তিস্তা চুক্তি

হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আশাবাদী

নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফরে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। আগামী ৬ ও ৭ জুন নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফর করবেন। খবর বাসসের।
নয়াদিল্লির ফরেন প্রেসক্লাবে গতকাল শুক্রবার মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেন, ‘২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময়ে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপত্তির কারণে এ চুক্তি হয়নি। গত চার বছরে পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করে সমঝোতায় পৌঁছেছে বলে আমাদের বিশ্বাস। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বাংলাদেশে যাচ্ছেন। তাই আমরা এ চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। এ সফরকালে চুক্তিটি সই করা সম্ভব না হলেও এ ব্যাপারে ইতিবাচক আলোচনা হবে এবং দ্রুত সইয়ের ব্যাপারে দুটি দেশ একধাপ এগিয়ে থাকবে।’
সীমান্তে হত্যার ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে মোয়াজ্জেম আলী বলেন, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা খুবই জটিল বিষয়। তবু দুই দেশই হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনের ভারতে অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন বিষয়টি আদালতে রয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্তের পরই তাঁকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা হবে।