Thank you for trying Sticky AMP!!

সাজেক: মেঘ-পাহাড়ের সীমান্তে

যত দূর দৃষ্টি যায়, ছোট-বড় সবুজ পাহাড়। ওপর থেকে দৃষ্টি মেললে যেন সবুজ সমুদ্রের ঢেউ। একটি থেকে আরেকটি পাহাড়ের মাঝে সাদা তুলোর মতো আটকে আছে মেঘ। দেশের মধ্যে পর্যটনের অপরূপ জায়গা এই সাজেক। রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন এটি। সাজেকের অবস্থান খাগড়াছড়ি জেলা থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে আর ভারতের রাজ্য মিজোরামের সীমান্ত থেকে দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। পাহাড়ি সাজেকে আছে ‘রুইলুই’ এবং ‘কংলাক’ নামের দুটি বসতি বা ’পাড়া’। এখানে লুসাই, পাংখোয়া ও ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর বসবাস। রাঙামাটির অনেকটা অংশই দেখে যায় সাজেক থেকে । তাই সাজেককে বলা হয় ‘রাঙামাটির ছাদ’। সাজেক রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও এখানে যাতায়াত খাগড়াছড়ি থেকে সহজ । খাগড়াছড়ি শহর থেকে সাজেকের দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। সাজেকের রুইলুইপাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ৭২০ ফুট । আর ১৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কংলাক পাহাড়। সাজেক সারা বছরই বর্ণিল সাজে সেজে থাকে। তবে বর্ষা, শরৎ ও হেমন্তে সাজেকের চারপাশে মেঘের খেলা দেখা যায় বেশি। তাই এই সময়টাই সাজেক ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। সাজেকের ছবিগুলো ৯ আগস্ট শুক্রবার তোলা।
সাজেকে সর্বত্র মেঘ, পাহাড় আর সবুজের দারুণ মিতালি চোখে পড়ে ।
সাজেকের পাহাড়ে মেঘ-রোদের খেলা চলে প্রায়ই।
চারপাশে মনোরম পাহাড়ের সারি, সাদা তুলোর মতো মেঘের সারি আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
কখনো খুবই গরম, একটু পরই হঠাৎ বৃষ্টি এবং তার কিছু পরেই হয়তো চারদিকে ঢেকে যায় মেঘের চাদরে।
সাজেকের মনোরম পরিবেশে রিসোর্ট বেশ কয়েকটি।
সাজেকে তিনটি হেলিপ্যাড আছে। সেখান থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়। তবে বৃষ্টি থাকলে দেখতে হবে মেঘমালা।
পর্যটন রিসোর্ট গড়ে তোলার পর এখন দেশের পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হয়েছে রুইলুইপাড়া।
সাজেক উপত্যকার এসব অদেখা গ্রাম ছবির মতো সুন্দর।
সাজেক মূলত ‘রুইলুই’ এবং ‘কংলাক’ নামের দুটি বসতি বা ’পাড়া’। এখানে লুসাই,পাংখোয়া ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বসবাস ।
ছবির মতো সরু উপত্যকার দুই ধারে পর্যটন কটেজ ও রিসোর্ট।
পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ায় খুশি এখানকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও বেসরকারি হোটেল-রিসোর্টের সঙ্গে যুক্ত লোকজন।