অবস্থা কী—এগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
বিশ্বের একটি পরিবেশ সংগঠন প্রতিদিনের বায়ুর সূচক নির্ধারণ করে। গতকাল পর্যন্ত ঢাকা শহরের বাতাসের সূচক হলো ১৬১। কোনো দেশ বা অঞ্চলের বাতাসের সূচক যদি ৫০-এর নিচে থাকে এ সূচক বায়ুর সবচেয়ে ভালো মান নির্দেশ করে। যদি সূচক ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকে সেটা গ্রহণযোগ্য। সূচক ১০০-এর ওপর গেলে অগ্রহণযোগ্য এবং ১৫০ অতিক্রম করলে এটাকে কোনোভাবেই গ্রহণ করা যাবে না।

বাংলাদেশের সর্বশেষ সূচক হলো ১৬১। এই মাত্রা আমাদের ফুসফুসের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ না নিলে নিকট ভবিষ্যতেই বিশালসংখ্যক মানুষ ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হবে।

মুনমুন আহমেদ

মুনমুন আহমেদ: শ্বাসকষ্টের একটা সংগঠনের সঙ্গে আমি যুক্ত। একটি অভিজ্ঞতার কথা বলি। ঢাকা শহরের এক বাসায় একজন নারী কাজ করেন। তিনি মাঝেমধ্যে কাজে আসতে পারেন না। আবার কখনো কাজে আসতে দেরি হয়।
গৃহকর্ত্রী জানতে চান, তিনি কেন এমন করেন। পরে জানা গেল যে তিনি একটি বেড়ার ঘরে ভাড়া থাকেন। বিদ্যুৎ চলে গেলেই এই গৃহকর্মীর বাসার পাশ থেকে বিকট শব্দে জেনারেটর চলা শুরু করে। রাতে প্রায়ই এমন হয়। কালো ধোঁয়ায় তাঁর নাক-মুখ জ্বলতে থাকে। জেনারেটরের শব্দে রাতে ঘুমোতে পারেন না।
এই অবস্থায় মানুষটির শ্বাসতন্ত্রের অবস্থা কী হতে পারে, সেটা আমরা সহজেই বুঝতে পারি। আর তিনি কাজই–বা কীভাবে করবেন। প্রতীকী অর্থেই হয়তো তাঁর কথা আলোচনা করলাম। কিন্তু এমন অনেক গৃহকর্মী নারী ও দরিদ্র মানুষ আছেন, যাঁদের এ রকম অমানবিক অবস্থার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।
যানবাহনের ধোঁয়া, শিল্প–কলকারখানার ধোঁয়া, ধূমপান—মারাত্মক শ্বাসকষ্ট হওয়ার জন্য এমন কত বিষয় রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সবাই এসব ব্যাপারে সচেতন না হলে আমরা শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পাব না।

আনিসুল হক

আনিসুল হক: আজকের আলোচনার শিরোনাম সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই জানি ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত। যানবাহনের ধোঁয়াসহ অনেক সমস্যা রয়েছে।
মেয়র নির্বাচনের সময় কিছু কাজ করার কথা বলেছিলাম। যেমন ঢাকা হবে পরিচ্ছন্ন, সবুজ ইত্যাদি। কিছু সমস্যা আমরা রোধ করতে পারব না। এখানে প্রতিনিয়ত নগরায়ণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবন উঠছে।
বিশ্বের ১০টি ভালো শহরের কথা বললে দেখা যাবে সেখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে গড়ে ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষের বেশি বাস করে না। ঢাকায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে কমপক্ষে ৬০ হাজার মানুষ বাস করে। ফলে এখানে মানুষ বেশি, ময়লা বেশি, তিন লাখের জায়গায় ১১ লাখ গাড়ি, ভবন বেশি। এসব কারণে ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেশি।
এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে ৫০০ শিশুর মধ্যে জরিপ করেছি। সেখানে দেখলাম ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ শিশুর লাং স্বাভাবিকের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গাছ থাকলে কার্বন নিঃসরণ কম হয়। তাপমাত্রা কম থাকে। আমাদের ধারণা, ঢাকা শহরে ১০ লাখ গাছ লাগালে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে। এ বছর উত্তরায় ৩২ হাজার গাছ লাগিয়েছি। এ কাজে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার ও তাঁর কিছু কর্মী সহযোগিতা করছেন।

