গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর ও গাজীপুর সদরের আংশিক) নির্বাচনী এলাকার বরমী ইউনিয়নের বড়নল গ্রামে প্রচারণার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় এক নারী কর্মীসহ আহত হয়েছেন তিনজন। আজ বুধবার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী আবদুল মালেক, মোসা. মাসুদা বেগম ও মোসা. সুমি আক্তার। তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ ঘটনায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন (সবুজ)। অপর দিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য রুমানা আলী (টুসি)।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মী–সমর্থকেরা এই হামলা চালিয়েছেন বলে দাবি হামলার শিকার স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী বড়নল গ্রামের আবদুল মালেক। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ ইকবাল হোসেনের ট্রাক মার্কার পক্ষে বাড়ি বাড়ি প্রচারণা চালাচ্ছিলেন সাত-আটজন নারী কর্মী। তাঁদের হাতে ছিল ট্রাক মার্কাসংবলিত প্রচারপত্র। বরনল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে ওই গ্রামের আবদুল বাতেন এগিয়ে এসে নারী কর্মীদের প্রচারণায় বাধা দেন। হাত থেকে প্রচারপত্র ছিনিয়ে নেন।
আবদুল মালেক বলেন, ‘আমি প্রচারপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার কারণ জানতে চাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুল বাতেন ও আরও পাঁচ-ছয়জন মিলে আমার ওপর হামলা চালান। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নারী কর্মীদের ওপরও হামলা চালান তাঁরা। রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। মারধরে আহত হয়েছেন মাসুদা বেগম ও সুমি আক্তার নামের দুই নারী।’
একই গ্রামের জাকির মোড়ল প্রথম আলোকে বলেন, নৌকা প্রার্থীর সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে তিনজনকে আহত করেছেন। তা ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কোনো ধরনের প্রচারণা না চালাতে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে হামলাকারীরা।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত আবদুল বাতেনের মুঠোফোনে কল দিলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিন প্রথম আলোকে বলেন, খবর শুনে সেখানে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।