আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মুশতাক খান। আজ রোববার রাজধানীর ডিআরইউ মিলনায়তনে
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মুশতাক খান। আজ রোববার রাজধানীর ডিআরইউ মিলনায়তনে

কামরায় বসে চুক্তি স্বাক্ষর করে নতুন বন্দোবস্ত হয় না: মুশতাক খান

কোনো কামরায় বসে সবাইকে এক জায়গায় নিয়ে এসে চুক্তি স্বাক্ষর করে নতুন বন্দোবস্ত হয় না বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মুশতাক খান।

সবাই মিলে ফ্যাসিস্টকে নামাতে পেরেছে বলেই, পরদিন বসে নতুন সমঝোতায় চলে আসার চেষ্টাকে ভুল বলে মনে করেন ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের (সোয়াস) অধ্যাপক মুশতাক খান। তিনি বলেন, ‘আমি তখনই বলছিলাম, এটা হবে না। এটা চেষ্টা করাটা একটা ভুল ছিল। তার মানে এই নয় যে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু এই যুদ্ধ এখনো চলবে।’

আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘স্বল্প আস্থার সমাজে সংস্কার ও নির্বাচনী ঐক্যের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক আলোচনায় মুশতাক খান এ কথা বলেন।

মুশতাক খান আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যে শক্তি আছে, যে ভালোবাসা আছে অপরের জন্য, আমি চিনি না, জানি না, তার জন্য আমি রাস্তায় নেমে গেছি… তবে এটার থেকে লাফিয়ে গিয়ে বলা যে এখন আমরা সবাই ঐকমত্য হয়ে নতুন সমাজ করব, এটা একেবারেই অদ্ভুত চিন্তা।’

যৌথভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)। সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন মুশতাক খান।

মুশতাক খান আরও বলেন, সমাজে স্বার্থের বিরোধ আছে। ধনী ও মধ্যম শ্রেণি, মধ্যম শ্রেণি ও গরিব, লুটেরা আর যে লুটেরা নয়, যে রাজনীতি করে পয়সা বানায় আর যারা রাজনীতি করে পয়সা বানালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে।

হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারকারী বড় বড় ‘অলিগার্কদের’(ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি) আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান মুশতাক খান। তিনি বলেন, ক্ষমতার বিন্যাসকে আগে পরিবর্তন করতে হবে। টাকা পাচারকারীরা যদি পার পেয়ে যায়, তাহলে যতই দুই কক্ষ, তিন কক্ষ, পিআর করা হোক, তারা আবার সব সেট করে দিতে পারে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম। তিনি বলেন, জনগণ ৭১-এর পরে সবচেয়ে বড় আন্দোলনটি চব্বিশে করেছে। বড় রকমের পরিবর্তন ঘটাতে পারবে বলে তারা মনে করেছিল। তবে এক বছর পরে দেখা গেল, এক বছর ধরে আলোচনা করে তেমন কিছু ঠিক করা যায়নি। যা ঠিক করা গেছে, তা যে বাস্তবায়ন করা যাবে, এমন নিশ্চয়তাও নেই।

সভায় বক্তব্য দেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ প্রমুখ।