কোনো একটি লেখায় দেখেছিলাম ৬ হাজার ৫০০ মানুষের জন্য একটি পার্ক থাকা প্রয়োজন। আমাদের লোকসংখ্যা যদি ১ কোটি হয় তাহলে পার্কের প্রয়োজন হবে ১ হাজার ৮৪৬টি। আছে মাত্র ৪৭টি। এটিই হলো বাস্তবতা। জায়গা নেই। জায়গা বাড়বে না।

শিল্পপ্রতিষ্ঠান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের বাইরে চলে যাবে। তেজগাঁও শিল্প এলাকার ক্ষেত্রেও ১০ বছর সময় দিয়ে সব শিল্প সরানোর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। তেজগাঁওয়ে বিভিন্ন শিল্পমালিক কোনো না কোনোভাবে সরকারি জায়গা দখল করে আছেন। সবার মধ্যে সচেতনতা আসতে হবে।

মোহাম্মদ এবাদুল করিম

মোহাম্মদ এবাদুল করিম: দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট বা সিওপিডির প্রধান কারণ পরিবেশদূষণ। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র অনেকগুলো উদ্যোগের কথা বলেছেন। আমরা আশা করতে পারি ভবিষ্যতে ঢাকা মহানগরের পরিবেশ ভালো হবে।
ঢাকার পরিবেশ উন্নয়নে অনেক সমস্যাও রয়েছে। কারণ সিটি করপোরেশন, রাজউক, ওয়াসা ও অন্যান্য সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। কেউ একটি ভালো উদ্যোগ স্বাধীনভাবে বাস্তবায়ন করতে পারছে না। মেয়র ইচ্ছে করলে ওয়াসা ও রাজউকের কাজ করতে পারেন না।
এসব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় জরুরি। ‍বিশ্বের অনেক দেশে নগর সরকার আছে। আমাদের ঢাকা মহানগরের যে অবস্থা এখানে নগর সরকার খুব জরুরি বলে মনে করি। নগর সরকার থাকলে আজ অনেক সমস্যার সমাধান হতো। নগরবাসী অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেত। জঙ্গি দমনে যেমন সরকারসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অত্যন্ত সচেতন, তেমনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে সিওপিডির ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।
ঢাকা শহরে কোনো কাজ করতে গেলে রাস্তার ওপরই দিনের পর দিন মাটি ও বর্জ্য ফেলে রাখতে দেখা যায়। সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, রাজউকের জনবল এটা করে। তাদের আরও বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
বিদেশের কোনো উন্নত শহরে এমন দেখা যাবে না। আজও এই মহানগরে কোনো সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট হয়নি। অথচ এটা না হওয়ার কোনো কারণ নেই। এসব বিষয়ে সবাই সচেতন না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে।

