২৫ পেরিয়ে সেবা নারী ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র

‘বাংলাদেশের মেয়েগুলো সত্যি ভালো ভাই/ কারও মনে কোনো রকম হিংসা-বিবাদ নাই’ এই সূচনাসংগীত দিয়ে শুরু হয় সেবা নারী ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের ২৫ বছরপূর্তি অনুষ্ঠান। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সম্মেলনকক্ষে আয়োজন করা হয় অনুষ্ঠানের।
নারী ও শিশুকল্যাণকে সামনে রেখে ২৫ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে ‘সেবা’ নামের সংস্থাটি। ২৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের। সকালে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান নিবেদন করা হয় বাংলাদেশের জীবনযুদ্ধে সংগ্রামরত নারীদের সম্মানে। সংস্থাটির সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে মাত্র তিনটি শিশু নিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘সেবা দিবা পরিচর্যা কেন্দ্র’। বর্তমানে বেসরকারি এ সংস্থাটির প্রায় চারটি দিবা পরিচর্যাকেন্দ্র রয়েছে। এরপর ১৯৯৩ সালে সংস্থাটি ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। এখন পর্যন্ত প্রায় তিন শ কোটি টাকার ঋণ প্রদান করা হয়েছে। এ সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। এখন সংস্থাটি বিভিন্ন জায়গায় নারীদের জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করছে। সংস্থাটি রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর শিশুদের জন্য পুনর্বাসনের দায়িত্ব পালন করছে। বর্তমানে প্রায় আড়াই শ কর্মী কর্মরত এই সংস্থায় ।
সকাল ১১টায় মোমবাতি প্রজ্জ্বালন ও সূচনাসংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পূর্তি অনুষ্ঠান। এরপর সারা দেশে সংস্থাটির বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। সমাজকল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্য তিনজন মহীয়সী নারীকে সম্মাননা দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন, জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর স্ত্রী মেহের কবীর, খান আতাউর রহমানের স্ত্রী সংগীতশিল্পী মাহবুবা রহমান ও শিক্ষক ও প্রবীণ নারীদের সংগঠক সুফিয়া খাতুন। তাঁদের ফুল, ক্রেস্ট ও উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে এই সংস্থা থেকে প্রশিক্ষণ পাওয়া শিশুদের নিয়ে একটি নাটিকা মঞ্চস্থ হয়।
সেবা নারী ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রোকসানা খান বলেন, ‘আমরা সংস্থাটির কর্মীরা একসঙ্গে আছি বলেই এত দিন ধরে কাজ করে যেতে পারছি। তাই সব বাধা অতিক্রম করতে পেরেছি। এই কৃতিত্ব আমাদের সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট সবার।’ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বুলবুল আহমেদ।