Thank you for trying Sticky AMP!!

কবি আল মাহমুদের জন্মদিন আজ

কবি আল মাহমুদ

আল মাহমুদ লিখেছিলেন—‘সোনার দিনার নেই, দেনমোহর চেও না হরিণী/ যদি নাও দিতে পারি কাবিনবিহীন হাত দুটি।’

আল মাহমুদ বাংলা সাহিত্যকে উপহার দিয়েছিলেন বিখ্যাত ‘সোনালী কাবিন’ কবিতা। বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের ৮৮তম জন্মদিন আজ ১১ জুলাই, মঙ্গলবার।

১৯৩৬ সালের এই দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইল গ্রামের মোল্লাবাড়িতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রবাদপ্রতিম এই কবি জন্মগ্রহণ করেন। আল মাহমুদের কাব্যগ্রন্থ ‘সোনালী কাবিন’ সমকালীন বাংলা কবিতার একটি বাঁকের নাম। এ ছাড়া ‘লোক লোকান্তর’, ‘কালের কলস’, ‘মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো’ তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। ১৯৬৮ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার।

বলা হয়ে থাকে, তিনি যদি শুধু এই একটিমাত্র কাব্যগ্রন্থ (সোনালী কাবিন) রেখে যেতেন, তাতেও বাংলা কবিতার রাজ্যের অধীশ্বর হয়ে থাকতেন। কবি হিসেবে পরিচিত হলেও আল মাহমুদ একাধারে ছিলেন ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্পকার, শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক। তাঁর রচিত যেকোনো সাহিত্যকর্মে অসাধারণ সম্মোহনী শক্তি রেখেছেন বাংলা সাহিত্যের পাঠকের জন্য।

আল মাহমুদ আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্ভঙ্গিতে সমৃদ্ধ করেছেন। পেশাগত জীবনে তিনি পত্রিকার প্রুফ রিডার থেকে নিজেকে জাতীয় দৈনিকের প্রধান সম্পাদক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

১৯৫৪ সালে তাঁর বয়স ১৮ বছর। তখন থেকে প্রকাশ শুরু হয়েছিল তাঁর কবিতার।
‘ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ দুপুরবেলার অক্ত,
বৃষ্টি নামে বৃষ্টি কোথায়! বরকতেরই রক্ত।’
এমন অগণিত পাঠকপ্রিয় কবিতার রচয়িতা আল মাহমুদ।

১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘কবি ও কোলাহল’। তাঁর উল্লেখযোগ্য ছোটগল্পের মধ্যে আছে ‘গন্ধ বণিক’, ‘ভেজা কাফন’, ‘জলবেশ্যা’ ও ‘পশর নদীর গাঙচিল’।

আল মাহমুদ একুশে পদক পেয়েছেন ১৯৮৬ সালে। কবি জসীমউদ্‌দীন পুরস্কার, নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কারসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ।

আল মাহমুদের প্রকৃত নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন তিনি।