মো. রাশিদুল হাসান

মো. রাশিদুল হাসান: সিওপিডি একটি গুচ্ছ রোগ। সিওপিডি হলো তিনটি রোগের সমন্বিত নাম। এরা হলো ক্রনিক
ব্রংকা​ইটিস, অ্যাজমা, অ্যামফাইসিমা। এই তিনটি রোগের একটি, দুটি বা তিনটি একসঙ্গে থাকতে পারে। একসঙ্গে একে সিওপিডি বলা হয়।
সিওপিডি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ ধোঁয়া ও ধুলা। ধোঁয়া বলতে শুধু ধূমপান বা শিল্পকারখানার ধোঁয়া না, বাড়িতে রান্না করা লাক​ড়ির ধোঁয়াও নারীদের ভীষণ ক্ষতি করছে।
৩৫ শতাংশ সিওপিডি হয় নারীদের। এর প্রধান কারণ তাঁদের ধোঁয়ার মধ্যে কাজ করা। ধূমপানের বিরুদ্ধে যেমন আমরা কাজ করছি, তেমনি ধোঁয়ামুক্ত পরিবেশে যেন আমাদের নারীরা কাজ করতে পারেন তার জন্যও চেষ্টা করতে হবে।
মানুষকে জানাতে হবে। সচেতন করতে হবে। নারীদের জন্য ধোঁয়ামুক্ত চুলার ব্যবস্থা করতে হবে। সিওপিডিতে আক্রান্ত হওয়ার দুটো প্রধান কারণ হলো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া। যদি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ভ্যাকসিন সিওপিডি রোগীকে দেওয়া যায়, তাহলে সিওপিডিতে মৃত্যুহার ৫০ শতাংশ কমে যাবে। সবাই সচেতন হলে ও চেষ্টা করলে ভবিষ্যতে এ ক্ষেত্রে ভালো অগ্রগতি অর্জন করতে পারব।

গর্ভাবস্থায় নারীদের শরীরের ভীষণ রকম পরিবর্তন আসে। শ্বাসকষ্ট তখন মারাত্মক আকার ধারণ করে। এ জন্য শ্বাসকষ্ট যেন না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। হলে দ্রুত চিকিৎসা নিয়ে ভালো হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

কাজী সাইফউদ্দীন বেন্‌নূর

কাজী সাইফউদ্দীন বেন্‌নূর: তামাকে চার হাজারের বেশি বিষাক্ত উপাদান আছে। এর ম​েধ্য দুই হাজার বিষাক্ত উপাদান থাকে কাঁচা তামাকে। আর দুই হাজার তামাক পোড়ার ফলে উৎপন্ন হয়।
তামাক সিগারেট, জর্দা, গুল, সাদা পাতা যেভাবেই নেওয়া হোক না কেন এটা একটা প্রাণঘাতী বদভ্যাস।
ইদানীং ই–সিগারেট বেরিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটাকেও ঝুঁকিপূর্ণ বলেছে। শরীরের এমন কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নেই, যেটা তামাকে ক্ষতি করে না। ক্যানসার, পক্ষাঘাত, হৃদ্‌রোগ, স্নায়ুবৈকল্য, অন্ধত্ব, লিভার ও কিডনির বিভিন্ন রোগ, সর্বোপরি ফুসফুসের ভয়াবহ জটিল সমস্যার কারণ হলো তামাক।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের হৃদ্‌রোগ ও পক্ষাঘাত রোগ হওয়ার আশঙ্কা প্রায় পাঁচ গুণ বেশি, ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ২৫ গুণ বেশি, জটিল বক্ষব্যাধি হওয়ার আশঙ্কা ১৫ গুণ বেশি।
তামাক ব্যবসায়ীরা খুব কৌশলে মেয়েদের ধূমপান করতে উৎসাহিত করেন। গর্ভাবস্থায় ধূমপান করলে ধূমপায়ী নারী ও তাঁর অনাগত সন্তান উভয়ের জীবনই মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। তাই যে করেই হোক সমবেতভাবে ধূমপানকে ‘না’ বলতে হবে।

সৈয়দা অনন্যা রহমান

সৈয়দা অনন্যা রহমান: সিওপিডি বা দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসতন্ত্রের রোগের অন্যতম প্রধান কারণ তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার। তামাক ব্যবহার না করেও শুধু পরোক্ষ ধূমপানের কারণে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০০৯ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশে ৩০ শতাংশ নারী কর্মস্থলে এবং ২১ শতাংশ নারী পাবলিক প্লেসে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার।
আমাদের দেশে জর্দা ও গুল কারখানায় এবং এর আশপাশের এলাকায় তামাকজাত দ্রব্যের বিষাক্ত গুঁড়ো উড়ে মারাত্মকভাবে চারপাশের বাতাস দূষিত করছে, যা পরবর্তী সময়ে শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রবেশ করে দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসতন্ত্রের রোগ সৃষ্টি করছে।
সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধিমালা সংশোধন করেছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল গঠন করেছে। সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের ওপর ১ শতাংশ সারচার্জ আরোপসহ বিভিন্ন প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, এখনো তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের নিজস্ব কোনো বাজেট বা বরাদ্দ নেই।
তামাক ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট রোগ ও মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে তামাক নিয়ন্ত্রণকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণনীতি, সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি, তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণনীতি অতি দ্রুত চূড়ান্ত করা প্রয়োজন।

মো. শাহেদুর রহমান খান

মো. মোহাম্মদ শাহেদুর রহমান খান: আমাদের কার্যক্রমের ফলে মানুষ এখন বুঝতে পারে অ্যাজমা একটি রোগ এবং এটি সারা দেশে ছড়িয়ে আছে। একইভাবে সিওপিডি একটি রোগ। সারা দেশে এ রোগীর সংখ্যাও কম নয়।
১৯৯০ সালের এক জরিপ থেকে জানা যায়, দেশে অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা ৭০ লাখ। এখন এটি এক কোটির ওপরে। সিওপিডি রোগীর সংখ্যাও প্রায় এর কাছাকাছি হবে। দেশে ৭ থেকে ৮ শতাংশ অ্যাজমা রোগী। আবার ৪ থেকে ৫ শতাংশ সিওপিডির রোগী।
যখন কেউ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কিছু করার যোগ্য হয়, দুঃখের বিষয় হলো তখন এসব রোগ হয়। অর্থাৎ একজন কর্মক্ষম বয়সের মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন।
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন ইস্যুতে সামাজিক আন্দোলন করছে। প্রেস ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সেটা আসছে। অ্যাজমা ও সিওপিডিকে এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে এর বিরুদ্ধে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

কিন্তু অত্যন্ত খারাপ দিক হলো রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের যেকোনো দুর্গম অঞ্চলেও তামাকজাত দ্রব্য সহজে পাওয়া যায়।

অন্য যেকোনো দ্রব্যের চেয়ে তামাকজাত দ্রব্য অনেক সহজলভ্য। কেন তামাকজাত দ্রব্য সহজলভ্য থাকবে? যারা তামাক উৎপাদন করছে তাদের আমরা বি​িভন্ন ধরনের ফলসহ অন্যান্য অর্থকরী ফসল উৎপাদনের জন্য উৎসাহিত করতে পারি।

রুহুল আমিন

রুহুল আমিন: অ্যাজমা ও সিওপিডি বড় ও ছোট উভয়ের হয়। শিশু বয়স থেকে অ্যাজমা হয়। প্রাপ্ত বয়সে এটা দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টে পরিণত হয়। শিশুদের শ্বাসকষ্টের প্রধান কারণ হলো সর্দিকাশি, নিউমোনিয়া, শিশু অ্যাজমা ও শিশু যক্ষ্মা। এগুলো হলো শিশুদের শ্বাসনালির প্রধান রোগ।
আজকাল হাসপাতালে যে শিশু রোগী আসে এর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ শিশুর শ্বাসনালির সমস্যা। ঢাকা মহানগরের ২৫ শতাংশ শিশু শ্বাসকষ্টের রোগে ভুগছে।
দেশে ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ শিশুর ওজন দুই কেজির নিচে হয়। এসব শিশুর অপরিপক্ব ফুসফুসে ইনফেকশন হতে পারে। অপুষ্টি দ্বিতীয় কারণ, তৃতীয় কারণ পরিবেশদূষণ। শিশুদের খাদ্যদূষণ আর একটি বড় কারণ। বিশেষ করে প্যাকেট ও বোতলজাত যেসব খাদ্য বাজারে রয়েছে এর অধিকাংশ অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর। গণমাধ্যম যদি এটা নিয়ে প্রতিবেদন করে তাহলে মানুষের অনেক উপকার হয়।
শিক্ষা কারিকুলামে স্বাস্থ্যের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আনা প্রয়োজন। প্রতিরোধের উপায় কী? প্রথমত, শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। দরিদ্র-ধনী সব নারীর পক্ষেই সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়ানো সম্ভব। কিন্তু একটা দুঃখের বিষয় হলো প্রায় ৬০ শতাংশ নারী বিভিন্ন কারণে সন্তানদের বুকের দুধ দেন না।
সব ধরনের প্যাকেট ও বোতলজাত খাদ্য ও পানীয় বিশেষভাবে পরিহার করতে হবে। এ ব্যাপারে একটা ব্যাপক প্রচার চালানো প্রয়োজন। শিশুর বয়স ছয় মাস পার হলে বুকের দুধের পাশাপাশি তিনবার অন্যান্য খাবার খাওয়াতে হয়। ভাত, ডাল, মাছ অথবা ডিম বা সবজি নরম করে খাওয়াতে হবে। সাত মাস থেকে ভাত ও ডাল খাওয়ালে এই শিশু খুব একটা অসুস্থ হবে না। এটা প্রায় সবাই খাওয়াতে পারেন। কিন্তু অনেকে বিষয়টি জানেন না। এসব বিষয়ে সতর্ক থাকলে শিশুদের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

আব্দুল কাইয়ুম: শ্বাসকষ্ট রোগের একটি প্রধান কারণ বায়ুদূষণ, ধোঁয়া। ঢাকা মহানগরের বায়ুদূষণের মাত্রা অনেক বেশি। এটা নিয়ন্ত্রণ করা এখন জরুরি। দুই মেয়রের উদ্যোগে এ ক্ষেত্রে হয়তো কিছু কাজ হচ্ছে।

এ মহানগরের বায়ুদূষণ কমানোর জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। শিশুখাদ্যের প্রতি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে ভাববে বলে আশা করি। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।

যাঁরা অংশ নিলেন
আনিসুল হক : মেয়র, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন
মো. রাশিদুল হাসান : অধ্যাপক, রেসপিরেটরি মেডিসিন ও সভাপতি, বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশন
রুহুল আমিন : অধ্যাপক, ঢাকা শিশু হাসপাতাল
মো. আলী হোসেন : অধ্যাপক, রেসপিরেটরি মেডিসিন ও মহাসচিব, বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশন
বশীর আহাম্মদ : অধ্যাপক, রেসপিরেটরি মেডিসিন ও সভাপতি, বাংলাদেশ অ্যাজমা অ্যাসোসিয়েশন
মো. শাহেদুর রহমান খান : পরিচালক, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
রওশন আরা বেগম : সভাপতি, অবস্টেট্রিক্যাল ও গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি বাংলাদেশ
মোহাম্মদ এবাদুল করিম : ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড
আসিফ মুজতবা মাহমুদ : সহযোগী অধ্যাপক, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান
মো. আবদুস শাকুর খান : যুগ্ম সম্পাদক, বাংলাদে​শ লাং ফাউ​েন্ডশন
কাজী সাইফউদ্দীন বেন্‌নূর : সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
মুনমুন আহমেদ : ক্লাব অ্যাক্সেল (শ্বাসকষ্ট রোগীদের সংগঠন) ও বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী
সৈয়দা অনন্যা রহমান : প্রোগ্রাম ম্যানেজার, ওয়ার্ক ফর অ্যা বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট
সঞ্চালক
আব্দুলকাইয়ুম : সহযোগী সম্পাদক, প্রথমআলো